বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেবেন একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। এ অনুষ্ঠানেই দেওয়া হবে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩।
বইমেলার পরিধি ও বিন্যাস অপরিবর্তিত থাকছে এবার। গত বছর মোট সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গাজুড়ে আয়োজিত হয় একুশে বইমেলা। স্টল বিন্যাসের ক্ষেত্রে ফাঁকা জায়গা কম রেখে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাছাকাছি রাখা হয়েছিল। ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন প্রান্তের স্টল সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল উদ্যানের ভেতরের দিকে। এ বছর সে বিন্যাস প্রায় অপরিবর্তিত রাখা হচ্ছে।
এবার লিটল ম্যাগ চত্বর নিয়ে আসা হয়েছে মুক্তমঞ্চের পাশে। টিএসসির দিকের গেট দিয়ে মেলায় প্রবেশ করলে হাতের ডানে একেবারে শুরুতেই পাওয়া যাবে এই চত্বর। বাঁ দিকে এবার কোনো স্টল থাকছে না। অন্যদিকে মন্দিরের ফটক দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করলেই পাওয়া যাবে শিশু চত্বর।
বাংলা একাডেমির পরিচালক ও অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, এবার নতুন ২০টি প্রকাশনা সংস্থাকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী অংশে ৪৫৯টি প্রতিষ্ঠানকে স্টল দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৯৬টি প্রতিষ্ঠান এক ইউনিট, ১০৩টি প্রতিষ্ঠান দুই ইউনিট, ৩৯টি প্রতিষ্ঠান তিন ইউনিট এবং ২০টি প্রতিষ্ঠান চার ইউনিটের স্টল বরাদ্দ পেয়েছে। প্যাভিলিয়ন পেয়েছে ৩৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশু চত্বরে ৬৭টি প্রতিষ্ঠান স্টল বরাদ্দ পেয়েছে। এর মধ্যে ৩৯টি প্রতিষ্ঠান এক ইউনিট, ২০টি প্রতিষ্ঠান দুই ইউনিট, পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তিন ইউনিট এবং তিনটি প্রতিষ্ঠান চার ইউনিটের স্টল বরাদ্দ পেয়েছে।
প্রতিবছরের মতো এবারও মেলার তথ্যকেন্দ্র থেকে পাওয়া যাবে নতুন বইয়ের খবর। মেলা চলাকালে প্রতিদিন থাকবে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনাসভা। ‘লেখক বলছি’ মঞ্চে থাকছে বই নিয়ে লেখক-পাঠকের মতবিনিময়।