ঢাকা ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলছে স্টল তৈরির কাজ, বৃহস্পতিবার শুরু একুশে বইমেলা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৫:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৭৪ বার
বরাবরের মতো এবারও পয়লা ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে ভাষাশহীদদের স্মরণে আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা। মেলা প্রাঙ্গণে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ২০২৪ সালের বইমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘পড়ো বন্ধু গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩ টায় মাসব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল রবিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি চত্বর ঘুরে দেখা যায়, বইয়ের স্টলের অবকাঠামো নির্মাণকাজে ব্যস্ত প্রকাশনা সংস্থাগুলোর কর্মীরা। ১০ জানুয়ারির পর থেকেই বাঁশের খুঁটি পুঁতে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার লটারির মাধ্যমে প্রকাশনা সংস্থাগুলোকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর পর থেকেই স্টল ও প্যাভিলিয়ন নির্মাণের কাজ চলছে।

মেলামাঠজুড়ে এখন কেবলই হাতুড়ি-পেরেক আর করাত চলার শব্দ। এরই মধ্যে দাঁড়িয়ে যাওয়া কোনো কোনো স্টলে চলছে রংতুলির পোঁচ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে এগিয়ে রয়েছে প্যাভিলিয়ন নির্মাণকাজ। মেলার উদ্বোধনের আগেই সাজসজ্জার কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সাধারণত মেলা শুরুর কয়েক দিন পর্যন্ত কিছু স্টলের ছোটখাটো কাজ চলতে দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সাল অধিবর্ষ (লিপ ইয়ার) হওয়ার জন্য এবারের বইমেলা হতে যাচ্ছে ২৯ দিনের। বইপ্রেমী পাঠক, লেখক, প্রকাশক—সব পক্ষের জন্যই খুশি হওয়ার মতো বিষয় এটি।

বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেবেন একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। এ অনুষ্ঠানেই দেওয়া হবে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রী মেলা ঘুরে দেখবেন।

বইমেলার পরিধি ও বিন্যাস

বইমেলার পরিধি ও বিন্যাস অপরিবর্তিত থাকছে এবার। গত বছর মোট সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গাজুড়ে আয়োজিত হয় একুশে বইমেলা। স্টল বিন্যাসের ক্ষেত্রে ফাঁকা জায়গা কম রেখে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাছাকাছি রাখা হয়েছিল। ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন প্রান্তের স্টল সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল উদ্যানের ভেতরের দিকে। এ বছর সে বিন্যাস প্রায় অপরিবর্তিত রাখা হচ্ছে।

এবার লিটল ম্যাগ চত্বর নিয়ে আসা হয়েছে মুক্তমঞ্চের পাশে। টিএসসির দিকের গেট দিয়ে মেলায় প্রবেশ করলে হাতের ডানে একেবারে শুরুতেই পাওয়া যাবে এই চত্বর। বাঁ দিকে এবার কোনো স্টল থাকছে না। অন্যদিকে মন্দিরের ফটক দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করলেই পাওয়া যাবে শিশু চত্বর।

বাংলা একাডেমির পরিচালক ও অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, এবার নতুন ২০টি প্রকাশনা সংস্থাকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী অংশে ৪৫৯টি প্রতিষ্ঠানকে স্টল দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৯৬টি প্রতিষ্ঠান এক ইউনিট, ১০৩টি প্রতিষ্ঠান দুই ইউনিট, ৩৯টি প্রতিষ্ঠান তিন ইউনিট এবং ২০টি প্রতিষ্ঠান চার ইউনিটের স্টল বরাদ্দ পেয়েছে। প্যাভিলিয়ন পেয়েছে ৩৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশু চত্বরে ৬৭টি প্রতিষ্ঠান স্টল বরাদ্দ পেয়েছে। এর মধ্যে ৩৯টি প্রতিষ্ঠান এক ইউনিট, ২০টি প্রতিষ্ঠান দুই ইউনিট, পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তিন ইউনিট এবং তিনটি প্রতিষ্ঠান চার ইউনিটের স্টল বরাদ্দ পেয়েছে।

প্রতিবছরের মতো এবারও মেলার তথ্যকেন্দ্র থেকে পাওয়া যাবে নতুন বইয়ের খবর। মেলা চলাকালে প্রতিদিন থাকবে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনাসভা। ‘লেখক বলছি’ মঞ্চে থাকছে বই নিয়ে লেখক-পাঠকের মতবিনিময়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চলছে স্টল তৈরির কাজ, বৃহস্পতিবার শুরু একুশে বইমেলা

আপডেট টাইম : ১১:১৫:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪
বরাবরের মতো এবারও পয়লা ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে ভাষাশহীদদের স্মরণে আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা। মেলা প্রাঙ্গণে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ২০২৪ সালের বইমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘পড়ো বন্ধু গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩ টায় মাসব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল রবিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি চত্বর ঘুরে দেখা যায়, বইয়ের স্টলের অবকাঠামো নির্মাণকাজে ব্যস্ত প্রকাশনা সংস্থাগুলোর কর্মীরা। ১০ জানুয়ারির পর থেকেই বাঁশের খুঁটি পুঁতে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার লটারির মাধ্যমে প্রকাশনা সংস্থাগুলোকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর পর থেকেই স্টল ও প্যাভিলিয়ন নির্মাণের কাজ চলছে।

মেলামাঠজুড়ে এখন কেবলই হাতুড়ি-পেরেক আর করাত চলার শব্দ। এরই মধ্যে দাঁড়িয়ে যাওয়া কোনো কোনো স্টলে চলছে রংতুলির পোঁচ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে এগিয়ে রয়েছে প্যাভিলিয়ন নির্মাণকাজ। মেলার উদ্বোধনের আগেই সাজসজ্জার কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সাধারণত মেলা শুরুর কয়েক দিন পর্যন্ত কিছু স্টলের ছোটখাটো কাজ চলতে দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সাল অধিবর্ষ (লিপ ইয়ার) হওয়ার জন্য এবারের বইমেলা হতে যাচ্ছে ২৯ দিনের। বইপ্রেমী পাঠক, লেখক, প্রকাশক—সব পক্ষের জন্যই খুশি হওয়ার মতো বিষয় এটি।

বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেবেন একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। এ অনুষ্ঠানেই দেওয়া হবে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রী মেলা ঘুরে দেখবেন।

বইমেলার পরিধি ও বিন্যাস

বইমেলার পরিধি ও বিন্যাস অপরিবর্তিত থাকছে এবার। গত বছর মোট সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গাজুড়ে আয়োজিত হয় একুশে বইমেলা। স্টল বিন্যাসের ক্ষেত্রে ফাঁকা জায়গা কম রেখে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাছাকাছি রাখা হয়েছিল। ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন প্রান্তের স্টল সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল উদ্যানের ভেতরের দিকে। এ বছর সে বিন্যাস প্রায় অপরিবর্তিত রাখা হচ্ছে।

এবার লিটল ম্যাগ চত্বর নিয়ে আসা হয়েছে মুক্তমঞ্চের পাশে। টিএসসির দিকের গেট দিয়ে মেলায় প্রবেশ করলে হাতের ডানে একেবারে শুরুতেই পাওয়া যাবে এই চত্বর। বাঁ দিকে এবার কোনো স্টল থাকছে না। অন্যদিকে মন্দিরের ফটক দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করলেই পাওয়া যাবে শিশু চত্বর।

বাংলা একাডেমির পরিচালক ও অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, এবার নতুন ২০টি প্রকাশনা সংস্থাকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী অংশে ৪৫৯টি প্রতিষ্ঠানকে স্টল দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৯৬টি প্রতিষ্ঠান এক ইউনিট, ১০৩টি প্রতিষ্ঠান দুই ইউনিট, ৩৯টি প্রতিষ্ঠান তিন ইউনিট এবং ২০টি প্রতিষ্ঠান চার ইউনিটের স্টল বরাদ্দ পেয়েছে। প্যাভিলিয়ন পেয়েছে ৩৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশু চত্বরে ৬৭টি প্রতিষ্ঠান স্টল বরাদ্দ পেয়েছে। এর মধ্যে ৩৯টি প্রতিষ্ঠান এক ইউনিট, ২০টি প্রতিষ্ঠান দুই ইউনিট, পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তিন ইউনিট এবং তিনটি প্রতিষ্ঠান চার ইউনিটের স্টল বরাদ্দ পেয়েছে।

প্রতিবছরের মতো এবারও মেলার তথ্যকেন্দ্র থেকে পাওয়া যাবে নতুন বইয়ের খবর। মেলা চলাকালে প্রতিদিন থাকবে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনাসভা। ‘লেখক বলছি’ মঞ্চে থাকছে বই নিয়ে লেখক-পাঠকের মতবিনিময়।