ইসলামের জন্য অন্তর উন্মুক্ত : আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তার অন্তরকে ইসলামের জন্য উন্মুক্ত করেন।
দ্বিনের জ্ঞানের অধিকারী : আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বিনের জ্ঞান দান করেন। মুআবিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বিনের প্রজ্ঞা দান করেন। আল্লাহই দানকারী আর আমি বণ্টনকারী। (বুখারি, হাদিস : ৭১)
দুনিয়ায় সাময়িক সমস্যা : যারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা, তাদের তিনি দুনিয়ায়ই কিছু শাস্তি ভোগ করান, যাতে পরকালে তাঁর সেই বান্দাকে শাস্তি ভোগ করতে না হয়। আনাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ যখন তাঁর বান্দার মঙ্গল কামনা করেন, তখন দুনিয়ায় তাকে অতি তাড়াতাড়ি বিপদাপদের সম্মুখীন করা হয়। আর যখন তিনি কোনো বান্দার অকল্যাণের ইচ্ছা করেন, তখন তিনি তার গুনাহর শাস্তি প্রদান থেকে বিরত থাকেন। অবশেষে কিয়ামতের দিন তাকে এর পরিপূর্ণ আজাবে নিপতিত করেন। (তিরমিজি, হাদিস : ২৩৯৬)
সম্পদ ও সন্তান দ্বারা আক্রান্ত : আল্লাহ যে ব্যক্তির কল্যাণ চান, তার নিজের এবং সম্পদ ও সন্তানের ওপর বিপদ দেন। রাসুল (সা.) বলেন, কোনো ব্যক্তির জন্য বিনাশ্রমে আল্লাহর পক্ষ থেকে মর্যাদার আসন নির্ধারিত হলে আল্লাহ তার দেহ, সম্পদ অথবা সন্তানকে বিপদগ্রস্ত করেন। অতঃপর সে তাতে ধৈর্যধারণ করলে শেষ পর্যন্ত বরকতময় মহান আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ওই মর্যাদার স্তরে উপনীত হয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩০৯০)
নম্র স্বভাবের অধিকারী : আল্লাহ নম্রতাকে ভালোবাসেন। আর তিনি যার কল্যাণ চান, তাকেই এই গুণ দান করেন। রাসুল (সা.) বলেন, আল্লাহ যখন কোনো আহলে বাইতের কল্যাণ চান, তখন তার মধ্যে নম্রতার উদ্রেক ঘটান। (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ২৪৪৭১)
মৃত্যুর আগে নেক আমলের সুযোগ লাভ : আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে তার জীবদ্দশায় সৎকাজ করার তাওফিক দান করেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, আল্লাহ যখন তাঁর বান্দা সম্পর্কে কল্যাণের ইচ্ছা করেন, তখন তাকে আমল করতে দেন। বলা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! কিভাবে তিনি আমল করতে দেন? তিনি বলেন, মৃত্যুর আগে তিনি তাকে নেক আমলের তাওফিক দান করেন। (তিরমিজি, হাদিস : ২১৪২)
মহান আল্লাহ আমাদের কল্যাণময় জীবন দান করুন। আমিন।