ঢাকা ০৩:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা শমী কায়সারের ব্যাংক হিসাব তলব আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা

উচ্চ আওয়াজে মাইক বাজানো কি জায়েজ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:০২:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৮৮ বার

প্রশ্ন: উচ্চ আওয়াজে মাইক বাজিয়ে ওয়াজ বা সভা-সমাবেশ করা কি জায়েজ?

উত্তর: ওয়াজ মাহফিল বা অন্য যে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশে ব্যাপক পরিমাণে জনসমাগম হলে সভাস্থলে মাইক ব্যবহার করতে কোনো বাধা নেই। তবে আমাদের দেশে ওয়াজ মাহফিল ও সভা-সমাবেশের নামে গভীর রাত পর্যন্ত যেভাবে চতুর্দিকে মাইক লাগিয়ে উঁচু আওয়াজে ওয়াজ ইত্যাদি প্রচার করা হয় তা শরিয়ত সম্মত নয়। আয়োজনকারীদের উচিত গভীর রাত পর্যন্ত ওয়াজ মাহফিল অব্যাহত না রাখা এবং অপ্রয়োজনীয় মাইক ব্যবহার বন্ধ করা।

কেননা এতে মাইকের উচ্চ আওয়াজ আশপাশের বহু মানুষের আরাম ও ঘুম কেড়ে নেয়। অনেক ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত মানুষ, ঘুমন্ত ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী, অসুস্থ, বৃদ্ধ, শিশু, গর্ভবতী নারী, বিভিন্ন ওজরের কারণে বাড়িতে অবস্থানকারী লোকজন, পরীক্ষার্থী, অধ্যয়নরত, গবেষক, নামাজ, দোয়া ও জিকিরে নিমগ্ন ব্যক্তিদের ঘুম ও কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি করে এবং অন্য ধর্মের মানুষেরও ঘুমের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়। আর ইসলামে এভাবে মানুষকে কষ্ট দেওয়া অনুমোদিত নয়।

ওয়াজ মাহফিল তো পরের কথা বরং হাদিসে পার্শ্ববর্তী ব্যক্তির সালাত, কুরআন তেলাওয়াত, দোয়া-তাসবিহ ইত্যাদি ইবাদতে যেন বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় সে জন্য উচ্চ আওয়াজে কুরআন তেলাওয়াত করতে নিষেধ করা হয়েছে। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) মসজিদে (মসজিদে নববি) ইতিকাফ করছিলেন। এমন সময় তিনি শুনতে পেলেন, লোকেরা উঁচু স্বরে কুরআন তেলাওয়াত করছে।

তখন তিনি পর্দার কাপড় সরিয়ে তাদের লক্ষ্য করে বললেন, ‘মনে রাখবে, তোমাদের সবাই তার পালনকর্তার সঙ্গে একান্ত নিভৃত আলাপচারিতায় নিমগ্ন রয়েছ। অতএব, তোমাদের একজন অপরজনকে কষ্ট দেবে না এবং তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে (অথবা তিনি বলেছেন : সালাতের ক্ষেত্রে) একজন অপরজনের ওপর আওয়াজ উঁচু করবে না।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১৩৩২; সহিহ ইবনে খুযাইমা, হাদিস: ১১৬৫; মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১১৮৯৬; মুস্তাদরাকে হাকেম ১/৩১০]

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

উচ্চ আওয়াজে মাইক বাজানো কি জায়েজ

আপডেট টাইম : ০১:০২:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

প্রশ্ন: উচ্চ আওয়াজে মাইক বাজিয়ে ওয়াজ বা সভা-সমাবেশ করা কি জায়েজ?

উত্তর: ওয়াজ মাহফিল বা অন্য যে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশে ব্যাপক পরিমাণে জনসমাগম হলে সভাস্থলে মাইক ব্যবহার করতে কোনো বাধা নেই। তবে আমাদের দেশে ওয়াজ মাহফিল ও সভা-সমাবেশের নামে গভীর রাত পর্যন্ত যেভাবে চতুর্দিকে মাইক লাগিয়ে উঁচু আওয়াজে ওয়াজ ইত্যাদি প্রচার করা হয় তা শরিয়ত সম্মত নয়। আয়োজনকারীদের উচিত গভীর রাত পর্যন্ত ওয়াজ মাহফিল অব্যাহত না রাখা এবং অপ্রয়োজনীয় মাইক ব্যবহার বন্ধ করা।

কেননা এতে মাইকের উচ্চ আওয়াজ আশপাশের বহু মানুষের আরাম ও ঘুম কেড়ে নেয়। অনেক ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত মানুষ, ঘুমন্ত ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী, অসুস্থ, বৃদ্ধ, শিশু, গর্ভবতী নারী, বিভিন্ন ওজরের কারণে বাড়িতে অবস্থানকারী লোকজন, পরীক্ষার্থী, অধ্যয়নরত, গবেষক, নামাজ, দোয়া ও জিকিরে নিমগ্ন ব্যক্তিদের ঘুম ও কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি করে এবং অন্য ধর্মের মানুষেরও ঘুমের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়। আর ইসলামে এভাবে মানুষকে কষ্ট দেওয়া অনুমোদিত নয়।

ওয়াজ মাহফিল তো পরের কথা বরং হাদিসে পার্শ্ববর্তী ব্যক্তির সালাত, কুরআন তেলাওয়াত, দোয়া-তাসবিহ ইত্যাদি ইবাদতে যেন বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় সে জন্য উচ্চ আওয়াজে কুরআন তেলাওয়াত করতে নিষেধ করা হয়েছে। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) মসজিদে (মসজিদে নববি) ইতিকাফ করছিলেন। এমন সময় তিনি শুনতে পেলেন, লোকেরা উঁচু স্বরে কুরআন তেলাওয়াত করছে।

তখন তিনি পর্দার কাপড় সরিয়ে তাদের লক্ষ্য করে বললেন, ‘মনে রাখবে, তোমাদের সবাই তার পালনকর্তার সঙ্গে একান্ত নিভৃত আলাপচারিতায় নিমগ্ন রয়েছ। অতএব, তোমাদের একজন অপরজনকে কষ্ট দেবে না এবং তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে (অথবা তিনি বলেছেন : সালাতের ক্ষেত্রে) একজন অপরজনের ওপর আওয়াজ উঁচু করবে না।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১৩৩২; সহিহ ইবনে খুযাইমা, হাদিস: ১১৬৫; মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১১৮৯৬; মুস্তাদরাকে হাকেম ১/৩১০]