ঢাকা ১১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাশকতার মামলায় মামুনুল হকের ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য গ্রহণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৬৫ বার

কারাবন্দী হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মওলানা মামুনুল হকের নাশকতার একটি মামলায় ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর আজাদ রহমান জানান, আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। কারাকর্তৃপক্ষ আসামিকে আদালতে না পাঠানোয় আদালত ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হল। আগামী ২৬ ডিসেম্বর মামলাটির পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জানান, রাজনৈতিক কারণে মামুনুল হককে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। উনি সুস্থ থাকার পরও তাকে আদালতে হাজির করা হয় না। প্রায় ৪০টি মামলার আসামি মামুনুল হক। যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার ধর্ষণের মামলার বিচার সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। বাকী মামলাগুলোর মধ্যে ৩টি সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে ও ১০টি মতো চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর চার্জগঠনের পর্যায়ে এবং বাকী মামলাগুলো তদন্তাধীন রয়েছে।

আইনজীবী আরও জানান, মামলাগুলোর অধিকাংশই নাশকতার মামলা। তার মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে কয়েটি মামলা রয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে হেফাজতে ইসলাম, বিএনপি ও জামাতের নেতাকর্মীদেরও আসামি করা হয়েছে।

মামলার আবেদন থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর মিরপুর মাজার রোডে একটি বাসে আগুন দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করেন বাস মালিক মাহবুবুর রহমান। মামলাটি তদন্তের পর ২০১৩ সালের ১৯ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে মামুনুল হকসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলার অপর ৪ আসামি হলেন, সিহাব, কালু, রাসেল ও জাকির।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মামুনুল হক ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও সহিংসতার পর বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় ছিলেন। এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আসেন তিনি। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন। এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরেরও বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। এ নিয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জের ধরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নাশকতার মামলায় মামুনুল হকের ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য গ্রহণ

আপডেট টাইম : ১২:৪৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

কারাবন্দী হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মওলানা মামুনুল হকের নাশকতার একটি মামলায় ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর আজাদ রহমান জানান, আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। কারাকর্তৃপক্ষ আসামিকে আদালতে না পাঠানোয় আদালত ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হল। আগামী ২৬ ডিসেম্বর মামলাটির পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জানান, রাজনৈতিক কারণে মামুনুল হককে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। উনি সুস্থ থাকার পরও তাকে আদালতে হাজির করা হয় না। প্রায় ৪০টি মামলার আসামি মামুনুল হক। যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার ধর্ষণের মামলার বিচার সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। বাকী মামলাগুলোর মধ্যে ৩টি সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে ও ১০টি মতো চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর চার্জগঠনের পর্যায়ে এবং বাকী মামলাগুলো তদন্তাধীন রয়েছে।

আইনজীবী আরও জানান, মামলাগুলোর অধিকাংশই নাশকতার মামলা। তার মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে কয়েটি মামলা রয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে হেফাজতে ইসলাম, বিএনপি ও জামাতের নেতাকর্মীদেরও আসামি করা হয়েছে।

মামলার আবেদন থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর মিরপুর মাজার রোডে একটি বাসে আগুন দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করেন বাস মালিক মাহবুবুর রহমান। মামলাটি তদন্তের পর ২০১৩ সালের ১৯ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে মামুনুল হকসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলার অপর ৪ আসামি হলেন, সিহাব, কালু, রাসেল ও জাকির।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মামুনুল হক ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও সহিংসতার পর বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় ছিলেন। এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আসেন তিনি। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন। এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরেরও বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। এ নিয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জের ধরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়।