শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান। তাঁর চাচা সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান। চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে চারবারের সংসদ সদস্য তিনি। তাঁদের সঙ্গে নির্বাচনী লড়াইয়ে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিনও।
তিনটি দলের তিন প্রধানসহ মোট ৯ জন এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। তবে আওয়ামী লীগের খাদিজাতুল আনোয়ার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়ব এই আসনের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী।
স্থানীয়রা বলছে, প্রথমবারের তিনটি রাজনৈতিক দলের তিন প্রধান একই আসন থেকে নির্বাচন করছেন।
নজিবুল বশর আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১৪ দলীয় জোটে থাকলেও সুপ্রিম পার্টি ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট আলাদাভাবেই নির্বাচন করছে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
দলগুলোর নেতারা বলছেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষুম হবে এই আশায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন তাঁরা।
তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে ফটিকছড়ি থেকে আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করব। এটা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে নিশ্চিত হয়ে গেছে। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার বাকি।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ফটিকছড়ির শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, পর্যটনসহ সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন করার জন্য এবারও নির্বাচন করব। ফটিকছড়ি অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ফটিকছড়িবাসী চায় আমি নির্বাচন করি। আমি আমার দলের নিজস্ব প্রতীক একতারা নিয়ে নির্বাচন করব। আমার দলের বিশাল কর্মী বাহিনী রয়েছে ফটিকছড়িতে।
আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পায় এম এ মতিনের বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। এর আগে আশির দশকে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের সুন্নি ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ফটিকছড়িতে নির্বাচনের বিষয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ফটিকছড়িতে আমাদের বিশাল কর্মী বাহিনী আছে। ফটিকছড়ির মধ্যে বিভিন্ন সাধারণ মানুষ ও পীর সাহেব আছেন, তাঁরা আমাদের দলকে সমর্থন করেন। সব তরীকতের পীর সাহেবরা আমাদের দলকে ভালোবাসেন। এ ছাড়া অন্য দ্বিনি প্রতিষ্ঠানগুলোও আমাদের মহব্বত করে। সবার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নির্বাচন করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা দেখা করেছিলাম। উনি আশ্বাস দিয়েছেন, এবারের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। প্রধানমন্ত্রীর কথা বিশ্বাস করেই আমরা নির্বাচনে নেমেছি। এখন পর্যন্ত সব কিছু সঠিকভাবেই চলছে।’