ঢাকা ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মদনে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ইট ভাটা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৮৫ বার

নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণার মদনে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ইট ভাটা। হরদমই পুড়ানো হচ্ছে ইট। এগুলো দেখারও কেউ নেই। ইট ভাটা’র মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে মুখ খুলতেও অনেকে ভয়পায়।

উপজেলার কাইটাইল বাজারের উত্তর পাশ ঘেঁষেই রয়েছে মেসার্স দেওয়ান আকীক ব্রিক্স ও বাজারের দক্ষিণ পাশ ঘেঁষেই রয়েছে আব্দুল ওয়াহেদ ব্রিক্স। আবার ইট ভাটা দুটির পশ্চিম পাশে রয়েছে শত বছরেরও বেশি পুরোনো কাইটাইল ও আখাশ্রী গ্রাম।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সরজমিনে গেলে দেখা যায়, সকল নিয়মকে তোয়াক্কা করে বাররী গ্রামের আব্দুল হামিদের ফসলি জমি থেকে গভীর গর্ত করে আব্দুল ওয়াহেদ ব্রিক্স’র ইট তৈরীর জন্য অনবরত আনা হচ্ছে মাটি।

মেসার্স আকীক ব্রিক্স’র সহকারী ম্যানেজার আলী হায়দার বলেন, দুটি ইট ভাটার পাশেই গ্রাম ও বাজার থাকায়, ২০২২ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। আটকে আছে দুটোরই ছাড়পত্র। তবে, ম্যানেজার আঃ ওয়াহাব আমার চাইতে ভালো জানে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই কিভাবে ইট ভাটা পরিচালনা করছেন? তা জানতে চাওয়া হলে, ম্যানেজার আঃ ওয়াহাব জানান, এ সব বিষয়ে ইউএনও স্যারের সাথে কথা হয়েছে। আপনারা ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেন।

আব্দুল ওয়াহেদ ব্রিক্স’র মালিক আব্দুল ওয়াহেদ জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আমার আছে। আমার ইট ভাটা গ্রামের কাছে হওয়ায়, পরিবেশ অধিদপ্তর আমার নামে অহেতুক মামলা দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, কয়েকটি ইট ভাটার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মামলা রয়েছে। তারপরও যদি কেউ অভিযোগ করে, তদন্ত সাপেক্ষ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মদনে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ইট ভাটা

আপডেট টাইম : ০৩:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণার মদনে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ইট ভাটা। হরদমই পুড়ানো হচ্ছে ইট। এগুলো দেখারও কেউ নেই। ইট ভাটা’র মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে মুখ খুলতেও অনেকে ভয়পায়।

উপজেলার কাইটাইল বাজারের উত্তর পাশ ঘেঁষেই রয়েছে মেসার্স দেওয়ান আকীক ব্রিক্স ও বাজারের দক্ষিণ পাশ ঘেঁষেই রয়েছে আব্দুল ওয়াহেদ ব্রিক্স। আবার ইট ভাটা দুটির পশ্চিম পাশে রয়েছে শত বছরেরও বেশি পুরোনো কাইটাইল ও আখাশ্রী গ্রাম।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সরজমিনে গেলে দেখা যায়, সকল নিয়মকে তোয়াক্কা করে বাররী গ্রামের আব্দুল হামিদের ফসলি জমি থেকে গভীর গর্ত করে আব্দুল ওয়াহেদ ব্রিক্স’র ইট তৈরীর জন্য অনবরত আনা হচ্ছে মাটি।

মেসার্স আকীক ব্রিক্স’র সহকারী ম্যানেজার আলী হায়দার বলেন, দুটি ইট ভাটার পাশেই গ্রাম ও বাজার থাকায়, ২০২২ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। আটকে আছে দুটোরই ছাড়পত্র। তবে, ম্যানেজার আঃ ওয়াহাব আমার চাইতে ভালো জানে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই কিভাবে ইট ভাটা পরিচালনা করছেন? তা জানতে চাওয়া হলে, ম্যানেজার আঃ ওয়াহাব জানান, এ সব বিষয়ে ইউএনও স্যারের সাথে কথা হয়েছে। আপনারা ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেন।

আব্দুল ওয়াহেদ ব্রিক্স’র মালিক আব্দুল ওয়াহেদ জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আমার আছে। আমার ইট ভাটা গ্রামের কাছে হওয়ায়, পরিবেশ অধিদপ্তর আমার নামে অহেতুক মামলা দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, কয়েকটি ইট ভাটার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মামলা রয়েছে। তারপরও যদি কেউ অভিযোগ করে, তদন্ত সাপেক্ষ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।