নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণের শ্রমিকদের ১০৩ কোটি টাকা দিতে লেবার অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে নিম্ন লেবার আ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায়টিকে অবৈধ বলেও ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিচারপতি জাফর আহমেদের নেতৃত্বে দ্বৈত বেঞ্চ রুল খারিজ করে করে এ আদেশ দেন।
রায়ে উল্লেখ করা হয়, ১০৬ শ্রমিক চাইলে শ্রম আদালতে গিয়ে মামলা করতে পারবেন।
এর আগে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী লভ্যাংশ দিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে আপিল বিভাগ নির্দেশ দেন।
গত ৩ এপ্রিল চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে রায় দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
পরে ড. ইউনূস সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩০ মে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন হাইকোর্ট।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১০৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী গ্রামীণ কল্যাণে কর্মরত ছিলেন। এ সময়ে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়।
শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিল দিতে হবে।
এ লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে প্রথমে তারা গ্রামীণ কল্যাণকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু এরপরও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা মামলা করেন।