ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রথম কাবা শরিফ নির্মাণ করেন কে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৬৮ বার

শরিফুল ইসলাম নেত্রকোনা থেকে

প্রশ্ন : কাবা শরিফ নির্মাণের ইতিহাস জানতে চাই? প্রথম কাবা শরিফ নির্মাণ করেন কে?

উত্তর : হজরত আদম (আ.)-এর সৃষ্টির ২ হাজার বছর আগে পৃথিবীর প্রথম ঘর কাবা নির্মাণ করা হয়। আল্লাহর নির্দেশে কাবাঘরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ফেরেশতারা। এ মর্মে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে প্রথম ঘর যা মানুষের জন্য নির্ধারিত হয়েছে, সেটাই হচ্ছে এই ঘর, যা বাক্কায় (মক্কা নগরীতে) অবস্থিত এবং বিশ্ববাসীর জন্য হেদায়েত ও বরকতময়’ (সূরা আলে-ইমরান : ৯৬)। আদম (আ.) পৃথিবীতে আসার পর আল্লাহতায়ালার হুকুমে আবার কাবাগৃহ নির্মাণ করেন এবং কাবাকেন্দ্রিক বিভিন্ন ইবাদত-বন্দেগির নির্দেশ পান। হজরত নূহ (আ.)-এর যুগে মহাপ্লাবনে এ ঘর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলে আল্লাহতায়ালার নির্দেশে কাবাঘর পুনর্নির্মাণ করেন হজরত ইবরাহিম (আ.) ও তার ছেলে হজরত ইসমাইল (আ.)। নির্মাণের পর আল্লাহতায়ালা হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে বিশ্ববাসীকে এ ঘর জিয়ারতের আহ্বান জানানোর নির্দেশ দেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা দাও। তারা দূরদূরান্ত থেকে হেঁটে এবং সব ধরনের কৃশকায় উটে সওয়ার হয়ে তোমার কাছে আসবে’ (সূরা হজ : ২৭)। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর আহ্বানের পর থেকে আজ পর্যন্ত কাবাকেন্দ্রিক ইবাদত ও জিয়ারত বন্ধ হয়নি। বিখ্যাত কুরাইশ বংশ যারা নবিজি (সা.)-এর বংশধর ছিলেন তারা রাসূল (সা.)-এর নবুয়তপ্রাপ্তির ৫ বছর আগে কাবার পুনর্নির্মাণ করেন। এ কাজে হাজরে আসওয়াদ স্থাপন নিয়ে মতভেদ দেখা দিলে সবার সম্মতিক্রমে নবিজি (সা.) কাবাগৃহে তা স্থাপন করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রথম কাবা শরিফ নির্মাণ করেন কে

আপডেট টাইম : ১২:০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

শরিফুল ইসলাম নেত্রকোনা থেকে

প্রশ্ন : কাবা শরিফ নির্মাণের ইতিহাস জানতে চাই? প্রথম কাবা শরিফ নির্মাণ করেন কে?

উত্তর : হজরত আদম (আ.)-এর সৃষ্টির ২ হাজার বছর আগে পৃথিবীর প্রথম ঘর কাবা নির্মাণ করা হয়। আল্লাহর নির্দেশে কাবাঘরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ফেরেশতারা। এ মর্মে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে প্রথম ঘর যা মানুষের জন্য নির্ধারিত হয়েছে, সেটাই হচ্ছে এই ঘর, যা বাক্কায় (মক্কা নগরীতে) অবস্থিত এবং বিশ্ববাসীর জন্য হেদায়েত ও বরকতময়’ (সূরা আলে-ইমরান : ৯৬)। আদম (আ.) পৃথিবীতে আসার পর আল্লাহতায়ালার হুকুমে আবার কাবাগৃহ নির্মাণ করেন এবং কাবাকেন্দ্রিক বিভিন্ন ইবাদত-বন্দেগির নির্দেশ পান। হজরত নূহ (আ.)-এর যুগে মহাপ্লাবনে এ ঘর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলে আল্লাহতায়ালার নির্দেশে কাবাঘর পুনর্নির্মাণ করেন হজরত ইবরাহিম (আ.) ও তার ছেলে হজরত ইসমাইল (আ.)। নির্মাণের পর আল্লাহতায়ালা হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে বিশ্ববাসীকে এ ঘর জিয়ারতের আহ্বান জানানোর নির্দেশ দেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা দাও। তারা দূরদূরান্ত থেকে হেঁটে এবং সব ধরনের কৃশকায় উটে সওয়ার হয়ে তোমার কাছে আসবে’ (সূরা হজ : ২৭)। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর আহ্বানের পর থেকে আজ পর্যন্ত কাবাকেন্দ্রিক ইবাদত ও জিয়ারত বন্ধ হয়নি। বিখ্যাত কুরাইশ বংশ যারা নবিজি (সা.)-এর বংশধর ছিলেন তারা রাসূল (সা.)-এর নবুয়তপ্রাপ্তির ৫ বছর আগে কাবার পুনর্নির্মাণ করেন। এ কাজে হাজরে আসওয়াদ স্থাপন নিয়ে মতভেদ দেখা দিলে সবার সম্মতিক্রমে নবিজি (সা.) কাবাগৃহে তা স্থাপন করেন।