ঢাকা ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুদশক পর নারী প্রধানমন্ত্রী পেতে যাচ্ছে ব্রিটেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৩:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জুলাই ২০১৬
  • ৪০১ বার

যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে প্রথম এবং একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার পদত্যাগ করেছিলেন ১৯৯০ সালের ২২ নভেম্বর। গত দুই দশকে গণতন্ত্রের সূতিকাগার খ্যাত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর আসনে আর কোনো নারীকে দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ব্রেক্সিট আবার সেই সুযোগ করে দিল।

গণভোটের রায়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে এসেছে ব্রিটেন। তার জেরেই প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের বিদায় আসন্ন। দেশের শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টি নতুন প্রার্থী হিসেবে যে দুই জনের নাম জানিয়েছেন, তারা হলেন টেরেসা মে এবং আন্ড্রিয়া লিডসোম। কনজারভেটিভ পার্টির এই দুই নেত্রীর মধ্যেই একজন হতে চলেছেন পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

অপরদিকে মন্ত্রীদের অভ্যন্তরীণ ভোটে আগেই হেরে গিয়েছেন শেষ মূহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে নাম লেখানো ‘লিভ-পন্থী’ নেতা মাইকেল গোভ। মাত্র ৪৬টি ভোট পেয়েছেন তিনি। উল্টো দিকে তেরেসা পেয়েছেন ১৯৯টি ভোট এবং আন্ড্রিয়া ৮৪টি। এ বার ভোট দেবেন মোট দেড় লাখ পার্টি সদস্য। তাদের ভোটই নির্ধারণ করবে কার হাতে দায়িত্বভার তুলে দেবেন ক্যামেরন। ফল জানা যাবে সেপ্টেম্বরের শুরুতে।

কিছু দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড় থেকে নিজের নাম তুলে নিয়েছিলেন লন্ডনের প্রাক্তন মেয়র বরিস জনসন। তার জায়গায় এসেছিল আর এক কনজারভেটিভ নেতা মাইকেল গোভার।

অপরদিকে ১৯৯টা ভোট পেয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী তেরেসা। ২০১০ সাল থেকে দেশের স্বরাষ্ট্র সচিবের পদ সামলাচ্ছেন ‘রিমেন-পন্থী’ এই নেত্রী। বুকিরা কিন্তু তাঁর পক্ষেই বাজি ধরছেন।

তেরেসা বলেন, ‘কয়েক জন সুবিধাভোগীর জন্য নয়। ব্রিটেন যাতে সব শ্রেণির মানুষের বসবাসযোগ্য হয়, সেই চেষ্টাই করব’।

আন্ড্রিয়া লিডসোমকে অবশ্য কয়েক দিন আগেও দেশের মানুষ তেমন চিনতেন না। গণভোটের আগে ইইউ ছেড়ে আসার পক্ষে আওয়াজ তুলে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন বর্তমান শক্তি মন্ত্রী (জুনিয়র) লিডসোম। তার সমর্থকরা অবশ্য বলেন, তারকাদের নেতৃত্ব দিতে দেখতে দেখতে ব্রিটেনের মানুষ ক্লান্ত। তাই এখন অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত মুখই চাইছেন তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

দুদশক পর নারী প্রধানমন্ত্রী পেতে যাচ্ছে ব্রিটেন

আপডেট টাইম : ১১:৫৩:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জুলাই ২০১৬

যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে প্রথম এবং একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার পদত্যাগ করেছিলেন ১৯৯০ সালের ২২ নভেম্বর। গত দুই দশকে গণতন্ত্রের সূতিকাগার খ্যাত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর আসনে আর কোনো নারীকে দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ব্রেক্সিট আবার সেই সুযোগ করে দিল।

গণভোটের রায়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে এসেছে ব্রিটেন। তার জেরেই প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের বিদায় আসন্ন। দেশের শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টি নতুন প্রার্থী হিসেবে যে দুই জনের নাম জানিয়েছেন, তারা হলেন টেরেসা মে এবং আন্ড্রিয়া লিডসোম। কনজারভেটিভ পার্টির এই দুই নেত্রীর মধ্যেই একজন হতে চলেছেন পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

অপরদিকে মন্ত্রীদের অভ্যন্তরীণ ভোটে আগেই হেরে গিয়েছেন শেষ মূহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে নাম লেখানো ‘লিভ-পন্থী’ নেতা মাইকেল গোভ। মাত্র ৪৬টি ভোট পেয়েছেন তিনি। উল্টো দিকে তেরেসা পেয়েছেন ১৯৯টি ভোট এবং আন্ড্রিয়া ৮৪টি। এ বার ভোট দেবেন মোট দেড় লাখ পার্টি সদস্য। তাদের ভোটই নির্ধারণ করবে কার হাতে দায়িত্বভার তুলে দেবেন ক্যামেরন। ফল জানা যাবে সেপ্টেম্বরের শুরুতে।

কিছু দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড় থেকে নিজের নাম তুলে নিয়েছিলেন লন্ডনের প্রাক্তন মেয়র বরিস জনসন। তার জায়গায় এসেছিল আর এক কনজারভেটিভ নেতা মাইকেল গোভার।

অপরদিকে ১৯৯টা ভোট পেয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী তেরেসা। ২০১০ সাল থেকে দেশের স্বরাষ্ট্র সচিবের পদ সামলাচ্ছেন ‘রিমেন-পন্থী’ এই নেত্রী। বুকিরা কিন্তু তাঁর পক্ষেই বাজি ধরছেন।

তেরেসা বলেন, ‘কয়েক জন সুবিধাভোগীর জন্য নয়। ব্রিটেন যাতে সব শ্রেণির মানুষের বসবাসযোগ্য হয়, সেই চেষ্টাই করব’।

আন্ড্রিয়া লিডসোমকে অবশ্য কয়েক দিন আগেও দেশের মানুষ তেমন চিনতেন না। গণভোটের আগে ইইউ ছেড়ে আসার পক্ষে আওয়াজ তুলে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন বর্তমান শক্তি মন্ত্রী (জুনিয়র) লিডসোম। তার সমর্থকরা অবশ্য বলেন, তারকাদের নেতৃত্ব দিতে দেখতে দেখতে ব্রিটেনের মানুষ ক্লান্ত। তাই এখন অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত মুখই চাইছেন তারা।