অধ্যক্ষ ড. গোলসান আরা বেগমঃ
ভেজা চোখে কপাল ছোঁয়ে দেখি
হু হু করে ওঠে বুকের মধ্যভাগ
হারিয়ে বুঝি,আসবে না ফিরে
সে ছিলো আমার জীবনের শতভাগ।
নাক ফুল ধরে বসে আছি
সবার চোখে করুনার চাহনি
স্বজনরা নিয়ে এসেছে সাদা শাড়ী
হাতের চুড়ি,নাক ফুল খুলে ফেলতে হবে
ধরিয়ে দিয়েছে খাদ্য তালিকা
হতে হবে নিরামিশ ভোজি
কিন্তু কেন? উত্তর নেই কারো জানা।
যাকে হারিয়েছি,সে পড়েনি সাদা সার্ট
নিথর দেহটি ওঠেনি খাটিয়ায়
যতসব তাড়াহুড়া আমার নিয়ে
কৃসংস্কারের পাতা খুলে দমকায়।
আগুনের কাছে যাওয়া যাবে না
চল্লিশ দিন থাকতে হবে জায়নামজে বসে
পা রাখা যাবে না মাটিতে
কিন্তু কেন? দৈনন্দিন কারুকাজ কি গোল্লায় যাবে।
আমি বলি – এসব আজুগবি কালচার
মানুষ আসবে যাবে,বোবা বধির পৃথিবীতে
শীত বৃস্টি রোদে হামাগুড়ি দিয়ে
মধ্য জামে করবে নিঃশ্বাসের ওঠানামা।
অতঃপর শীতল ঘুমের ক্ষত
বেশী কি আর।