ঢাকা ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিরে মায়ের দেয়া পাউরুটি খেতে চেয়েছিল গুলশান অভিযানে নিহত মুব্বাসীর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ জুলাই ২০১৬
  • ৩১৬ বার

চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি বনানী ডিওএইচএসের বাসা থেকে গুলশানে একটি কোচিংয়ের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পর থেকে এতদিন নিখোঁজ ছিল স্কলাসটিকা থেকে ‘ও’ লেভেল শেষ করা মীর সামেহ মুব্বাসীর (১৮)।

অনেক খোঁজ করেও ছেলেকে না পেয়ে গুলশান থানায় জিডি করেছিলেন মুব্বাসীরের বাবা অ্যালকাটেল-লুসেন্ট বাংলাদেশের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মীর হায়াত কবির।

অভিযানে নিহত মুব্বাসীরের মা খালেদা পারভীন সরকারি তিতুমীর কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তারা দুই ভাই। বড় ভাই মীর সাদমান মুনতাসিম কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে গ্রাজুয়েশন করছেন।

গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে একদল অস্ত্রধারী ঢুকে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে।

সেখানে তাদের গুলিতে ২ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। এরপর তারা দেশি-বিদেশি ২০

জনকে গলা কেটে হত্যা করে। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কমান্ডো অভিযানের মধ্যদিয়ে রেস্টুরেন্টের নিয়ন্ত্রণ নেয় নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় ৬ জঙ্গি নিহত হয়।

ওই হামলায় জড়িত দাবি করে সাইট ইন্টিলিজেন্স পাঁচজনের ছবি প্রকাশ করেছে। পুলিশও শনিবার রাতে নিহত পাঁচজনের ছবি প্রকাশ করে।

দু’পক্ষের ছবির অন্তত চারজনের চেহারার মিল রয়েছে। এর মধ্যে জঙ্গিদের সঙ্গে মীর সামেহ মুব্বাসীরের চেহারার মিল রয়েছে।

পুলিশ ওই পাঁচজনের নাম বলেছে আকাশ, বিকাশ, ডন, বাঁধন ও রিপন। ত বে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি।

মুব্বাসীরের চাচা এমএ হাসান আল মুরাদ গণমাধ্যমকে জানান, নিখোঁজের দিন বিকেল ৩টায় প্রাইভেট কারে গুলশান এভিনিউয়ের আর এ কোচিং সেন্টারের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয় মুব্বাসীর।

তিনি জানান, পরে গাড়িচালক জুয়েল তাকে আনতে গিয়ে আর পায়নি। তার মোবাইলও বন্ধ ছিল। ওই দিন মুব্বাসীর কোচিং সেন্টারে যায়নি বলেও সেখান থেকে জানানো হয়।

গুলশান থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজমুল আলম বলেছিলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল বলেছে, যানজটের কারণে মুব্বাসীরকে কোচিং সেন্টারের আগেই নামিয়ে দিয়েছিল। চালক কখনো বলছে, মুব্বাসীরকে বনানী ১১-এর সামনে নামিয়ে দিয়েছেল। আবার বলছে, আজাদ মসজিদের কাছে নামিয়ে দিয়েছিল।

ঘটনার দিন মুব্বাসীর বাসা থেকে বের হওয়ার আগে তার মা কলেজ থেকে বাসায় ফিরলে মা-ছেলের মধ্যে শেষ কথা হয় বলে জানান খালাতো বোন সারাহ।

তিনি বলেন, খালা বাসায় ঢোকার সময় মুব্বাসীর কোচিংয়ের জন্য বের হচ্ছিল। মা ছেলের মুখোমুখি হওয়ার পর নছিলা দিয়ে পাউরুটি খেতে বলেছিলেন খালা। কোচিং শেষ করে বাসায় ফিরে নাস্তা করবে বলে সে বেরিয়ে যায়। তথ্যসূত্র : জাগোনিউজ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফিরে মায়ের দেয়া পাউরুটি খেতে চেয়েছিল গুলশান অভিযানে নিহত মুব্বাসীর

আপডেট টাইম : ১২:২৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ জুলাই ২০১৬

চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি বনানী ডিওএইচএসের বাসা থেকে গুলশানে একটি কোচিংয়ের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পর থেকে এতদিন নিখোঁজ ছিল স্কলাসটিকা থেকে ‘ও’ লেভেল শেষ করা মীর সামেহ মুব্বাসীর (১৮)।

অনেক খোঁজ করেও ছেলেকে না পেয়ে গুলশান থানায় জিডি করেছিলেন মুব্বাসীরের বাবা অ্যালকাটেল-লুসেন্ট বাংলাদেশের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মীর হায়াত কবির।

অভিযানে নিহত মুব্বাসীরের মা খালেদা পারভীন সরকারি তিতুমীর কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তারা দুই ভাই। বড় ভাই মীর সাদমান মুনতাসিম কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে গ্রাজুয়েশন করছেন।

গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে একদল অস্ত্রধারী ঢুকে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে।

সেখানে তাদের গুলিতে ২ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। এরপর তারা দেশি-বিদেশি ২০

জনকে গলা কেটে হত্যা করে। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কমান্ডো অভিযানের মধ্যদিয়ে রেস্টুরেন্টের নিয়ন্ত্রণ নেয় নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় ৬ জঙ্গি নিহত হয়।

ওই হামলায় জড়িত দাবি করে সাইট ইন্টিলিজেন্স পাঁচজনের ছবি প্রকাশ করেছে। পুলিশও শনিবার রাতে নিহত পাঁচজনের ছবি প্রকাশ করে।

দু’পক্ষের ছবির অন্তত চারজনের চেহারার মিল রয়েছে। এর মধ্যে জঙ্গিদের সঙ্গে মীর সামেহ মুব্বাসীরের চেহারার মিল রয়েছে।

পুলিশ ওই পাঁচজনের নাম বলেছে আকাশ, বিকাশ, ডন, বাঁধন ও রিপন। ত বে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি।

মুব্বাসীরের চাচা এমএ হাসান আল মুরাদ গণমাধ্যমকে জানান, নিখোঁজের দিন বিকেল ৩টায় প্রাইভেট কারে গুলশান এভিনিউয়ের আর এ কোচিং সেন্টারের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয় মুব্বাসীর।

তিনি জানান, পরে গাড়িচালক জুয়েল তাকে আনতে গিয়ে আর পায়নি। তার মোবাইলও বন্ধ ছিল। ওই দিন মুব্বাসীর কোচিং সেন্টারে যায়নি বলেও সেখান থেকে জানানো হয়।

গুলশান থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজমুল আলম বলেছিলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল বলেছে, যানজটের কারণে মুব্বাসীরকে কোচিং সেন্টারের আগেই নামিয়ে দিয়েছিল। চালক কখনো বলছে, মুব্বাসীরকে বনানী ১১-এর সামনে নামিয়ে দিয়েছেল। আবার বলছে, আজাদ মসজিদের কাছে নামিয়ে দিয়েছিল।

ঘটনার দিন মুব্বাসীর বাসা থেকে বের হওয়ার আগে তার মা কলেজ থেকে বাসায় ফিরলে মা-ছেলের মধ্যে শেষ কথা হয় বলে জানান খালাতো বোন সারাহ।

তিনি বলেন, খালা বাসায় ঢোকার সময় মুব্বাসীর কোচিংয়ের জন্য বের হচ্ছিল। মা ছেলের মুখোমুখি হওয়ার পর নছিলা দিয়ে পাউরুটি খেতে বলেছিলেন খালা। কোচিং শেষ করে বাসায় ফিরে নাস্তা করবে বলে সে বেরিয়ে যায়। তথ্যসূত্র : জাগোনিউজ