ঢাকা ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ভুল অস্ত্রোপচার, যা ঘটেছিল প্রিয়াঙ্কা সঙ্গে সচিবালয়ে উপদেষ্টা হাসান আরিফের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন সাবেক সচিব ইসমাইল রিমান্ডে অবশেষে বিল পাস করে ‘শাটডাউন’ এড়াল যুক্তরাষ্ট্র চাঁদাবাজদের ধরতে অভিযান শুরু হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবেন ড. ইউনূস ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ১৬ জুলাই আন্দোলন বিগত বছরগুলোর অনিয়মের সমষ্টি: ফারুকী তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ‘সড়কে নৈরাজ্যের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত

বাঁশের সাকোয় লাঘব হলো দুর্ভোগ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
  • ১১০ বার

স্বাধীনতার ৫২ বছর পর একটি বাঁশের সাকো’য় তৈরি হলো দুটি গ্রামের মানুষের সেতুবন্ধন। সহজেই বদলে গেল এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। সাতক্ষীরা পৌরসভার কল্যাণে বেলা ১২ টার সময় শহরের উপকন্ঠে আবাদানি খালের উপর তৈরি করা একটি বাঁশের সাকো।

পৌরসভার দৌলতপুর উত্তরপাড়া এবং খড়িবিলা গ্রামের আবাদানী এলাকার মানুষের চালাচল ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার সুবিধার্থে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু এবং ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মারুফ আহম্মেদ এলাকার দুর্ভোগ লাঘবে এ বাঁশের সাকো নির্মাণ করেন।

এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে একটি বাঁশের সাকোয় দুটি অঞ্চলের মানুষের সেতু বন্ধনের দ্বার উন্মোচিত হলো।

স্থানীয়রা জানান, সাকো নির্মাণের আগে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। বাঁশের সাকো নির্মাণ হওয়ায় দৌলতপুর উত্তরপাড়া এবং খড়িবিলা (আবাদানী) গ্রামের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হলো। স্কুলের ছেলে মেয়েদের আগে অনেক পথ ঘুরে বাগবাটি গ্রামের সেতু পার হয়ে খড়িবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যেতে হতো। ওই এলাকার মানুষকে অনেক পথ ঘুরে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এলাকা দিয়ে এলাকায় যেতে হতো। এখন এই বাঁশের সাকো নির্মাণের ফলে এলাকাবাসীকে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে তাদের আর দৌলতপুর ও খড়িবিলা গ্রামে যাতায়াত করতে হবে না। আবাদানী খালের উপর মঙ্গবার বার এই সাকো নির্মাণের ফলে দুপুরের পর থেকে অতিসহজেই দুই গ্রামের পায়ে হাটা মানুষ যাতায়াত করতে পারচ্ছে। এতে যেমন তাদের সময় বাঁচবে তেমনি এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে। এই বাঁশের সাকো নির্মাণে বেশি খুশি খড়িবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানায়, শুকনা মৌসুমে স্কুলে যেতে পারলেও বর্ষা মৌসুম তাদের অতিকষ্টে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ভিন্ন এলাকা দিয়ে তাদের স্কুলে যেতে হত। এখন দৌলতপুরে বসাবারত বাসীন্দা ও তাদের ছেলে মেয়েরা অতিসহজেই স্কুলে যাতায়াত করতে পারবে।

সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু বলেন, পৌরসভার ৬নং এবং ৭নং ওয়ার্ডের মানুষের চলাচলের জন্য একটি বাঁশের সাকো নির্মাণ করার দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে পৌরসভার অর্থায়নে এ বাঁশের সাকো নির্মাণ করা হয়েছে। একটি বাঁশের সাকো দুটি ওয়ার্ডের মানুষের চলাচলের সেতুবন্ধন হবে। এতে এলাকাবসীর দুর্ভোগ লাঘব হলো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

বাঁশের সাকোয় লাঘব হলো দুর্ভোগ

আপডেট টাইম : ১১:৪৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

স্বাধীনতার ৫২ বছর পর একটি বাঁশের সাকো’য় তৈরি হলো দুটি গ্রামের মানুষের সেতুবন্ধন। সহজেই বদলে গেল এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। সাতক্ষীরা পৌরসভার কল্যাণে বেলা ১২ টার সময় শহরের উপকন্ঠে আবাদানি খালের উপর তৈরি করা একটি বাঁশের সাকো।

পৌরসভার দৌলতপুর উত্তরপাড়া এবং খড়িবিলা গ্রামের আবাদানী এলাকার মানুষের চালাচল ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার সুবিধার্থে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু এবং ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মারুফ আহম্মেদ এলাকার দুর্ভোগ লাঘবে এ বাঁশের সাকো নির্মাণ করেন।

এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে একটি বাঁশের সাকোয় দুটি অঞ্চলের মানুষের সেতু বন্ধনের দ্বার উন্মোচিত হলো।

স্থানীয়রা জানান, সাকো নির্মাণের আগে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। বাঁশের সাকো নির্মাণ হওয়ায় দৌলতপুর উত্তরপাড়া এবং খড়িবিলা (আবাদানী) গ্রামের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হলো। স্কুলের ছেলে মেয়েদের আগে অনেক পথ ঘুরে বাগবাটি গ্রামের সেতু পার হয়ে খড়িবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যেতে হতো। ওই এলাকার মানুষকে অনেক পথ ঘুরে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এলাকা দিয়ে এলাকায় যেতে হতো। এখন এই বাঁশের সাকো নির্মাণের ফলে এলাকাবাসীকে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে তাদের আর দৌলতপুর ও খড়িবিলা গ্রামে যাতায়াত করতে হবে না। আবাদানী খালের উপর মঙ্গবার বার এই সাকো নির্মাণের ফলে দুপুরের পর থেকে অতিসহজেই দুই গ্রামের পায়ে হাটা মানুষ যাতায়াত করতে পারচ্ছে। এতে যেমন তাদের সময় বাঁচবে তেমনি এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে। এই বাঁশের সাকো নির্মাণে বেশি খুশি খড়িবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানায়, শুকনা মৌসুমে স্কুলে যেতে পারলেও বর্ষা মৌসুম তাদের অতিকষ্টে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ভিন্ন এলাকা দিয়ে তাদের স্কুলে যেতে হত। এখন দৌলতপুরে বসাবারত বাসীন্দা ও তাদের ছেলে মেয়েরা অতিসহজেই স্কুলে যাতায়াত করতে পারবে।

সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু বলেন, পৌরসভার ৬নং এবং ৭নং ওয়ার্ডের মানুষের চলাচলের জন্য একটি বাঁশের সাকো নির্মাণ করার দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে পৌরসভার অর্থায়নে এ বাঁশের সাকো নির্মাণ করা হয়েছে। একটি বাঁশের সাকো দুটি ওয়ার্ডের মানুষের চলাচলের সেতুবন্ধন হবে। এতে এলাকাবসীর দুর্ভোগ লাঘব হলো।