ঢাকা ১২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক বছরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক বেড়েছে দুই কোটি ৯২ লাখ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৫:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩
  • ৭৩ বার

বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবা বা এমএফএস সংক্রান্ত প্রতিবেদন বলছে, গত এক বছরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের হিসাব বা অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েছে দুই কোটি ৯১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৬৬টি। চলতি বছরের আগস্ট শেষে মোট মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২১ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার ৪৭৬। এক বছর আগে ২০২২ সালের আগস্ট শেষে যা ছিল ১৮ কোটি ৩২ লাখ ২৪ হাজার ৬১০টি। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহকের সঙ্গে বাড়ছে লেনদেন। বর্তমানে নগদ, বিকাশ, রকেট, উপায়, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ বিভিন্ন নামে ১৩টি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস এ সেবা দিচ্ছে। নিবন্ধিত হিসাবের মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১২ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ১৪১ ও নারী ৮ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ৫৯৮ জন। আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ১৮ হাজার ৯৮৮টি। টানা তিন মাস একবারও লেনদেন ক‌রে‌নি এমন হিসাবকে নিষ্ক্রিয় বলে গণ্য করে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো। সেই হিসাবে আগস্ট শেষে সক্রিয় গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ১৯ লাখ ৬৩ হাজার। ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার সিংহভাগই বিকাশের দখলে। এরপরই রয়েছে নগদ’র অবস্থান। মোবাইল ব্যাংকিং গরিবের ব্যাংকিংয়ে পরিণত হয়েছে। বাড়ি থেকে দূরে দেশের যে কোন অঞ্চলে একজন শ্রমজীবি মানুষ পরিশ্রম করে বা একজন সারাদিন রিকশা চালিয়ে সন্ধ্যায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রামের বাড়িতে টাকা পাঠিয়ে দিতে পারছে। তৈরি পোশাক শিল্পের মত শ্রমঘন শিল্পের শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। মাসের বেতনের জন্য এখন আর লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করতে হয় না। বেতন নির্দিষ্ট সময়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের হিসাবে জমা হচ্ছে। আগস্ট মাসে এসব প্রতিষ্ঠানের দুই হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর নির্ভরযোগ্য লেনদেনের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং ক্যাশলেস লেনদেনেও ব্যবহৃত হচ্ছে। বেতন-ভাতা ছাড়াও আগস্ট মাসে ৪ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা কেনাকাটায় বা অন্য প্রয়োজনে লেনদেন করেছেন হিসাবধারীরা। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিলের মত বিভিন্ন পরিষেবার বিল পরিশোধ করা হয়েছে তিন হাজার ২৫০ কোটি টাকার। তথ্যে দেখা যায়, আগস্ট মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ঢুকেছে ৩৫ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা, আর উত্তোলন হয়েছে ৩০ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। এ সময় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ৩০ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আর প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ৫১৫ কোটি টাকা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এক বছরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক বেড়েছে দুই কোটি ৯২ লাখ

আপডেট টাইম : ১১:১৫:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবা বা এমএফএস সংক্রান্ত প্রতিবেদন বলছে, গত এক বছরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের হিসাব বা অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েছে দুই কোটি ৯১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৬৬টি। চলতি বছরের আগস্ট শেষে মোট মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২১ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার ৪৭৬। এক বছর আগে ২০২২ সালের আগস্ট শেষে যা ছিল ১৮ কোটি ৩২ লাখ ২৪ হাজার ৬১০টি। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহকের সঙ্গে বাড়ছে লেনদেন। বর্তমানে নগদ, বিকাশ, রকেট, উপায়, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ বিভিন্ন নামে ১৩টি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস এ সেবা দিচ্ছে। নিবন্ধিত হিসাবের মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১২ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ১৪১ ও নারী ৮ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ৫৯৮ জন। আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ১৮ হাজার ৯৮৮টি। টানা তিন মাস একবারও লেনদেন ক‌রে‌নি এমন হিসাবকে নিষ্ক্রিয় বলে গণ্য করে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো। সেই হিসাবে আগস্ট শেষে সক্রিয় গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ১৯ লাখ ৬৩ হাজার। ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার সিংহভাগই বিকাশের দখলে। এরপরই রয়েছে নগদ’র অবস্থান। মোবাইল ব্যাংকিং গরিবের ব্যাংকিংয়ে পরিণত হয়েছে। বাড়ি থেকে দূরে দেশের যে কোন অঞ্চলে একজন শ্রমজীবি মানুষ পরিশ্রম করে বা একজন সারাদিন রিকশা চালিয়ে সন্ধ্যায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রামের বাড়িতে টাকা পাঠিয়ে দিতে পারছে। তৈরি পোশাক শিল্পের মত শ্রমঘন শিল্পের শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। মাসের বেতনের জন্য এখন আর লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করতে হয় না। বেতন নির্দিষ্ট সময়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের হিসাবে জমা হচ্ছে। আগস্ট মাসে এসব প্রতিষ্ঠানের দুই হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর নির্ভরযোগ্য লেনদেনের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং ক্যাশলেস লেনদেনেও ব্যবহৃত হচ্ছে। বেতন-ভাতা ছাড়াও আগস্ট মাসে ৪ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা কেনাকাটায় বা অন্য প্রয়োজনে লেনদেন করেছেন হিসাবধারীরা। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিলের মত বিভিন্ন পরিষেবার বিল পরিশোধ করা হয়েছে তিন হাজার ২৫০ কোটি টাকার। তথ্যে দেখা যায়, আগস্ট মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ঢুকেছে ৩৫ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা, আর উত্তোলন হয়েছে ৩০ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। এ সময় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ৩০ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আর প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ৫১৫ কোটি টাকা।