রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনেক দিন পর তাঁর নিজ গ্রাম কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুরে গেছেন। নিজ পৈত্রিক বাড়িতে গিয়ে তিনি যেন হয়ে গেছেন গ্রামের অন্যসব সাধারণ মানুষের মতোই। হাওর এলাকা অধ্যুষিত নিজ গ্রামের সাধারণ মানুষগুলোর খোজ নিতে তিনি এখন বেজায় ব্যস্ত। তবে আশ্চর্য বিষয় হলো তিনি লুঙ্গি পরে সাধারণ মানুষের কাছে ছুটে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে নয় বরং তাদের হামিদ ভাই হিসেবে।
হাওরবেষ্টিত এই এলাকাটিতে যোগাযোগের জন্য একমাত্র বাহন হলো নৌকা কিংবা বিশেষ কোন জলযান। অনেকদিন পর রাষ্টপতি এখানে এসে তাই তো বিশেষ একটি জলযান নিয়ে বেরিয়ে পরেছেন এলাকার মানুষের খোজ খবর নিতে। সেই সাথে জিয়ারত
করেন চিরনিদ্রায় শায়িত নিজ মা-বাবার কবর।
দুরন্ত শৈশব-কৈশোর ও যৌবনের হাজারো স্মৃতিবিজড়িত ঘোড়াউত্রা নদীপাড়ের কামালপুর গ্রামের হিজল তমাল তরুর শ্যামল ছায়ায় এসে তিনি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছেন। এর আগেও রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি দু’বার ছুটে এসেছিলেন কামালপুর গ্রামে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আগমনে কামালপুর গ্রাম তথা গোটা মিঠামইন উপজেলায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ১৯৭৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৪ বছর কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিয়ে কাণ্ডারির ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। আর এ কারণে নিজ নির্বাচনী এলাকা কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) এলাকার পাশাপাশি জেলা শহরের রাজনীতিক, সমাজকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে রয়েছে তার নিবিড় সম্পর্ক। আর সে কারণে কামালপুর পৈতৃক ভিটায় অবস্থানকালে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন এবং বন্ধুবান্ধব ও স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন তিনি। ঘুরে দেখছেন প্রয়াত মা-বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চিরচেনা পথ-ঘাট, প্রান্তর ও হাওরবাসীকে।
এর আগে, বুধবার দুপুর ২টার দিকে তাকে বহনকারী বিশেষ হেলিকপ্টারটি মিঠামইনের কামালপুর গ্রামে অবতরণ করে। তিন দিনের সরকারি সফরের শেষদিনে তিনি শুক্রবার বিকালে হেলিকপ্টারযোগে বঙ্গভবনের উদ্দেশে কামালপুর ত্যাগ করবেন।