ঢাকা ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইতিহাসের আলোকে কিশোরগঞ্জ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৫:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০১৬
  • ৩২৬ বার

ইতিহাসের আলোকে কিশোরগঞ্জ। ব্রহ্মপুত্রের পূর্বতীরে এক সমৃদ্ধ জনপদের নাম। বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার অন্যতম একটি জেলা। থানার সংখ্যা ১৩ টি। জেলা কিশোরগঞ্জ প্রতিষ্ঠাকাল ১ ফেব্রুয়ারী ১৯৮৪। তার আগে বৃহত্তর ময়মনসিংহের একটি মহকুমা ছিল। মহকুমা হিসেবে এর আত্তপ্রকাশ ঘটে ১৮৬০ খ্রীষ্টাব্দে। ভৌগলিকভাবে ২৪ ডিগ্রী ০২ থেকে ২৪ ডিগ্রী ৩৮ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০ ডিগ্রী ০২ থেকে ৯০ ডিগ্রী ১৩ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে কিশোরগঞ্জের অবস্থান।

ভারতীয় উপমহাদেশের এক সময়ের বৃহত্তর জেলা ছিল ময়মনসিংহ। ১৭৮৭ খ্রীষ্টাব্দের ১লা মে ময়মনসিংহ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। মোগল সম্রাট আকবরের সময় তার রাজ সচিব টোডরমল্লের বাংলার ভূমি ও রাজস্বের সুব্যবস্থা করেন। টোডরমল্লের বন্দোবস্তই ইতিহাসে “ওয়াসিল তুমার জমা”(Rent Roll)নামে পরিচিত। ১৫৮২ খ্রীষ্টাব্দে টোডরমল্লের এই বন্দোবস্তে বাংলাদেশকে ১৯ টি সরকার এবং সরকার গুলো কে ৬৮২টি মহালে বিভত্ত করা হয়।এর ভিতর একটি সরকারের নাম “সরকার বাজুহা”।সরকার বাজুহার মহালের সংখ্যা ছিল ৩২টি। বলা হয়ে থাকে সুলতান হোসেন শাহের সময়ে অঞ্চলটি “নছরত শাহী” প্রদেশ নামে পরিচিত ছিল,টোডরল্লের বন্দোবস্তে তারই নাম ‘সরকার বাজুহা’।

উক্ত সরকারের আয়তন ছিল পূর্বসীমা বর্তমানের বৃহত্তর সিলেট জেলার কিছু অংশ, পশ্চিমে বৃহত্তর রাজশাহী, বগুড়া ও পাবনা জেলার অংশ বিশেষ এবং দক্ষিনে বর্তমান ঢাকা শহরের দক্ষিন, বুড়ীগঙ্গার তীর পর্যন্ত। ইংরেজ আমলেই ‘সরকার বাজুহা’হলো বিশাল ময়মনসিংহ জেলা। স্বভাবতঃই আজকের কিশোরগঞ্জ তখন কার সরকার বাজুহার অন্তর্গত ছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইতিহাসের আলোকে কিশোরগঞ্জ

আপডেট টাইম : ০২:৫৫:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০১৬

ইতিহাসের আলোকে কিশোরগঞ্জ। ব্রহ্মপুত্রের পূর্বতীরে এক সমৃদ্ধ জনপদের নাম। বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার অন্যতম একটি জেলা। থানার সংখ্যা ১৩ টি। জেলা কিশোরগঞ্জ প্রতিষ্ঠাকাল ১ ফেব্রুয়ারী ১৯৮৪। তার আগে বৃহত্তর ময়মনসিংহের একটি মহকুমা ছিল। মহকুমা হিসেবে এর আত্তপ্রকাশ ঘটে ১৮৬০ খ্রীষ্টাব্দে। ভৌগলিকভাবে ২৪ ডিগ্রী ০২ থেকে ২৪ ডিগ্রী ৩৮ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০ ডিগ্রী ০২ থেকে ৯০ ডিগ্রী ১৩ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে কিশোরগঞ্জের অবস্থান।

ভারতীয় উপমহাদেশের এক সময়ের বৃহত্তর জেলা ছিল ময়মনসিংহ। ১৭৮৭ খ্রীষ্টাব্দের ১লা মে ময়মনসিংহ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। মোগল সম্রাট আকবরের সময় তার রাজ সচিব টোডরমল্লের বাংলার ভূমি ও রাজস্বের সুব্যবস্থা করেন। টোডরমল্লের বন্দোবস্তই ইতিহাসে “ওয়াসিল তুমার জমা”(Rent Roll)নামে পরিচিত। ১৫৮২ খ্রীষ্টাব্দে টোডরমল্লের এই বন্দোবস্তে বাংলাদেশকে ১৯ টি সরকার এবং সরকার গুলো কে ৬৮২টি মহালে বিভত্ত করা হয়।এর ভিতর একটি সরকারের নাম “সরকার বাজুহা”।সরকার বাজুহার মহালের সংখ্যা ছিল ৩২টি। বলা হয়ে থাকে সুলতান হোসেন শাহের সময়ে অঞ্চলটি “নছরত শাহী” প্রদেশ নামে পরিচিত ছিল,টোডরল্লের বন্দোবস্তে তারই নাম ‘সরকার বাজুহা’।

উক্ত সরকারের আয়তন ছিল পূর্বসীমা বর্তমানের বৃহত্তর সিলেট জেলার কিছু অংশ, পশ্চিমে বৃহত্তর রাজশাহী, বগুড়া ও পাবনা জেলার অংশ বিশেষ এবং দক্ষিনে বর্তমান ঢাকা শহরের দক্ষিন, বুড়ীগঙ্গার তীর পর্যন্ত। ইংরেজ আমলেই ‘সরকার বাজুহা’হলো বিশাল ময়মনসিংহ জেলা। স্বভাবতঃই আজকের কিশোরগঞ্জ তখন কার সরকার বাজুহার অন্তর্গত ছিল।