প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশটির সঙ্গে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। কৃষিখাত, সংস্কৃতি ও টাকা-রুপির বিনিময় বিষয়ে এসব সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন মন্ত্রী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় গুরুত্ব পাবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তবে তিস্তা চুক্তি সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কী কী বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হবে সে সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, যে তিনটি সমঝোতা স্মারক হবে, তা হলো— কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক চুক্তির মেয়াদ ২০২৩ থেকে ২৫ পর্যন্ত বাড়ানো এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনপিসিআই-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
মোমেন বলেন, ভারতের এনপিসিআই ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হলে দুই পক্ষের মধ্যে নেটওয়ার্ক-টু-নেটওয়ার্ক সংযোগের মাধ্যমে রুপি-টাকা পারস্পরিক লেনদেনের কাজ সহজ হবে।
এ কে আবদুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী জি টোয়েন্টি সম্মেলনের দুটি অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন। তার বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা মহামারি ও যুদ্ধের কারণে জরুরি পণ্যের নির্বিঘ্ন সরবরাহের বিষয়টি উঠে আসবে।
মন্ত্রী জানান, সম্মেলনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ভারত, সৌদি আরব, আর্জেন্টিনা, আরব আমিরাত, কানাডার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে পারেন।
বিশ্বের শিল্পোন্নত ও বিকাশমান অর্থনীতির জোট জি-টোয়েন্টির শীর্ষ সম্মেলন আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিল্লি যাবেন।
পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার বিকেল বৈঠকে বসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে হায়দরাবাদ হাউস অথবা সাউথ ব্লকে নয়, বঙ্গবন্ধুকন্যার সঙ্গে মোদি বৈঠক করবেন নিজের বাসভবনে।
কূটনৈতিক শিবিরের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার বলছে, আন্তরিকতার বার্তা দিতেই এই গৃহঅভ্যর্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে শুরু হবে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। বাংলাদেশ এই গোষ্ঠীর সদস্য নয়। কিন্তু ভারত জি২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব পাওয়ার পরই মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশকেই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত, যা দুই দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছনোর দৃষ্টান্ত বলেই ধরছে ভারতের কূটনৈতিক মহল।