ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যেসব সুবিধা পাবেন নগরবাসী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৭০ বার

যানজট নিরসনে দেশে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। সিগন্যাল, ট্রাফিক জ্যামবিহীন এমন এক উড়াল সড়ক দেশের মানুষের জন্য এখন আর কল্পনা নয়, বাস্তব। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) এ এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হবে এই উড়ালসড়ক। এরপর এই সড়ক দিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে কাওলা থেকে ফার্মগেটের তেজগাঁও আসতে সময় লাগবে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিট।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে এক্সপ্রেসওয়েটি। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের কাজ।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে কমবে ঢাকার যানজট। ফলে কমবে জনগণের ভোগান্তিও। এমনটাই বলছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে—

নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো:
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে। আগে যেখানে বিমানবন্দর দিয়ে রাজধানীতে প্রবেশের পর যানজটের কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে কত সময় লাগবে তা নির্দিষ্ট করে বলার উপায় ছিলো না। তবে উড়াল সড়ক দিয়ে এই পথ পাড়ি দিতে গাড়িতে সময় লাগবে ১০ থেকে ১২ মিনিট।

কর্মঘণ্টা বাঁচবে:
ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত রুট এটি। এই রাস্তায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালুর ফলে একদিকে উড়ালপথে দ্রুত যাতায়াত করা যাবে, অন্যদিকে নিচের সড়কে গাড়ির চাপ কমবে। এতে দুর্বিষহ যানজটের স্বস্তি মিলবে। ফলে ঢাকাবাসীর কর্মঘণ্টা বাঁচবে।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন:
রাজধানীর উত্তর অংশে গাজীপুর শিল্পাঞ্চল। সেখানকার বেশিরভাগই তৈরি পোশাক শিল্প। এসব রপ্তানি পণ্য রাজধানীর যানজট পেরিয়ে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরসহ নির্ধারিত গন্তব্যে যাওয়া ছিল বেশ ঝক্কির বিষয়। তবে সেই কষ্টের দিন ফুরাবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে। এই উড়ালসড়ক ধরে রাজধানীর চিরায়ত যানজট এড়িয়ে কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে রপ্তানি পণ্যবাহী যানবাহন। এতে দেশের অর্থনৈতিক চাকা আরও সচল হবে।

স্মার্ট বাংলাদেশের পথে:
এই উড়ালসড়ক দেশের জন্য নতুন দিগন্তের দুয়ার খুলে দেবে এবং সরকারের যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিশন রয়েছে, সেই লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে। এর ফলে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ রাজধানীবাসীর দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে জড়িত অনেক বিষয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে।

ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলে সুবিধা:
উন্নত বিশ্বের শহরগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা যেখানে কমিয়ে আনা হচ্ছে সেখানে বাংলাদেশে ঘটছে এর উল্টোটি। ঢাকায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করে। প্রতিদিন যোগ হচ্ছে প্রায় ৪০টি নতুন ব্যক্তিগত গাড়ি। বাড়ছে মোটরসাইকেলের সংখ্যাও। ব্যক্তিগত গাড়ির কারণে রাজধানীতে বাড়ছে যানজট-বিশৃঙ্খলা। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত গাড়ি যাদের রয়েছে, তারা যখন এই উড়ালসড়ক ব্যবহার করবেন তখন নিচের সড়কের চাপ অনেকটাই কমবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যেসব সুবিধা পাবেন নগরবাসী

আপডেট টাইম : ১০:৩৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

যানজট নিরসনে দেশে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। সিগন্যাল, ট্রাফিক জ্যামবিহীন এমন এক উড়াল সড়ক দেশের মানুষের জন্য এখন আর কল্পনা নয়, বাস্তব। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) এ এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হবে এই উড়ালসড়ক। এরপর এই সড়ক দিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে কাওলা থেকে ফার্মগেটের তেজগাঁও আসতে সময় লাগবে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিট।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে এক্সপ্রেসওয়েটি। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের কাজ।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে কমবে ঢাকার যানজট। ফলে কমবে জনগণের ভোগান্তিও। এমনটাই বলছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে—

নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো:
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে। আগে যেখানে বিমানবন্দর দিয়ে রাজধানীতে প্রবেশের পর যানজটের কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে কত সময় লাগবে তা নির্দিষ্ট করে বলার উপায় ছিলো না। তবে উড়াল সড়ক দিয়ে এই পথ পাড়ি দিতে গাড়িতে সময় লাগবে ১০ থেকে ১২ মিনিট।

কর্মঘণ্টা বাঁচবে:
ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত রুট এটি। এই রাস্তায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালুর ফলে একদিকে উড়ালপথে দ্রুত যাতায়াত করা যাবে, অন্যদিকে নিচের সড়কে গাড়ির চাপ কমবে। এতে দুর্বিষহ যানজটের স্বস্তি মিলবে। ফলে ঢাকাবাসীর কর্মঘণ্টা বাঁচবে।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন:
রাজধানীর উত্তর অংশে গাজীপুর শিল্পাঞ্চল। সেখানকার বেশিরভাগই তৈরি পোশাক শিল্প। এসব রপ্তানি পণ্য রাজধানীর যানজট পেরিয়ে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরসহ নির্ধারিত গন্তব্যে যাওয়া ছিল বেশ ঝক্কির বিষয়। তবে সেই কষ্টের দিন ফুরাবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে। এই উড়ালসড়ক ধরে রাজধানীর চিরায়ত যানজট এড়িয়ে কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে রপ্তানি পণ্যবাহী যানবাহন। এতে দেশের অর্থনৈতিক চাকা আরও সচল হবে।

স্মার্ট বাংলাদেশের পথে:
এই উড়ালসড়ক দেশের জন্য নতুন দিগন্তের দুয়ার খুলে দেবে এবং সরকারের যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিশন রয়েছে, সেই লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে। এর ফলে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ রাজধানীবাসীর দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে জড়িত অনেক বিষয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে।

ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলে সুবিধা:
উন্নত বিশ্বের শহরগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা যেখানে কমিয়ে আনা হচ্ছে সেখানে বাংলাদেশে ঘটছে এর উল্টোটি। ঢাকায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করে। প্রতিদিন যোগ হচ্ছে প্রায় ৪০টি নতুন ব্যক্তিগত গাড়ি। বাড়ছে মোটরসাইকেলের সংখ্যাও। ব্যক্তিগত গাড়ির কারণে রাজধানীতে বাড়ছে যানজট-বিশৃঙ্খলা। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত গাড়ি যাদের রয়েছে, তারা যখন এই উড়ালসড়ক ব্যবহার করবেন তখন নিচের সড়কের চাপ অনেকটাই কমবে।