প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সরকারের পরবর্তী লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি শান্তি বজায় রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিশাল সম্ভাবনা আমরা দেখতে পাই।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন করেছি। ২০০৬ সালে দারিদ্রের হার ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল। আমরা সেটি কমিয়ে ২০২২ সালে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। একই সঙ্গে আমরা অতিদারিদ্রের হারও কমিয়ে এনেছি। আমরা প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। এ ছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আমরা ভূমি ও গৃহহীনদের ঘর দিচ্ছি।
বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উচিত কৃত্রিম পছন্দ এবং বৈষম্যকে না বলা। সার্বজনীন নিয়ম ও মূল্যবোধকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। পাশপাশি অবশ্যই স্যাংশন ও কাউন্টার স্যাংশনের চক্র বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া সমস্ত হুমকি, উসকানি এবং যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।
ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে আগত ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বসবাস করছে। তারা আমাদের কাঁধের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভাসহ বিশ্বের অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।