ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অত্যাধুনিক ১০তলা ভবন হচ্ছে আ’ লীগ কার্যালয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০১৬
  • ৩০৭ বার

বহুতল ভবন হচ্ছে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়। ১০তলা এই ভবনে থাকছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ছোয়া।

ইতোমধ্যেই নতুন এই ভবনের নকশা দলটির কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকেও অনুমোদিত হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে নতুন ভবনের কাজ শুরু হতে পারে বলে নিশ্চিত করেছেন দলটির নীতি নির্ধারকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে এই কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়াও কৃষকলীগ, মহিলা লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের কার্যালয় রয়েছে। বহু পুরনো ও জীর্ণ হওয়ায় দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে দলের নেতা-কর্মীদের। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনাও নতুন বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগে সম্মতি দিয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বহুতল ভবন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। নিজস্ব অর্থায়নে ভবন করার জন্য একটি তহবিল গঠনের প্রস্তাবও করা হয় ওই সময়।

সূত্র জানায়, ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের চার তলা ভবনটি বর্তমানে প্রায় আট কাঠা জমির ওপর অবস্থিত। পুরনো ও জীর্ণ এই ভবনটি ৯৯ বছরের জন্য আওয়ামী লীগকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য আওয়ামী লীগের নামে ছাড়পত্রও দিয়েছে গণপূর্ত ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়। এ জন্য দলের পক্ষ থেকে এক কোটি টাকাও দিতে হয়েছে সরকারকে।

সূত্র আরও জানায়, ভবন নির্মাণের জন্য কোনো ঠিকাদার নিয়োগ করা হচ্ছে না। গণপূর্ত মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনই কার্যালয় নির্মাণের দায়িত্ব পাচ্ছেন।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ‘গত ৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নকশা অনুমোদন করেছেন। এটি আওয়ামী লীগের বর্তমান ঠিকানা ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে নির্মিত হবে।’

বাজেট কত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলের ফান্ডের টাকায় ব্যয় বহন করা হবে। এ জন্য কারও কাছে অনুদান চাইছি না।’

তবে কর্মীরা চাইলে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী দলের ফান্ডে অনুদান দিতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০তলা ভবনটিতে রাখা হচ্ছে সম্মেলন কক্ষ, অত্যাধুনিক গ্রন্থাগার, সেমিনার কক্ষ, বিশেষ অতিথি কক্ষ, ক্যান্টিন, ডরমেটরি।

সাংবাদিকদের জন্য পৃথক কেন্দ্র রাখা হচ্ছে এই পরিকল্পনায়। দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য বড় পরিসরে পৃথক কক্ষও থাকছে। পুরো কার্যালয়টিতে থাকছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ছোয়া।

উল্লেখ্য, পুরান ঢাকার কে এম দাশ লেনের রোজ গার্ডেনে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আত্মপ্রকাশ করে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আসার আগ পর্যন্ত ৬৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আট থেকে নয় বার কার্যালয় পাল্টিয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

অত্যাধুনিক ১০তলা ভবন হচ্ছে আ’ লীগ কার্যালয়

আপডেট টাইম : ১২:৪২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০১৬

বহুতল ভবন হচ্ছে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়। ১০তলা এই ভবনে থাকছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ছোয়া।

ইতোমধ্যেই নতুন এই ভবনের নকশা দলটির কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকেও অনুমোদিত হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে নতুন ভবনের কাজ শুরু হতে পারে বলে নিশ্চিত করেছেন দলটির নীতি নির্ধারকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে এই কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়াও কৃষকলীগ, মহিলা লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের কার্যালয় রয়েছে। বহু পুরনো ও জীর্ণ হওয়ায় দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে দলের নেতা-কর্মীদের। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনাও নতুন বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগে সম্মতি দিয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বহুতল ভবন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। নিজস্ব অর্থায়নে ভবন করার জন্য একটি তহবিল গঠনের প্রস্তাবও করা হয় ওই সময়।

সূত্র জানায়, ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের চার তলা ভবনটি বর্তমানে প্রায় আট কাঠা জমির ওপর অবস্থিত। পুরনো ও জীর্ণ এই ভবনটি ৯৯ বছরের জন্য আওয়ামী লীগকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য আওয়ামী লীগের নামে ছাড়পত্রও দিয়েছে গণপূর্ত ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়। এ জন্য দলের পক্ষ থেকে এক কোটি টাকাও দিতে হয়েছে সরকারকে।

সূত্র আরও জানায়, ভবন নির্মাণের জন্য কোনো ঠিকাদার নিয়োগ করা হচ্ছে না। গণপূর্ত মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনই কার্যালয় নির্মাণের দায়িত্ব পাচ্ছেন।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ‘গত ৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নকশা অনুমোদন করেছেন। এটি আওয়ামী লীগের বর্তমান ঠিকানা ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে নির্মিত হবে।’

বাজেট কত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলের ফান্ডের টাকায় ব্যয় বহন করা হবে। এ জন্য কারও কাছে অনুদান চাইছি না।’

তবে কর্মীরা চাইলে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী দলের ফান্ডে অনুদান দিতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০তলা ভবনটিতে রাখা হচ্ছে সম্মেলন কক্ষ, অত্যাধুনিক গ্রন্থাগার, সেমিনার কক্ষ, বিশেষ অতিথি কক্ষ, ক্যান্টিন, ডরমেটরি।

সাংবাদিকদের জন্য পৃথক কেন্দ্র রাখা হচ্ছে এই পরিকল্পনায়। দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য বড় পরিসরে পৃথক কক্ষও থাকছে। পুরো কার্যালয়টিতে থাকছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ছোয়া।

উল্লেখ্য, পুরান ঢাকার কে এম দাশ লেনের রোজ গার্ডেনে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আত্মপ্রকাশ করে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আসার আগ পর্যন্ত ৬৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আট থেকে নয় বার কার্যালয় পাল্টিয়েছে।