ঢাকা ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃদ্ধের ডেরায় ১২ নারী, মেটাতেন যৌন লালসা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০১৬
  • ২০৫ বার

রতিবেশীর ফোন পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পেনিনসিলভেনিয়ার একটি বাসা থেকে পুলিশ ১২ জন নারীকে উদ্ধার করেছে।

বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় লি কাপলান (৫১) নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। খবর ওয়াশিংটনপোস্টের।

তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কেন ওই বাড়িতে ১২ বছরের কম বয়সী ওই নারীদের রাখা হয়েছিল, তার কোনো কূলকিনারা করতে পারছে না।

ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে তাদের দিয়ে লি কাপলান তার যৌন লালসা মেটাতেন।

উদ্ধারদের মধ্যে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণী রয়েছেন, যাকে দুটি কন্যা সন্তানসহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় লি কাপনাল ছাড়াও ওই তরুণীর মা-বাবাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পরে তরুণীর বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি এবং তার স্ত্রী আইনি বিষয়ক অনলাইনে খোঁজ পেয়ে মেয়েকে লি কাপলানকে ‘উপহার’ হিসেবে দেন।

এরপর মাত্র ১৪ বছর বয়সে সে সেখানে অন্তঃসত্তা হয়। পুলিশের ধারণা, বাকি নয়জনও সম্পর্কে পরস্পরের বোন এবং ওই দম্পত্তির সন্তান।
রহস্য ঘেরা এই বাড়ি থেকে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়

গত এক বছর ধরে প্রতিবেশীরা লি কাপলানের সন্দেহজনক বাড়ির বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ করছিল। এরপর শিশু অধিকার কল্যাণ এক সংস্থাও প্রতিবেদন করে।

কিন্তু সর্বশেষ প্রতিবেশী জেন বেটজের ফোন পেয়ে ওই বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করল পুলিশ।

জেন বেটজ বলেন, ‘আমি সেখানে গত সপ্তাহে কাজের জন্য গিয়েছিলাম। দেখলাম, বাড়ির বারান্দায় কয়েকজন মেয়ে দাঁড়িয়ে। তাদের চেহারা মলিন এবং তারা অসুখী।’

তিনি বলেন, ‘পরে আমি তাদের আরও একদিন নীল পোশাকে দেখি। এরপরই আমি আমার স্বামীকে বিষয়টি বলি- নিশ্চয় সেখানে অনৈতিক কিছু হচ্ছে।’

বেটজ আরও জানান, প্রায় সময়ই তিনি মেয়েদের দেখতেন। তাদের চেহারায় ভিত এবং হতাশাগ্রস্তের ছাপ স্পষ্ট।

লোয়ার সাউদাম্পটনের জননিরাপত্তা পরিচালক রবার্ট হোপস বলেন, অভিযোগ পেলেও তারা লি কাপলানকে গ্রেফতার করার মতো উপযুক্ত তথ্য পাচ্ছিলেন না।

তিনি বলেন, ফোনে এ ধরনের অভিযোগ তারা প্রায়শ পান। শিশু নিপীড়নের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায় না। লি কাপলানের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল।

ফিলাডেলফিয়ার তার ঠিকানায় গিয়ে গোটা বাড়ি খুঁজেও কোনো শিশুকে পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেশীরা জানান, লি কাপলান তার বাড়িতে ১২ জন মেয়েকে রেখেছেন। কিন্তু কাপলান আদালতকে বলেন, তার বাড়িতে কোনো মেয়ে নেই।

ড্যানিয়েল ও স্যাভিলা দম্পত্তি তাদের মেয়েকে ‘উপহার’ দেন
রবার্ট হোপস জানান, সত্যিকার অর্থে ওই মেয়েদের বাড়ির বেজমেন্টে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। অবশ্য সেখানে তাদের জন্য পড়ালেখা, গানের বিভিন্ন যন্ত্র ও বাড়ির কাজের নানা সরঞ্জাম ছিল।

এরপর শনিবার তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে একটি নীল রঙের ভ্যান ও সাদা রঙের কার জব্দ করা হয়। এছাড়া কাউকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে কিনা, সেটি জানতে কুকুর দিয়ে তল্লাশি করা হয়।

গ্রেফতারের লি কাপলান পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ছয় মাস ও তিন বছর বয়সী দুটি কন্যা সন্তানের পিতা। এখনকার ১৮ বছর বয়সী তরুণী এই বাড়িতে আসার পর যখন অন্তঃসত্তা হয়, তার বয়স ছিল ১৪ বছর।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীকে তার বাবা ড্যানিয়েল ও মা স্যাভিলা স্টলটজফাস লি কাপলানকে ‘উপহার’ দেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে সে বিকৃত যৌন নিপীড়নের শিকার হয়।

কিন্তু বাকি নয়জনও ওই দম্পত্তির সন্তান। আর্থিক টানাপোড়েনে তাদের লি কাপনালের কাছে দেয়া হয়। তবে এখন এসব সন্তানের পিতৃত্ব দাবি করার মতো কোনো প্রমাণাদি ওই দ্ম্পতির নেই।

তারা পুলিশকে জানিয়েছেন, নয় সন্তানকে কাপলানের কাছে দেয়ার পর তাদের ফার্ম নষ্ট হয়ে যায়। ফলে এখন তাদের কাছে সন্তানের পিতৃত্ব দাবি করার জন্য জন্মসনদ কিংবা সামাজিক নিরাপত্তার কোনো প্রমাণাদি অবশিষ্ট নেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বৃদ্ধের ডেরায় ১২ নারী, মেটাতেন যৌন লালসা

আপডেট টাইম : ১২:১৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০১৬

রতিবেশীর ফোন পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পেনিনসিলভেনিয়ার একটি বাসা থেকে পুলিশ ১২ জন নারীকে উদ্ধার করেছে।

বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় লি কাপলান (৫১) নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। খবর ওয়াশিংটনপোস্টের।

তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কেন ওই বাড়িতে ১২ বছরের কম বয়সী ওই নারীদের রাখা হয়েছিল, তার কোনো কূলকিনারা করতে পারছে না।

ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে তাদের দিয়ে লি কাপলান তার যৌন লালসা মেটাতেন।

উদ্ধারদের মধ্যে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণী রয়েছেন, যাকে দুটি কন্যা সন্তানসহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় লি কাপনাল ছাড়াও ওই তরুণীর মা-বাবাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পরে তরুণীর বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি এবং তার স্ত্রী আইনি বিষয়ক অনলাইনে খোঁজ পেয়ে মেয়েকে লি কাপলানকে ‘উপহার’ হিসেবে দেন।

এরপর মাত্র ১৪ বছর বয়সে সে সেখানে অন্তঃসত্তা হয়। পুলিশের ধারণা, বাকি নয়জনও সম্পর্কে পরস্পরের বোন এবং ওই দম্পত্তির সন্তান।
রহস্য ঘেরা এই বাড়ি থেকে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়

গত এক বছর ধরে প্রতিবেশীরা লি কাপলানের সন্দেহজনক বাড়ির বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ করছিল। এরপর শিশু অধিকার কল্যাণ এক সংস্থাও প্রতিবেদন করে।

কিন্তু সর্বশেষ প্রতিবেশী জেন বেটজের ফোন পেয়ে ওই বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করল পুলিশ।

জেন বেটজ বলেন, ‘আমি সেখানে গত সপ্তাহে কাজের জন্য গিয়েছিলাম। দেখলাম, বাড়ির বারান্দায় কয়েকজন মেয়ে দাঁড়িয়ে। তাদের চেহারা মলিন এবং তারা অসুখী।’

তিনি বলেন, ‘পরে আমি তাদের আরও একদিন নীল পোশাকে দেখি। এরপরই আমি আমার স্বামীকে বিষয়টি বলি- নিশ্চয় সেখানে অনৈতিক কিছু হচ্ছে।’

বেটজ আরও জানান, প্রায় সময়ই তিনি মেয়েদের দেখতেন। তাদের চেহারায় ভিত এবং হতাশাগ্রস্তের ছাপ স্পষ্ট।

লোয়ার সাউদাম্পটনের জননিরাপত্তা পরিচালক রবার্ট হোপস বলেন, অভিযোগ পেলেও তারা লি কাপলানকে গ্রেফতার করার মতো উপযুক্ত তথ্য পাচ্ছিলেন না।

তিনি বলেন, ফোনে এ ধরনের অভিযোগ তারা প্রায়শ পান। শিশু নিপীড়নের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায় না। লি কাপলানের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল।

ফিলাডেলফিয়ার তার ঠিকানায় গিয়ে গোটা বাড়ি খুঁজেও কোনো শিশুকে পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেশীরা জানান, লি কাপলান তার বাড়িতে ১২ জন মেয়েকে রেখেছেন। কিন্তু কাপলান আদালতকে বলেন, তার বাড়িতে কোনো মেয়ে নেই।

ড্যানিয়েল ও স্যাভিলা দম্পত্তি তাদের মেয়েকে ‘উপহার’ দেন
রবার্ট হোপস জানান, সত্যিকার অর্থে ওই মেয়েদের বাড়ির বেজমেন্টে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। অবশ্য সেখানে তাদের জন্য পড়ালেখা, গানের বিভিন্ন যন্ত্র ও বাড়ির কাজের নানা সরঞ্জাম ছিল।

এরপর শনিবার তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে একটি নীল রঙের ভ্যান ও সাদা রঙের কার জব্দ করা হয়। এছাড়া কাউকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে কিনা, সেটি জানতে কুকুর দিয়ে তল্লাশি করা হয়।

গ্রেফতারের লি কাপলান পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ছয় মাস ও তিন বছর বয়সী দুটি কন্যা সন্তানের পিতা। এখনকার ১৮ বছর বয়সী তরুণী এই বাড়িতে আসার পর যখন অন্তঃসত্তা হয়, তার বয়স ছিল ১৪ বছর।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীকে তার বাবা ড্যানিয়েল ও মা স্যাভিলা স্টলটজফাস লি কাপলানকে ‘উপহার’ দেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে সে বিকৃত যৌন নিপীড়নের শিকার হয়।

কিন্তু বাকি নয়জনও ওই দম্পত্তির সন্তান। আর্থিক টানাপোড়েনে তাদের লি কাপনালের কাছে দেয়া হয়। তবে এখন এসব সন্তানের পিতৃত্ব দাবি করার মতো কোনো প্রমাণাদি ওই দ্ম্পতির নেই।

তারা পুলিশকে জানিয়েছেন, নয় সন্তানকে কাপলানের কাছে দেয়ার পর তাদের ফার্ম নষ্ট হয়ে যায়। ফলে এখন তাদের কাছে সন্তানের পিতৃত্ব দাবি করার জন্য জন্মসনদ কিংবা সামাজিক নিরাপত্তার কোনো প্রমাণাদি অবশিষ্ট নেই।