পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ, টোল আদায়-সহ আনুষঙ্গিক কাজ পরিচালনায় ব্যবস্থাপনা কোম্পানী গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। পদ্মা সেতু প্রকল্পে যুক্ত থাকা জনবলকে একীভূত করেই “পদ্মা ব্রিজ অপারেশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট কোম্পানী” নামে সংস্থাটি গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে।
‘চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন’ পদ্মা সেতুর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মেগা প্রকল্পটির বাস্তবায়নে এই প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছাড়াও আরও অনেক দেশি-বিদেশি পরামর্শক ও জনবল বিভিন্ন সময়ে যুক্ত থেকেছে। আর পুরো প্রকল্পে শ্রমঘন কাজগুলো করেছেন এদেশের শ্রমিকরা।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সাথে সরকারি জনবল যুক্ত আছেন ৯৫ জন। যার মধ্যে প্রকল্প পরিচালকসহ বড় বড় পদে ৩২ জন। সহকারী পরিচালক, হিসাব রক্ষক, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ও গাড়ি চালকের মত পদে ৬৩ জন।
কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করর্পোরেশন-কেইসি এবং চীনা প্রতিষ্ঠান এমবিইসি পাঁচ বছর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ে সেতু কর্তৃপক্ষের সাথে এখন চুক্তিবদ্ধ। তাদের মেয়াদ শেষ হলেই দায়িত্ব বুঝে নেবে নতুন রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মনজুর হোসেন বলেন, “বোর্ডের অনুমতি আমরা পেয়েছি এবং এটার কাজ চলছে। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর প্রকল্পের কাজ চলবে। এই সময়ের মধ্যে কোম্পানি গঠন করা হবে।”
বর্তমান সক্ষমতায় সেতু কর্তৃপক্ষের একার পেশাদারিত্বের সাথে শতবর্ষী সেতুটির দেখভাল সম্ভব নয়। এসব বিবেচনায় স্বতন্ত্র সত্ত্বা গঠনে আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতির কাজ চলছে।
মো. মনজুর হোসেন বলেন, “নামটা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবে কোম্পানি করা হয়েছে যাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের যদি কাজে লাগানো যায়। এতো বছর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে তারা যে কাজগুলো করেছে এই বিশেষ দক্ষতা-জ্ঞানকে আমরা কাজে লাগাতে পারবো। এমনও হতে পারে তাদের থেকে থাকবে এবং নতুন লোকও আসবে। সব মিলিয়ে পদ্মা সেতু উইনডেম কোম্পানি গঠন করা হবে।”
সেতু সচিব জানিয়েছেন, পুরনোদের মধ্য থেকে অভিজ্ঞদের উপযুক্ততা সাপেক্ষে নতুন কোম্পানিতে নিয়োগের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় থাকবে।