মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ ট্যাব বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোণা মদন উপজেলার “বালালী বাঘমারা খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক দাখিল মাদ্রাসা”র সুপার মোঃ বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে।
দেশের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের প্রধানমন্ত্রী’র দেওয়া উপহার ট্যাব বিতরণে অনিয়ম পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো বালালী বাঘমারা খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক দাখিল মাদ্রাসা।
সরজমিনে গেলে জানান যায়, চলতি বছর উক্ত মাদ্রাসার নবম ও দশম শেণির ছাত্র-ছাত্রীরা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে ১০ টি ট্যাব পায়। উক্ত দুই শেণির প্রথম থেকে পঞ্চম স্থান অধিকারী ছাত্র-ছাত্রীরা উক্ত উপহার পাওয়ার কথা থাকলেও, সুপার তৃতীয় স্থান অধিকারী মাসুমা আক্তারকে ট্যাব না দিয়ে সভাপতির মেয়ে মুক্তা মানি’কে দিয়ে দেয়। তবে, দশম শ্রেণির হাজিরা খাতায় মুক্তা মণি’র নাম পাওয়া যায়নি।
অন্য দিকে নবম শ্রেণির দ্বিতীয় স্থান অধিকারী আঃ আউয়াল, তৃতীয় স্থান অধিকারী রক্সি আক্তার ও চতুর্থ স্থান অধিকারী আব্দুল মালেক চৌধুরীকে ট্যাব না দিয়ে, সপ্তম স্থান অধিকারী তানজিমুল হক মুন্না, অষ্টম স্থান অধিকারী রাজন মিয়া ও বারতম স্থান অধিকারী জামিরুল হোসেনকে ট্যাব দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্র ডালিম বলেন, আমার ক্লাস রোল ১০, আমায় ট্যাব না দিয়ে রোল ১২ কে দেওয়া হয়েছে। এধরনের অনিয়ম মেনে নেয়া যায় না।
এ বিষয়ে সুপার মোঃ বজলুর রহমান জানান, যারা ক্লাসে নিয়মিত তাদেরকেই ট্যাব দেওয়া হয়েছে। সভাপতির মেয়ের নাম হাজিরা খাতায় না থাকার পরও কিভাবে ট্যাব পেলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, দশম শ্রেণির চার জনের পর আর কাউকে না পেয়ে তার নাম দিয়েছি।
কমিটির সভাপতি এ বিষয়ে বলেন, আমার মেয়ে গত বছর দাখিল দেওয়ার কথা ছিলো দিতে পারেনি। তাই বলে কি ট্যাব নিতে পারবে না?
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শফিকুল বারী বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত হয়েছি। ইতোমধ্যে ১-৫ এর মধ্যে যাদের রোল তাদেরকে ট্যাব দেওয়ার জন্য সুপারকে নির্দেশ দিয়েছি। যদি সমাধান না করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।