দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার রূপান্তর এবং ১০ লাখের বেশি ক্ষুদ্র কৃষকের সুবিধায় প্রায় ৩৮৯ কোটি টাকার (৩৫ মিলিয়ন ডলার) একটি প্রকল্প চালু করেছে কৃষি মন্ত্রণালয় ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফার্টিলাইজার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আইএফডিসি)।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যাক্টিভিটি (সিএসএ)’ শীর্ষক পাঁচ বছর (২০২০-২০২৮) মেয়াদি এ প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার প্রধান অতিথি এবং আইফিডিসির প্রেসিডেন্ট ও সিইও হেংক ফান রেইন, ইউএসএআইডির ইকোনমিক গ্রোথ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ যান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত দেন সিএসএ অ্যাক্টিভিটি চিফ অব পার্টি ইশরাত জাহান।
এসময় বক্তারা বলেন, এমন এক সময়ে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে, যখন জলবায়ু পরিবর্তনসহ চালের দাম নিয়ে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ক্ষুদ্র কৃষকরা অধিক মাত্রায় ঝুঁকি মোকাবিলা করছেন। এ প্রকল্পের আওতায় সিএসএ কৃষক, খামার ও সরকারি অংশীদারদের সহযোগিতা করবে। যেন ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহার ও অনুশীলন এবং আরও সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক খাদ্য ও কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো যায়।
সিএসএ অ্যাক্টিভিটির হিসাবে, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ লাখ ১ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন সার ও ৪২৪ মিলিয়ন ইউএস ডলারের সারের ভর্তুকি সাশ্রয় হবে এবং ক্রমবর্ধমান হারে ৯ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন ফসল উৎপাদন হবে।