ঢাকা ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা শমী কায়সারের ব্যাংক হিসাব তলব আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা

মদনে বাকীতে মালামাল না দিলে দোকানে আগুন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫২:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩
  • ১২৬ বার

মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা মদন উপজেলার পৌর শহরের মদন বাজারে উপজেলা পোস্ট অফিসের সামনে নন্দিনী স্টোর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুলিহাঁটি (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের আলা-আমিন ও তার ছেলে আপনের (১৮) বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১৬ জুন) সরজমিনে গেলে জানা যায়, নন্দিনী স্টোরের মালিক সুমন চন্দ্র দে এর বাড়ি উপজেলার বাড়রি বাগতপুর গ্রামে। তার পিতা কাজল চন্দ্র দে। সে দীর্ঘ দিন ধরে মদন বাজার টিএনটি রোডে উপজেলা পোস্ট অফিসের সামনে মনোহারী ব্যবসা করে আসছে। কিছু দিন পূর্বে আল-আমিন ও তার ছেলে আপন নন্দিনী স্টোর থেকে মালামাল বাকী নিতে চাইলে কথা কাটা হয় সুমনের সাথে। তারই জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে দোকান মালিক সুমন বলেন, কিছু দিন পূর্বে আল-আমিন ও তার ছেলে আপন আমার দোকানে মালামাল বাকী নিতে আসলে আমি বাকী দিতে অস্বীকৃতি জানালে, তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে বলে, বাজারে কিভাবে ব্যবসা করিস দেখে নিবো। আরো বলে, তর দোকান ও তরে এক সাথে পুড়ব এই বলে হুমকি দিয়েছিলো। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার প্রায় ১২ লক্ষ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।
আপনের পিতা আল-আমিন জানান, আমার ছেলে গত রাতে রাগ কারে ইমদাদপুর রাস্তা নানী বাড়িতে চলে গেলে তার নানী বুঝিয়ে আমার বাসায় পাঠানোর সময় রাস্তায় বৃষ্টি হলে সে সুমনের দোকানের বারান্দায় আশ্রয় নেয়। তখন হঠাৎ বিকট শব্দ হয়ে তেলের মতো কি যেনো তার শরীলে পরে এবং আগুন লেগে যায়। এখন আমার ছেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ সাদেক মিয়া জানান, দোকান পুড়ার এমন ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা জানাই। আল-আমিন ও তার ছেলে আপনকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে মদন ফায়ার স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আকরামুল ইসলাম জানান, আমরা রাত আড়াইটা’র দিকে কল পেয়ে মদন বাজারে যাই এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আগুন নিবানোর সময় কোনো বৃষ্টি ছিলো না। আমরা পৌঁছার আগেই অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে সরজমিনে গিয়েছি। বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতা করা হবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

মদনে বাকীতে মালামাল না দিলে দোকানে আগুন

আপডেট টাইম : ০৬:৫২:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩

মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা মদন উপজেলার পৌর শহরের মদন বাজারে উপজেলা পোস্ট অফিসের সামনে নন্দিনী স্টোর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুলিহাঁটি (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের আলা-আমিন ও তার ছেলে আপনের (১৮) বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১৬ জুন) সরজমিনে গেলে জানা যায়, নন্দিনী স্টোরের মালিক সুমন চন্দ্র দে এর বাড়ি উপজেলার বাড়রি বাগতপুর গ্রামে। তার পিতা কাজল চন্দ্র দে। সে দীর্ঘ দিন ধরে মদন বাজার টিএনটি রোডে উপজেলা পোস্ট অফিসের সামনে মনোহারী ব্যবসা করে আসছে। কিছু দিন পূর্বে আল-আমিন ও তার ছেলে আপন নন্দিনী স্টোর থেকে মালামাল বাকী নিতে চাইলে কথা কাটা হয় সুমনের সাথে। তারই জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে দোকান মালিক সুমন বলেন, কিছু দিন পূর্বে আল-আমিন ও তার ছেলে আপন আমার দোকানে মালামাল বাকী নিতে আসলে আমি বাকী দিতে অস্বীকৃতি জানালে, তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে বলে, বাজারে কিভাবে ব্যবসা করিস দেখে নিবো। আরো বলে, তর দোকান ও তরে এক সাথে পুড়ব এই বলে হুমকি দিয়েছিলো। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার প্রায় ১২ লক্ষ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।
আপনের পিতা আল-আমিন জানান, আমার ছেলে গত রাতে রাগ কারে ইমদাদপুর রাস্তা নানী বাড়িতে চলে গেলে তার নানী বুঝিয়ে আমার বাসায় পাঠানোর সময় রাস্তায় বৃষ্টি হলে সে সুমনের দোকানের বারান্দায় আশ্রয় নেয়। তখন হঠাৎ বিকট শব্দ হয়ে তেলের মতো কি যেনো তার শরীলে পরে এবং আগুন লেগে যায়। এখন আমার ছেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ সাদেক মিয়া জানান, দোকান পুড়ার এমন ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা জানাই। আল-আমিন ও তার ছেলে আপনকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে মদন ফায়ার স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আকরামুল ইসলাম জানান, আমরা রাত আড়াইটা’র দিকে কল পেয়ে মদন বাজারে যাই এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আগুন নিবানোর সময় কোনো বৃষ্টি ছিলো না। আমরা পৌঁছার আগেই অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে সরজমিনে গিয়েছি। বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতা করা হবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।