যশোরের বিভিন্ন খামার থেকে গরু কোরবানির পশুর হাটে নেয়ার প্রস্ততি নিচ্ছে খামারীরা। এরইমধ্যে নজর কেড়েছে সদর উপজেলার সীতারামপুর গ্রামের কাজল হোসেনের গরু। ৩৫ মণ ওজনের এই গরুটির নাম ‘যশোরের ভাইজান’। আর কেশবপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ৩০ মণ ওজনের ‘রাজা বাবু’।
যশোরে সাত হাজারের বেশি গবাদী পশুর খামার রয়েছে। এ খামারগুলোতে প্রধানত কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশু পালন করা হয়। এবছর এসব খামারে রয়েছে ৩১ হাজার গরু ও প্রায় ৫৪ হাজার ছাগল।
এরইমধ্যে সবার নজরে এসেছে সদর উপজেলার সীতারামপুর গ্রামের কাজল হোসেনের গরু। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘যশোরের ভাইজান’। যার ওজন ৩৫ মণ। অপরটি কেশবপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের গরু। যার নাম রাখা হয়েছে রাজা বাবু। ওজন ৩০ মণ। যার দাম হাকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।
গরুর মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, “গরুটার ওজন ৩০ মণ, ১৫ লাখ টাকা দাম হলে বিক্রি করবো।”
সীতারামপুর গ্রামের কাজল হোসেন বলেন, “আসন্ন কোরবানির ঈদে গরুটা বিক্রি করতে চাই। কিন্তু এখনও গরুর দাম বলতে যাচ্ছিনা, কারও যদি পছন্দ হয় সে সরাসরি আসলে দামের কথা বলবো।”
প্রাণী সম্পদ বিভাগ বলছে, দেশের খামারীদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ভারত থেকে গরু আমদানি করা হবে না ।
যশোর জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক বলেন, “ভারত থেকে গরু আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, আর আসেওনা। আমরা দেশীয় গরু দিয়েই যে চাহিদা আছে তা পূরণ করে থাকি। এ বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও সতর্ক আছে।”
জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যত্র কোবানীর পশু সরবরাহ করা সম্ভব বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।