আদা নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড, ৫৭ টাকা আমদানি খুচরা বিক্রি ৫০০

এবার আদা নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড চলছে বাজারে। ৫৭ টাকায় আমদানি করা আদা পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। খুচরা মূল্য আরও বেশি। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে এ চিত্র দেখা গেছে।

মিয়ানমার থেকে গত ২২ দিনে আমদানি করা ১ হাজার ৮০০ টন আদা রীতিমতো উধাও; নেই বাজার-গুদাম কোথাও। কোরবানি ঈদের আগে এবার সক্রিয় আদা সিন্ডিকেট!

ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকলেও, কুষ্টিয়া নাটোরসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ট্রাকে ট্রাকে আসছে দেশী পেঁয়াজ। রসুনের মজুদও পর্যাপ্ত। কিন্তু হঠাৎ করে বাজার থেকে উধাও সব ধরনের আদা।

পুরো খাতুনগঞ্জে অর্ধশতাধিক আড়ত ঘুরে শাহ আমানত ট্রেডিংয়ে দেখা মেলে মিয়ানমার থেকে আনা ২০ থেকে ৩০ বস্তা আদা। পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। সংকটের সাথে আমদানি মূল্য এবং শুল্ক মিলিয়ে এ পরিস্থিতি বলছেন ব্যবসায়ীরা।

অথচ টেকনাফ শুল্ক স্টেশনের তথ্য মতে, চলতি মাসের প্রথম ২২ দিনে ৩১ জন ব্যবসায়ী মিয়ানমার থেকে আদা আমদানি করেছেন ১ হাজার ৮১৭ টন। প্রশ্ন হচ্ছে, এতো আদা তাহলে গেল কোথায়? এই প্রশ্নে উল্টো তথ্য দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, আমদানি নেই দুই মাস ধরে।

কাস্টমসের তথ্য বলছে, সর্বশেষ মিয়ানমার থেকে আদা আমদানিতে খরচ পড়েছে শুল্ক করসহ ৫৮ টাকা, ভারত থেকে ৫৭ টাকা আর ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে খরচ পড়েছে ১০০ টাকার মতো। কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি দামে। তবে, কোরবানির ঈদের আগে আমদানি বাড়লে দাম কমবে বলছেন ব্যবসায়ীরা।

প্রসঙ্গত, আগে দেশে আদার চাহিদার ৮০ শতাংশই আসতো চীন থেকে। করোনার পর তা নেমে আসে শূন্যের কোঠায়। এখন আমদানি হয় মিয়ানমার, ভারত, ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর