জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় হবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে জনশক্তি কাজে লাগাতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে লক্ষ্যে জনশক্তি কাজে লাগাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সরকারের সিদ্ধান্ত হচ্ছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পিছিয়ে পড়া জেলাসমূহে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপন করে সেসব জেলাকে এগিয়ে নেওয়া।

শনিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে তারা এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার আবু সাদেক আব্দুল্লাহ ও কোষাধ্যক্ষ তামিম মারজান হুদার পরিচালনা প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের জনশক্তি কাজে লাগাতে হবে।

সিলেটের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জমি অধিগ্রহণের জটিলতার কারণে ঢাকা-সিলেট ৪ লেন মহাসড়কের কাজের ধীরগতি হচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা দরকার। আর সিলেটে রেলপথের প্রসঙ্গে বলেন, একনেকে পাশ হওয়ার পরেও বাজেট জটিলতার কারণে আখাউড়া-সিলেট রেললাইনের কাজ আটকে আছে।

উদ্বোধকের বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, উন্নয়ন যাতে চলতে পারে অবিরাম বাধাহীনভাবে সেজন্য প্রয়োজন সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা। গ্রামীণ স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত সাড়ে ১৪ বছরে যে রূপান্তর ঘটিয়েছেন সেই রূপান্তর যাতে বেগবান হয় সেদিকে সবাইকে সদয় হতে হবে।

মৌলভীবাজারের উন্নয়নে স্থানীয়দের দাবি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকারের কাছে জোর দাবি তুলবো মৌলভীবাজারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার। একইসাথে মেডিকেল কলেজ তৈরি করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক এমপি এম এম শাহীন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছে। অথচ বিগত সাড়ে ৪ বছর থেকে কুলাউড়া উন্নয়ন বঞ্চিত। কুলাউড়ার এমপি বিগত সাড়ে ৪ বছরেও সাড়ে ৪দিন কুলাউড়ায় যাননি। তার মাধ্যমে কুলাউড়ার কোনো উন্নয়ন হয়নি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কুলাউড়া সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইহাহিয়া চৌধুরী, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, কুলাউড়া পৌর মেয়র সিপার উদ্দিন আহমদ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন- বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন সোহেল। সমিতির বার্ষিক প্রতিবেদক পেশ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন আহমদ।

অনুষ্ঠান শেষে একাডেমিক Academic recognition and Talent Hunting Programme এর আওতায় কুলাউড়ার কৃতি শিক্ষার্থী ও গুনীজনদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সবশেষে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর