বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে দেশে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণহীন হলেও উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে দেশীয় খুচরা বাজারের চেয়ে কেজিতে অন্তত ৬০ টাকা কমে চিনি কিনেছে বাংলাদেশ সরকার।
রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াভিত্তিক কোম্পানি অ্যাসেনচুয়েট টেকনোলজির কাছ থেকে ১২ হাজার ৫০০ টন পরিশোধিত চিনি কেনার একটি প্রস্তাব বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে ক্রয় কমিটির বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ওই চিনি কিনতে মোট খরচ হবে ৬৬ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকা।
তাতে প্রতিকেজি চিনির দাম পড়বে ৮২ টাকা ৮৫ পয়সা। এর আগে ৮২ টাকা ৯৪ পয়সা দরে তুরস্কের একটি কোম্পানির কাছ থেকে চিনি কেনা হয়েছিল। দেশের বাজারে সম্প্রতি চিনির দাম কেজিতে ১৬ টাকা করে বাড়িয়ে প্রতিকেজি ১২০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে কোম্পানিগুলো দাম বাড়িয়ে রাখায় খুচরায় এখনও প্রতিকেজি চিনি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
যেসব দেশ বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে, তাদের কাছ থেকে কেনাকাটা করা হবে না বলে দুদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু বাংলাদেশের র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে, সেই দেশের কোম্পানির কাছ থেকে চিনি কেনার সিদ্ধান্তের বিষয়ে অতিরিক্ত সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে পৃথকভাবে আলোচনা হয়নি।