ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। এরই মধ্যে জামাতের জন্য জাতীয় ঈদগাহ মাঠে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সেখানে চলছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদের দিন ঠিক হবে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রমজানের ২১তম দিনে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে বাঁশের স্তূপ, খোঁড়াখুঁড়ি শেষে বাঁশের খুঁটি বসানোর কাজ শেষ। এরই মধ্যে মাঠের মাঝ বরাবর উত্তর থেকে দক্ষিণ পাশ পর্যন্ত সবচেয়ে উঁচু বাঁশের খাটালসহ (খুঁটির সারি) মোট চারটি খাটাল বসানো হয়েছে। পুরো মাঠে মোট ১৬টি খাটাল (খুঁটির সারি) বসবে বলে জানা গেছে।
প্যান্ডেলের কাজে নিয়োজিত পঞ্চাশোর্ধ্ব শ্রমিক আ. রহিম জাগো নিউজকে বলেন, আমি ঠিকাদারের খাস শ্রমিক হিসেবে কাজ করি। প্রতি বছরই প্যান্ডেল নির্মাণে আমি থাকি। আমরা প্রথম থেকে ৫০ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম।
এরপর গত ১০ রমজানের পর আরও কিছু শ্রমিক নেওয়া হয়েছে। এখন শতাধিক শ্রমিক কাজ করছে। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও ঢাকা দক্ষিণ সিটির কাছ থেকে জাতীয় ঈদগাহের প্যান্ডেল নির্মাণের টেন্ডার পেয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিয়ারু সর্দার অ্যান্ড সন্স ডেকোরেটরের ব্যবস্থাপনায় মো. মোজাম্মেল হক।
সরেজমিন জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ঘুরে দেখা যায়, বিশাল এলাকাজুড়ে প্যান্ডেল তৈরির জন্যে বাঁশ টানানোর কাজ করা হচ্ছে। যে বাঁশের ওপরে ত্রিপল দিয়ে পুরো মাঠ ঢেকে দেওয়া হবে। পানিরোধক শামিয়ানা দিয়ে ওপরের ছাউনিও প্রস্তুত করার জন্য বাঁশ টানানো হচ্ছে। এছাড়াও ভেতরে নামাজের জায়গা, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরি এবং সাদা কাপড় দিয়ে সজ্জিত করার জন্য মাঠের ভেতরের অংশেও মাটি ঢেলে সমতল করা হচ্ছে।
এবারও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুতে টেন্ডার পেয়েছে ‘পিয়ারো সরদার অ্যান্ড সন্স’। এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মোজাম্মেল হক। তিনি সার্বক্ষণিক মাঠের প্রস্তুতির কাজ তদারকিতে ব্যস্ত।
জাতীয় ঈদগাহ মাঠসহ আশে পাশে প্রায় এক লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। এছাড়া সাড়ে পাঁচ হাজার নারীর জামাতে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকছে। জাতীয় ঈদগাহ মাঠে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, সচিবসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ঈদ জামাতে অংশ নেবেন।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য সরকারি কর্মসূচি নির্ধারণের জন্যে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো কারণে ঈদের প্রধান জামাত জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয়। সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিবেন ধর্ম মন্ত্রণালয়।