জনশুমারি ২০২২ এ চূড়ান্ত হিসেবে দেশে মোট জনসংখ্যা হয়েছে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৯ হাজার। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা কিছুটা বেশি। দেশে মোট নারীর সংখ্যা হচ্ছে ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার বা ৫০ দশমিক ৪৩ শতাংশ। অন্যদিকে, পুরুষ হচ্ছে ৮ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার বা ৪৯ দশমিক ৫১ শতাংশ।
রবিবার (৯ এপ্রিল) বিবিএসের সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এসইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, বিবিএস মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান, প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেনসহ অন্যরা।
প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন বলেন, অন্যান্য শুমারির মতোই ৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনায়-২০২২ এ সমন্বয় রিপোর্ট প্রথমে গত ৬ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশ করা হয়েছিল। ২০২২ সালের জনশুমারিতে পুরুষের চেয়ে নারীর বেশি দেখা গেছে।
প্রাথমিক গণনায় দেশে মোট জনসংখ্যা হয়েছিল ১৬ লাখ ৫২ হাজার। তাতে মহিলার সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার। আর পুরুষ ছিলো ৮ কোটি ১৭ লাখ ১৩ হাজার। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে মূল্যায়ন বা গণনা করে এই জনসংখ্যা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
দিলদার হোসেন আরও বলেন, ৬ষ্ঠ জনশুমারিতে দেশে মুসলমানের সংখ্যা হচ্ছে ১৫ কোটি ৪৫ লাখ ৪২ হাজার বা ৯১ শতাংশ। অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ১ কোটি ৫২ লাখ বা ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ ছাড়া, ব্যালেন্স পপুলেশন হচ্ছে ৮৬ হাজার বা দশমিক ০৫ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বাস করছে ঢাকা শহরে ৪ কোটি ৫৬ লাখ বা ২৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ, এরপরই চট্রগ্রামে ৩ কোটি ৪২ লাখ বা ২০ দশমিক ১৩ শতাংশ, জনসংখ্যার দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রাজশাহীতে বাস করছে ২ কোটি ০৮ লাখ বা ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ লোক বাস করছে। তবে সবচেয়ে কম জনসংখ্যা বাস করছে বরিশালে ৯৩ লাখ ২৫ হাজার বা ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ বলে জানানো হয়েছে।
দিলদার হোসেন বলেন, এর আগে ২০১১ সালের চূড়ান্ত জনশুমারিতে জনসংখ্যা হয়েছিল ১৪ কোটি ৯৮ লাখ। তার আগে ২০০১ সালের শুমারিতে জনসংখ্যা হয়েছিল ১৩ কোটি ৫ লাখ। ১৯৯১ সালে তৃতীয় শুমারিতে জনসংখ্যা হয়েছিল ১১ লাখ ১৫ হাজার , ১৯৮১ সালে দ্বিতীয় শুমারিতে জনসংখ্যা হয়েছিল ৮ কোটি ৯৯ লাখ এবং স্বাধীনতার পর প্রথম শুমারিতে জনসংখ্যা হয়েছিল ৭ কোটি ৬৪ লাখ।