ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্পিকারের সঙ্গে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩
  • ৯৬ বার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত।

সফরকালীন ভিয়েতনাম সংসদের আতিথেয়তার প্রশংসা করে স্পিকার বলেন, ভিয়েতনাম বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে ১৯৭৩ সালে ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আশিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধিতে ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ সরাসরি আকাশপথে যোগাযোগ স্থাপন জরুরি। সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের পারস্পরিক সফর বিনিময় ও অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে উভয় দেশই উপকৃত হতে পারে।

এ সময় বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রদূতের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীতে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন বিস্ময়। তার নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। সাধারণ মানুষের জীবনমানের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়নে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে। তথ্য-প্রযুক্তি, ঔষধ শিল্প ইত্যাদি খাতে ভিয়েতনাম বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে।

এ সময় জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিজ দেশে শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে ভিয়েতনামের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত প্রসারমান। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভিয়েতনামের বিনিয়োগের পরিকল্পনা আছে। বাংলাদেশ ভিয়েতনাম ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে৷ পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের সমূহ সম্ভাবনা আছে।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে ভিয়েতনামের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।

রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন স্পিকারকে ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ জানান। স্পিকারও রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ভিয়েতনাম ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির চেয়ারম্যানকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

স্পিকারের সঙ্গে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

আপডেট টাইম : ১২:৩৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত।

সফরকালীন ভিয়েতনাম সংসদের আতিথেয়তার প্রশংসা করে স্পিকার বলেন, ভিয়েতনাম বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে ১৯৭৩ সালে ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আশিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধিতে ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ সরাসরি আকাশপথে যোগাযোগ স্থাপন জরুরি। সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের পারস্পরিক সফর বিনিময় ও অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে উভয় দেশই উপকৃত হতে পারে।

এ সময় বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রদূতের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীতে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন বিস্ময়। তার নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। সাধারণ মানুষের জীবনমানের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়নে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে। তথ্য-প্রযুক্তি, ঔষধ শিল্প ইত্যাদি খাতে ভিয়েতনাম বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে।

এ সময় জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিজ দেশে শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে ভিয়েতনামের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত প্রসারমান। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভিয়েতনামের বিনিয়োগের পরিকল্পনা আছে। বাংলাদেশ ভিয়েতনাম ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে৷ পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের সমূহ সম্ভাবনা আছে।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে ভিয়েতনামের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।

রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন স্পিকারকে ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ জানান। স্পিকারও রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ভিয়েতনাম ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির চেয়ারম্যানকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।