কাঁঠালপাকা দুঃসহ গরমে ময়মনসিংহবাসী ক্লান্ত-কাতর হয়ে পড়েছেন। তীব্র দাবদাহে পুড়ছে শহর ও গ্রাম। দুপুর গড়াতেই খাঁ খাঁ মাঠ-প্রান্তর। নূন্যতম স্বস্তি নেই কোথাও। ঘরে-বাইরে চরম অস্বস্তিকর অবস্থা।
জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ যাবত ময়মনসিংহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তীব্র দহনে জরুরি কাজ ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের। কারণ জীবিকার টানে তাদের ঘরের বাইরে যেতে হয়।
স্যাঁতস্যাঁতে শরীরে ক্লান্ত এসব অসহায় মানুষ সামান্য কাজেই হাঁপিয়ে উঠছেন। তাদের শরীর পুড়ে তামাটে রঙ হয়ে যাচ্ছে। প্রখর খরতাপ থেকে খানিকটা প্রশান্তি পেতে গাছের ছায়ায় বসে এসব জনগোষ্ঠীর মানুষকে একটু জিরিয়ে নিতেও দেখা যায়। এমন গতর খাটানো পরিশ্রম শেষে বাড়ি ফিরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
গরমে যখন জীবন ওষ্ঠাগত তারমধ্যে রয়েছে লোডশেডিং নামক বিদ্যুতের যন্ত্রণা। রাতে লোডশেডিং এর মাত্রা শহরের কোন কোন এলাকায় বেড়ে যাচ্ছে।
বৃষ্টি না হওয়ায় ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। সেখানে নকলকূপগুলোতেও পানি উঠছে না। পানীয় জলের সঙ্কট ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে। পানির জন্য শুরু হয়েছে হাহাকার।
শুকিয়ে ধূ-ধূ মরুভূমি হয়ে পড়েছে এক সময়কার স্রোতস্বিণী ব্রহ্মপুত্র নদ। ছোট-খাটো নদীগুলোর অবস্থাও একই।
দুঃসহ গরমে পরিবহনগুলোর ভেতরের তীব্র গরম পরিবেশে অস্থির হয়ে উঠছেন যাত্রীরা। ফলে তাপদাহে জর্জর মানুষের কাছে বেড়ে যায় তরমুজ, শরবত, ডাব ও কোল্ড ড্রিকংস এর চাহিদা। ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে কোমলপানীয়, জুস ও আইসক্রিমের বিক্রি বেশ বেড়ে গেছে।