সবশেষ ১৯৯৮ সালে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রায় ২৫ বছর পর আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি হাওরাঞ্চলে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তবে এবারের সফরটি অনেকটা ভিন্নধর্মী। কারণ বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের আমন্ত্রণে তার গ্রামের বাড়িতে মেহমান হচ্ছেন সরকারপ্রধান। সেখানে তার আপ্যায়নে চলছে বাহারি আয়োজন।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মিঠামইনে স্থাপিত সেনানিবাসের উদ্বোধন করবেন। আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণও দেবেন। পাশেই রাষ্ট্রপতির বাড়ি। সেখানে দুপুরে মেহমান হবেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি নিজেও। একদিন আগেই রাষ্ট্রপ্রধানের নিজ বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা রয়েছে।
হাওরাঞ্চলের সুস্বাদু পনির দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আপ্যায়ন করানোর কথাও জানান রাষ্ট্রপতিপুত্র। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী বরাবরই অষ্টগ্রামের পনির পছন্দ করেন। সেই পনির গণভবনে মাঝেমধ্যেই পাঠানো হয়।
সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিঠামইনে এসে প্রথমে ক্যান্টনমেন্ট যাবেন। পরে আমাদের বাড়িতে যাবেন। সেখানে দুপুরের খাবার দাবার শেষে জনসভা মঞ্চে উঠবেন। তার জন্য আমরা হাওরের যত মাছ আছে সব প্রস্তুত করব। আর পনির মাঝেমধ্যে পাঠানো হয়। এবার তার সঙ্গে দিয়েও দেব।
আগামী ২৪ এপ্রিল বিদায় নেবেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। ইতোমধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তাই রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে বিদায়ের আগে সরকারপ্রধানকে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নিজের বাড়িতে আপ্যায়ন করাতে চান রাষ্ট্রপতি।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী মিঠামইনে নির্মাণাধীন সেনানিবাস উদ্বোধন করবেন এবং জনসভায় উন্নয়ন-কর্মকাণ্ড জনতার মাঝে তুলে ধরে বক্তব্য দেবেন। ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা করে জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
সংসদ সদস্য তৌফিক মনে করেন, সমাবেশের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জের হাওরের জনগণের উন্নয়নের দ্বার আরো খুলে যাবে। এছাড়া, এই সফর আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা করেছে ইটনা মিঠামইন অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ। এছাড়া, নিকলী-বাজিতপুর, করিমগঞ্জ-তাড়াইল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও সমাবেশ সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে।