এবারের গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। দুই ধাপ এগিয়ে সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৩তম। সূচকে ১০-এর মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ৫ দশমিক ৯৯। বিশ্বের ১৬৭টি দেশ ও অঞ্চল নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এবারের সূচক।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ‘গণতন্ত্র সূচক-২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূচকে বিশ্বের দেশ ও অঞ্চলগুলোকে পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা- চারটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। এবারের সূচকে পূর্ণ গণতন্ত্র বিভাগে ২৪টি দেশ রয়েছে। এ ছাড়া ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র বিভাগে ৪৮, হাইব্রিড শাসনব্যবস্থায় ৩৬ এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থায় ৫৯টি দেশ রয়েছে।
সূচকে পাঁচটি মূল বিষয়ের আলোকে বিশ্বব্যাপী দেশগুলোর গণতন্ত্রের অবস্থা মূল্যায়ন করা হয়েছে। বিষয়গুলো- নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদ, সরকারের কার্যকারিতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নাগরিক স্বাধীনতা।
গত কয়েকবারের মতো এবারও হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বিভাগে রয়েছে বাংলাদেশ। ১০-এর মধ্যে যেসব দেশের স্কোর ৪ থেকে ৬-এর মধ্যে, তারাই এই বিভাগে রয়েছে। এই বিভাগে সবার ওপরে বাংলাদেশ। সবার নিচে মৌরিতানিয়া। সূচকে দেশটির অবস্থান ১০৮তম, স্কোর ৪ দশমিক শূন্য ৩। এই বিভাগের অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভুটান (৮৪তম), ইউক্রেন (৮৭তম), উগান্ডা (৯৯তম), নেপাল (১০১তম), পাকিস্তান (১০৭তম)।
হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বলতে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এমন ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেখানে প্রায়ই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়। এ শাসনব্যবস্থায় বিরোধী দল ও বিরোধী প্রার্থীদের ওপর সরকারের নিয়মিত চাপ থাকে। এই বিভাগে থাকা দেশগুলোর বিচারব্যবস্থা স্বাধীন নয়। সাংবাদিকদের হয়রানি ও চাপ দেওয়া হয়। দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার, দুর্বল আইনের শাসন, দুর্বল নাগরিক সমাজ এই ধরনের শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য।