ঢাকা ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতি পদে ড. মসিউর, শিরীন শারমিন নাকি অন্য কেউ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৬:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১১৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই এই পদে আলোচনায় থাকা ব্যক্তিদের তালিকা সংক্ষিপ্ত হচ্ছে। শুরুর দিকে এই তালিকায় প্রায় এক ডজন লোক থাকলেও এখন বার বার ঘুরে ফিরে কেবল দুটি নাম নিয়েই বেশি আলোচনা চলছে। এর মধ্যে একজন হলেন, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং অপরজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী এপ্রিল মাসে। এর আগেই আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন জাতীয় সংসদ সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে। তবে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় আওয়ামী লীগ যাকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনীত করবে, তিনিই নির্বাচিত হবেন। তাই রাষ্ট্রপতি পদে ক্ষমতাসীন দলটির পক্ষ থেকে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন, সেটি নিয়েই আলোচনা চলছে।

শুরুর দিকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রায় এক ডজন নাম আলোচনায় ছিল। ওই তালিকায় ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর নাম। পরে সেই তালিকা সংক্ষিপ্ত হয়ে মাত্র পাঁচ জনের নাম নিয়ে আলোচনা চলছিল। এখন গত কয়েক দিন ধরে দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি পদে শুধু মসিউর রহমান ও শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম আলোচিত হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে তাদের মধ্যেই যে কেউ একজন বসতে পারেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে। তবে এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের কোনো নেতা সরাসরি মুখ খোলেননি।

গত কয়েকদিন ধরে নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে জাতীয় সংসদের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ঘুরে ফিরে এমন আলোচনায় শোনা গেছে। তাদের অনেকেই মনে করছেন শিরীন শারমিনের রাষ্ট্রপতি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেও অনেকেই মনে করছেন তিনি বঙ্গভবনে বসতে চলেছেন।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের নামও রাষ্ট্রপতি পদে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছে। তিনি মন্ত্রী পদমর্যাদায় দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ১৯৯৬ সালের মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তিনি অর্থ সচিব ছিলেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন মসিউর রহমান।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, যে নামগুলো আলোচনায় আছে, তা দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও বিবেচনায় রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি কাজ করছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে সর্বজনশ্রদ্ধেয় ও যোগ্য ব্যক্তিকেই রাষ্ট্রপতি করা হবে।

এর আগে, সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল হয়েছে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি। ওই সময় ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ থাকলেও একক প্রার্থী হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত হন মো. আবদুল হামিদ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

রাষ্ট্রপতি পদে ড. মসিউর, শিরীন শারমিন নাকি অন্য কেউ

আপডেট টাইম : ১১:২৬:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই এই পদে আলোচনায় থাকা ব্যক্তিদের তালিকা সংক্ষিপ্ত হচ্ছে। শুরুর দিকে এই তালিকায় প্রায় এক ডজন লোক থাকলেও এখন বার বার ঘুরে ফিরে কেবল দুটি নাম নিয়েই বেশি আলোচনা চলছে। এর মধ্যে একজন হলেন, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং অপরজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী এপ্রিল মাসে। এর আগেই আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন জাতীয় সংসদ সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে। তবে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় আওয়ামী লীগ যাকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনীত করবে, তিনিই নির্বাচিত হবেন। তাই রাষ্ট্রপতি পদে ক্ষমতাসীন দলটির পক্ষ থেকে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন, সেটি নিয়েই আলোচনা চলছে।

শুরুর দিকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রায় এক ডজন নাম আলোচনায় ছিল। ওই তালিকায় ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর নাম। পরে সেই তালিকা সংক্ষিপ্ত হয়ে মাত্র পাঁচ জনের নাম নিয়ে আলোচনা চলছিল। এখন গত কয়েক দিন ধরে দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি পদে শুধু মসিউর রহমান ও শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম আলোচিত হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে তাদের মধ্যেই যে কেউ একজন বসতে পারেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে। তবে এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের কোনো নেতা সরাসরি মুখ খোলেননি।

গত কয়েকদিন ধরে নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে জাতীয় সংসদের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ঘুরে ফিরে এমন আলোচনায় শোনা গেছে। তাদের অনেকেই মনে করছেন শিরীন শারমিনের রাষ্ট্রপতি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেও অনেকেই মনে করছেন তিনি বঙ্গভবনে বসতে চলেছেন।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের নামও রাষ্ট্রপতি পদে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছে। তিনি মন্ত্রী পদমর্যাদায় দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ১৯৯৬ সালের মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তিনি অর্থ সচিব ছিলেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন মসিউর রহমান।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, যে নামগুলো আলোচনায় আছে, তা দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও বিবেচনায় রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি কাজ করছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে সর্বজনশ্রদ্ধেয় ও যোগ্য ব্যক্তিকেই রাষ্ট্রপতি করা হবে।

এর আগে, সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল হয়েছে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি। ওই সময় ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ থাকলেও একক প্রার্থী হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত হন মো. আবদুল হামিদ।