ঢাকা ০১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমার গ্রাম আমার শহর কর্মসূচি বাস্তবায়নে জোর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪২:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বতর্মান সরকারের মেয়াদপূর্তি ও আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারাদেশে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ ধারণার আওতায় নেওয়া প্রকল্পটির দৃশ্যমান অগ্রগতির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শহরের সব সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতেই নেওয়া হয়েছে এ উদ্যোগ। নির্বাচন সামনে রেখে আগামী বাজেটে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মপরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে বিশেষ বরাদ্দ ও নতুন প্রকল্প গ্রহণ করবে অর্থ বিভাগ। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে জানানো হয়, নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮ বিশেষ অঙ্গীকার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ ধারণার আওতায় প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে। যদিও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থান এবং চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির মতো বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে কর্মসূচিটির সামনে। সরকারের এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে দেড় থেকে দুই লাখ কোটি টাকা।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নগর ও গ্রামের বৈষম্য দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ জন্য কৃষিবিপ্লব, গ্রামে বিদ্যুতায়ন, কুটিরশিল্পসহ অন্যান্য শিল্পের বিকাশ, শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন করে গ্রামাঞ্চলে আমূল পরিবর্তনের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। তার দেখানো সেই পথে হাঁটতেই ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে যুক্ত করে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ ধারণাটি। এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে টানা তৃতীয় পর্বে ক্ষমতায় আসার পর গ্রামকেন্দ্রিক কার্যক্রম শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্রামকে শহরে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নিজ নিজ অবস্থান থেকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।

ইতোমধ্যে শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। গ্রামের রাস্তাঘাটও আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। ১০ টাকায় কৃষকরা ব্যাংক হিসাব খোলার সুবিধা পাচ্ছেন। রাজধানীসহ বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা-উপজেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন ভালো। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণবঙ্গের ১৭ জেলার মানুষ এখন দিনে দিনে ঢাকা এসে কাজ শেষ করে আবার গ্রামে ফিরে যেতে পারছেন। গ্রামেই ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ-সুবিধাও বাড়ছে। গড়ে উঠছে বিভিন্ন ধরনের কৃষি খামার। গ্রামাঞ্চলে মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজারও সম্প্রসারিত হয়েছে। এসব সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়াতে কৃষির পাশাপাশি হালকা যন্ত্রপাতি তৈরি ও বাজারজাত করতে বেসরকারি খাতের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে কর্মপরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে সুস্পষ্ট ঘোষণা দেবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ইতোমধ্যে এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে বাজেট প্রণয়ন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, আগামী বাজেটে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মপরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে বিশেষ বরাদ্দ দেবে অর্থ বিভাগ। এর অধীনে আগামী বাজেটে গ্রামমুখী বেশ কিছু নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এতে করে মানুষ গ্রামেই বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় দারিদ্র্য বিমোচনেও বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এরই মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি কারিগরি প্রকল্প তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর আওতায় ১৫টি গ্রামকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। এ গ্রামগুলোতে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের পর পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি গ্রামে একই ধরনের সুবিধা সম্প্রসারণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের সমীক্ষা রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচিত ১৫টি গ্রামে প্রকল্প-পরিকল্পনা তৃতীয়, চতুর্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ গুচ্ছে অন্তর্ভুক্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতে দ্রুত পাঠানো হবে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণী ঘেঁটে দেখা গেছে, নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হয়েছে। গ্রামের পরিবেশ প্রতিবেশ ঠিক রেখে শুধু নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি উন্নত গ্রামে পানি সরবরাহের সুবিধা, উন্নতমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা, যথোপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, ইন্টারনেট সংযোগ, বিনোদন ব্যবস্থা ও সেবা ইত্যাদি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয় বিভাগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। এ ছাড়া বর্তমান চলমান প্রকল্পগুলোকেও ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ ধারণার সঙ্গে সম্পৃক্ত করার আলোচনা হয়েছে।

তথ্য মতে, ১৫টি গ্রামকে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি দর্শন। এ দর্শন বাস্তবায়নের জন্য যে সকল মন্ত্রণালয়ের কাজের ধরনের মিল আছে, সেগুলোর জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্প প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘এটি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর জাতীয় বাজেটেও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আশা করছি, আগামী নির্বাচনের আগেই প্রকল্পটির দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখবেন দেশবাসী।’

জানা গেছে, সরকারের ২০টি মন্ত্রণালয়ের ২৬টি সংস্থা ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এসব মন্ত্রণালয় ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২৪৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর সমন্বয়কারী হিসেবে আছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আমার গ্রাম আমার শহর কর্মসূচি বাস্তবায়নে জোর

আপডেট টাইম : ১২:৪২:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বতর্মান সরকারের মেয়াদপূর্তি ও আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারাদেশে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ ধারণার আওতায় নেওয়া প্রকল্পটির দৃশ্যমান অগ্রগতির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শহরের সব সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতেই নেওয়া হয়েছে এ উদ্যোগ। নির্বাচন সামনে রেখে আগামী বাজেটে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মপরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে বিশেষ বরাদ্দ ও নতুন প্রকল্প গ্রহণ করবে অর্থ বিভাগ। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে জানানো হয়, নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮ বিশেষ অঙ্গীকার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ ধারণার আওতায় প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে। যদিও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থান এবং চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির মতো বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে কর্মসূচিটির সামনে। সরকারের এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে দেড় থেকে দুই লাখ কোটি টাকা।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নগর ও গ্রামের বৈষম্য দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ জন্য কৃষিবিপ্লব, গ্রামে বিদ্যুতায়ন, কুটিরশিল্পসহ অন্যান্য শিল্পের বিকাশ, শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন করে গ্রামাঞ্চলে আমূল পরিবর্তনের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। তার দেখানো সেই পথে হাঁটতেই ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে যুক্ত করে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ ধারণাটি। এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে টানা তৃতীয় পর্বে ক্ষমতায় আসার পর গ্রামকেন্দ্রিক কার্যক্রম শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্রামকে শহরে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নিজ নিজ অবস্থান থেকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।

ইতোমধ্যে শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। গ্রামের রাস্তাঘাটও আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। ১০ টাকায় কৃষকরা ব্যাংক হিসাব খোলার সুবিধা পাচ্ছেন। রাজধানীসহ বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা-উপজেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন ভালো। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণবঙ্গের ১৭ জেলার মানুষ এখন দিনে দিনে ঢাকা এসে কাজ শেষ করে আবার গ্রামে ফিরে যেতে পারছেন। গ্রামেই ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ-সুবিধাও বাড়ছে। গড়ে উঠছে বিভিন্ন ধরনের কৃষি খামার। গ্রামাঞ্চলে মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজারও সম্প্রসারিত হয়েছে। এসব সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়াতে কৃষির পাশাপাশি হালকা যন্ত্রপাতি তৈরি ও বাজারজাত করতে বেসরকারি খাতের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে কর্মপরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে সুস্পষ্ট ঘোষণা দেবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ইতোমধ্যে এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে বাজেট প্রণয়ন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, আগামী বাজেটে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মপরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে বিশেষ বরাদ্দ দেবে অর্থ বিভাগ। এর অধীনে আগামী বাজেটে গ্রামমুখী বেশ কিছু নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এতে করে মানুষ গ্রামেই বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় দারিদ্র্য বিমোচনেও বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এরই মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি কারিগরি প্রকল্প তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর আওতায় ১৫টি গ্রামকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। এ গ্রামগুলোতে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের পর পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি গ্রামে একই ধরনের সুবিধা সম্প্রসারণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের সমীক্ষা রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচিত ১৫টি গ্রামে প্রকল্প-পরিকল্পনা তৃতীয়, চতুর্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ গুচ্ছে অন্তর্ভুক্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতে দ্রুত পাঠানো হবে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণী ঘেঁটে দেখা গেছে, নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হয়েছে। গ্রামের পরিবেশ প্রতিবেশ ঠিক রেখে শুধু নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি উন্নত গ্রামে পানি সরবরাহের সুবিধা, উন্নতমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা, যথোপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, ইন্টারনেট সংযোগ, বিনোদন ব্যবস্থা ও সেবা ইত্যাদি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয় বিভাগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। এ ছাড়া বর্তমান চলমান প্রকল্পগুলোকেও ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ ধারণার সঙ্গে সম্পৃক্ত করার আলোচনা হয়েছে।

তথ্য মতে, ১৫টি গ্রামকে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি দর্শন। এ দর্শন বাস্তবায়নের জন্য যে সকল মন্ত্রণালয়ের কাজের ধরনের মিল আছে, সেগুলোর জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্প প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘এটি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর জাতীয় বাজেটেও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আশা করছি, আগামী নির্বাচনের আগেই প্রকল্পটির দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখবেন দেশবাসী।’

জানা গেছে, সরকারের ২০টি মন্ত্রণালয়ের ২৬টি সংস্থা ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এসব মন্ত্রণালয় ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২৪৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর সমন্বয়কারী হিসেবে আছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।