একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার আপিল বিভাগ থেকে ২৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।আজই রায়ের কপি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে।আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাকে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করতে হবে।তবে এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যতজনের রিভিউ আবেদন করা হয়েছিল সবগুলোই খারিজ হয়ে যায়।
জামায়াত আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের পর মীর কাসেম ছিলেন আলবদর বাহিনীর তৃতীয় প্রধান ব্যক্তি। তার যোগানো অর্থেই স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী শক্ত ভিত্তি পায়।
গত ৮ই মার্চ প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ রায়ের সংক্ষিপ্তসার জানিয়ে দেয়। বেঞ্চের অপর চার সদস্য ছিলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের রায়ে দুই অভিযোগে মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড এবং আট অভিযোগে সব মিলিয়ে ৭২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল।
আপিলের রায়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন চট্টগ্রামে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন আহমেদকে খুনের দায়ে এক অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও ছয় অভিযোগে ৫৮ বছর কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখা হয়েছে।
২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধের বহু প্রতীক্ষিত বিচার শুরুর পর আপিলে আসা এটি সপ্তম মামলা, যার ওপর চূড়ান্ত রায় হলো।