ঢাকা ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোববার থেকে কমবে পারে শীতের তীব্রতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৫:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৭৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পৌষের শীতে কাঁপছে সারাদেশ। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। জানুয়ারির শুরু থেকে সেটার দাপট বাড়তে থাকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শীতের এমন তীব্র অনুভুতি রোববার থেকে কমতে শুরু করবে।

গত মঙ্গলবার একদিনে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের পাঁচ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। জেলাগুলো হলো নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা। আবহাওয়াবিদদের ভাষায় এই অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এর মধ্যে দেশের সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজার ও সীতাকুণ্ডে ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মঙ্গলবার থেকে দিনের তাপমাত্রায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে রাজধানী ঢাকা ও এর পাশ্ববর্তী এলাকায়। ঢাকায় টানা চারদিন ধরে দিনের তাপমাত্রা রয়েছে ১৪ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। শুক্রবার দুপুর ১২টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯১ ভাগ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, মৃদু শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা হয় ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শৈত্যপ্রবাহে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় তাপমাত্রা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘সারা দেশ এখন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে, যার ফলে সূর্যের আলোর অনুভূতি পাওয়া যাচ্ছে না, আবার দেখাও যাচ্ছে না।’

রোববার থেকে এই অবস্থার পরিবর্তন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গতকাল কুয়াশা কাটতে প্রায় ৪টা বেজে গিয়েছিল। আজ (শুক্রবার) ৩টার পর পর কুয়াশা কেটে গেছে। কাল আর একটু এগিয়ে আসবে। এভাবে আশা করি রোববারের মধ্যে তীব্র শীতের অনুভূতি কমে যাবে।’

নদী, পাহাড় ও পাশ্ববর্তী দেশ থেকে কুয়াশার কারণে দেশের সব জায়গায় দিন ও রাতের তাপমাত্রার পরিবর্তন হয়েছে। রাতে তাপমাত্রা কমতে থাকলেও দিনে কুয়ায়াশার কারণে সেটি বাড়তে পারে না। যার ফলে দেশের সব অঞ্চলেই তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির ঘরে আটকে আছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।-নিউজ বাংলা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

রোববার থেকে কমবে পারে শীতের তীব্রতা

আপডেট টাইম : ১১:০৫:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পৌষের শীতে কাঁপছে সারাদেশ। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। জানুয়ারির শুরু থেকে সেটার দাপট বাড়তে থাকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শীতের এমন তীব্র অনুভুতি রোববার থেকে কমতে শুরু করবে।

গত মঙ্গলবার একদিনে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের পাঁচ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। জেলাগুলো হলো নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা। আবহাওয়াবিদদের ভাষায় এই অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এর মধ্যে দেশের সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজার ও সীতাকুণ্ডে ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মঙ্গলবার থেকে দিনের তাপমাত্রায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে রাজধানী ঢাকা ও এর পাশ্ববর্তী এলাকায়। ঢাকায় টানা চারদিন ধরে দিনের তাপমাত্রা রয়েছে ১৪ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। শুক্রবার দুপুর ১২টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯১ ভাগ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, মৃদু শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা হয় ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শৈত্যপ্রবাহে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় তাপমাত্রা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘সারা দেশ এখন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে, যার ফলে সূর্যের আলোর অনুভূতি পাওয়া যাচ্ছে না, আবার দেখাও যাচ্ছে না।’

রোববার থেকে এই অবস্থার পরিবর্তন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গতকাল কুয়াশা কাটতে প্রায় ৪টা বেজে গিয়েছিল। আজ (শুক্রবার) ৩টার পর পর কুয়াশা কেটে গেছে। কাল আর একটু এগিয়ে আসবে। এভাবে আশা করি রোববারের মধ্যে তীব্র শীতের অনুভূতি কমে যাবে।’

নদী, পাহাড় ও পাশ্ববর্তী দেশ থেকে কুয়াশার কারণে দেশের সব জায়গায় দিন ও রাতের তাপমাত্রার পরিবর্তন হয়েছে। রাতে তাপমাত্রা কমতে থাকলেও দিনে কুয়ায়াশার কারণে সেটি বাড়তে পারে না। যার ফলে দেশের সব অঞ্চলেই তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির ঘরে আটকে আছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।-নিউজ বাংলা।