ঢাকা ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি কমবে মেট্রোরেলে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৪:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১২০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যানজটের কারণে ঢাকা মহানগরে আর্থিক ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড বা ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেছেন, মেট্রোরেলের মাধ্যমে বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকার সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে। বুধবার রাজধানীর উত্তরায় ১৫ নম্বর সেক্টরে সুধী সমাবেশে মেট্রোরেল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিভিন্ন জরিপের বরাতে তিনি বলেন, মহানগরে (ঢাকা) যানজটের কারণে ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বছরে) ক্ষতি হচ্ছে। এমআরটি নেটওয়ার্ক চালু হওয়ার পরে ৪০ হাজার কোটি টাকা প্রতি বছর সাশ্রয় হবে। লাইন-৬ চালু হয়ে গেলে ‘টাইম কস্ট’ ৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা প্রতিদিন সাশ্রয় হবে। সাথে‘অপারেশন কস্ট’ বাবদ সোয়া কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ২০২৪ সালের জুন মাসে এমআরটি-৬ লাইন চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শী নেতৃত্বে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই প্রথম অংশ উদ্বোধন করা সক্ষম হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা নগরীতে ‘মাকড়সার জালের মতো’ মেট্রোরেল তৈরি করা সম্ভব হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল উপহার দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এমআরটি লাইন-৬ এর মতিঝিল অংশ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে। কমলাপুর পযন্ত বর্ধিত করার কাজ পুরো দমে এগিয়ে চলছে।

কমলাপুর পর্যন্ত অংশ ২০২৫ সালের জুন মাসে চালুর প্রত্যাশা করে ডিএমটিসিএল এমডি বলেন, আরও তিনটি মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এমআরটি লাইন-১ দেশের প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। এমআরটি লাইন-৫ নর্দান ২০২৩ সালের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। আরও দুই লাইনের কাজ চলছে। সেটার ভিজিবিলিটি স্টাডিজের কাজ করছি। আশা করি, এর ভিত্তিতে বিনিয়োগ গ্রহণ করে ২০৩০ সালে ঢাকা মহানগরীতে মেট্রোরেলের একটা মাকড়সার জাল তৈরি করা সম্ভব হবে। মেট্রোরেলের মাকড়সার জাল তৈরি করা গেলে ঢাকা নগরীর যে কোনো অংশ ও আশেপাশের এলাকায়ও যাতায়াত সম্ভব হবে।

এমআরটি-৬ এর চারটি স্টেশন প্লাজা নির্মাণের কাজ বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এমআরটি চালু হলে ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত এবং পরিবেশেরও উন্নয়ন হবে। এমআরটি লাইনে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে। প্রতিদিন ৫ লাখ লোক চলাচল করতে পারবে। পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না, পরিবেশ সহায়ক ও সাশ্রয় হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি কমবে মেট্রোরেলে

আপডেট টাইম : ১১:৫৪:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যানজটের কারণে ঢাকা মহানগরে আর্থিক ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড বা ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেছেন, মেট্রোরেলের মাধ্যমে বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকার সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে। বুধবার রাজধানীর উত্তরায় ১৫ নম্বর সেক্টরে সুধী সমাবেশে মেট্রোরেল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিভিন্ন জরিপের বরাতে তিনি বলেন, মহানগরে (ঢাকা) যানজটের কারণে ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বছরে) ক্ষতি হচ্ছে। এমআরটি নেটওয়ার্ক চালু হওয়ার পরে ৪০ হাজার কোটি টাকা প্রতি বছর সাশ্রয় হবে। লাইন-৬ চালু হয়ে গেলে ‘টাইম কস্ট’ ৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা প্রতিদিন সাশ্রয় হবে। সাথে‘অপারেশন কস্ট’ বাবদ সোয়া কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ২০২৪ সালের জুন মাসে এমআরটি-৬ লাইন চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শী নেতৃত্বে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই প্রথম অংশ উদ্বোধন করা সক্ষম হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা নগরীতে ‘মাকড়সার জালের মতো’ মেট্রোরেল তৈরি করা সম্ভব হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল উপহার দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এমআরটি লাইন-৬ এর মতিঝিল অংশ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে। কমলাপুর পযন্ত বর্ধিত করার কাজ পুরো দমে এগিয়ে চলছে।

কমলাপুর পর্যন্ত অংশ ২০২৫ সালের জুন মাসে চালুর প্রত্যাশা করে ডিএমটিসিএল এমডি বলেন, আরও তিনটি মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এমআরটি লাইন-১ দেশের প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। এমআরটি লাইন-৫ নর্দান ২০২৩ সালের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। আরও দুই লাইনের কাজ চলছে। সেটার ভিজিবিলিটি স্টাডিজের কাজ করছি। আশা করি, এর ভিত্তিতে বিনিয়োগ গ্রহণ করে ২০৩০ সালে ঢাকা মহানগরীতে মেট্রোরেলের একটা মাকড়সার জাল তৈরি করা সম্ভব হবে। মেট্রোরেলের মাকড়সার জাল তৈরি করা গেলে ঢাকা নগরীর যে কোনো অংশ ও আশেপাশের এলাকায়ও যাতায়াত সম্ভব হবে।

এমআরটি-৬ এর চারটি স্টেশন প্লাজা নির্মাণের কাজ বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এমআরটি চালু হলে ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত এবং পরিবেশেরও উন্নয়ন হবে। এমআরটি লাইনে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে। প্রতিদিন ৫ লাখ লোক চলাচল করতে পারবে। পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না, পরিবেশ সহায়ক ও সাশ্রয় হবে।