ঢাকা ১০:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ইউক্রেন ছাড়লেন জেলেনস্কি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১০৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো বিদেশ সফর করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আজ বুধবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সফরকালে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন জেলেনস্কি। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে তার।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, আজ যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা নিজেই টুইট করে জানান জেলেনস্কি। পরে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও তার এ সফরের কথা জানানো হয়।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জেন-পিয়েরে এক বিবৃতিতে  বলেন, এ সফরের মধ্য দিয়ে যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে রাশিয়াকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হচ্ছে।

বাইডেন-জেলেনস্কি বৈঠকের পর ইউক্রেনকে প্রায় ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্রসহায়তা দেওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে জেলেনস্কির ভাষণ দেওয়ার বিষয়ে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেন, যৌথ অধিবেশনে গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার বিষয়ে নিবিড় মনোযোগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া বাইডেন ও জেলেনস্কি ইউক্রেনের সেনাদের মার্কিন বাহিনীর অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ, অর্থনৈতিক ও মানবিক সহায়তা, নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য মাধ্যমে রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগের বিষয়ে আলোচনা করবেন।

এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর বাইডেন ও জেলেনস্কি টেলিফোনে কথা বলেছিলেন। মূলত এরপরই জেলেনস্কির ওয়াশিংটন সফরের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়। দুই পক্ষের চিঠি-চালাচালির পর গত রোববার সফর চূড়ান্ত হয়।

ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর ৩০০তম দিনে গতকাল মঙ্গলবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের রুশ অধ্যুষিত দোনেৎস্ক অঞ্চলের বাখমুটে যুদ্ধক্ষেত্র পরিদর্শন করেন জেলেনস্কি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি সেখান থেকেই ওয়াশিংটনের পথে রওনা হন।

এদিকে জেলেনস্কির ওয়াশিংটন সফর থেকে মস্কোর কোনো প্রত্যাশা নেই বলে মন্তব্য করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। আজ মস্কোয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্রসহায়তা অব্যাহত রয়েছে, যা যুদ্ধের গভীরতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। ইউক্রেনের জন্য এটা ভালো কিছু বয়ে আনবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ইউক্রেন ছাড়লেন জেলেনস্কি

আপডেট টাইম : ১২:১৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো বিদেশ সফর করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আজ বুধবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সফরকালে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন জেলেনস্কি। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে তার।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, আজ যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা নিজেই টুইট করে জানান জেলেনস্কি। পরে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও তার এ সফরের কথা জানানো হয়।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জেন-পিয়েরে এক বিবৃতিতে  বলেন, এ সফরের মধ্য দিয়ে যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে রাশিয়াকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হচ্ছে।

বাইডেন-জেলেনস্কি বৈঠকের পর ইউক্রেনকে প্রায় ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্রসহায়তা দেওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে জেলেনস্কির ভাষণ দেওয়ার বিষয়ে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেন, যৌথ অধিবেশনে গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার বিষয়ে নিবিড় মনোযোগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া বাইডেন ও জেলেনস্কি ইউক্রেনের সেনাদের মার্কিন বাহিনীর অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ, অর্থনৈতিক ও মানবিক সহায়তা, নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য মাধ্যমে রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগের বিষয়ে আলোচনা করবেন।

এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর বাইডেন ও জেলেনস্কি টেলিফোনে কথা বলেছিলেন। মূলত এরপরই জেলেনস্কির ওয়াশিংটন সফরের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়। দুই পক্ষের চিঠি-চালাচালির পর গত রোববার সফর চূড়ান্ত হয়।

ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর ৩০০তম দিনে গতকাল মঙ্গলবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের রুশ অধ্যুষিত দোনেৎস্ক অঞ্চলের বাখমুটে যুদ্ধক্ষেত্র পরিদর্শন করেন জেলেনস্কি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি সেখান থেকেই ওয়াশিংটনের পথে রওনা হন।

এদিকে জেলেনস্কির ওয়াশিংটন সফর থেকে মস্কোর কোনো প্রত্যাশা নেই বলে মন্তব্য করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। আজ মস্কোয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্রসহায়তা অব্যাহত রয়েছে, যা যুদ্ধের গভীরতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। ইউক্রেনের জন্য এটা ভালো কিছু বয়ে আনবে না।