ঢাকা ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২ কোটি নাগরিকের বিঘ্ন সৃষ্টি করলে পুলিশ কি তাকিয়ে থাকবে; ডিএমপি কমিশনার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১০০ বার

রাজধানীর ২ কোটি নাগরিকের বিঘ্ন সৃষ্টি করলে পুলিশ কি তাকিয়ে থাকবে? ১০ ডিসেম্বরের মতো ভবিষ্যতেও এমন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ সক্ষম বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মহান বিজয় দিবস-২০২২ উপলক্ষে বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরে দুই কোটির লোকের বসবাস। সেই দুই কোটি লোকের বিঘ্ন সৃষ্টি করবেন, আর  পুলিশ তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে? গত ১০ ডিসেম্বর আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পার করেছি। ভবিষ্যতেও এমন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ সক্ষম।

বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যে পুলিশের সূচনা ১৯৭১ সালে আপনারা করে দিয়েছিলেন ও বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রেখেছিলেন, জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন অনেকেই; সেই পুলিশের সদস্য হিসেবে গর্ব করে বলতে পারি যে, ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে আমরা সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছি।

তিনি বলেন, জাতির প্রত্যেকটি ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ পুলিশ, ডিএমপি সর্বদা জাতির পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আপনারা যেভাবে ৭১ সালে বুকের রক্ত বিলিয়ে দিয়ে যুদ্ধ করেছেন, আপনাদের পরবর্তী প্রজন্ম তারাও প্রত্যেকটি ক্রান্তিলগ্নে জাতির পাশে ছিল।

তিনি বলেন, ২০১২-১৩ সালে অগ্নি সন্ত্রাসীরা পুলিশকে পুড়িয়ে মেরেছিল কিন্তু পুলিশ ক্ষান্ত হয়নি। ২০১৫-১৬ সালে জঙ্গিবাদের সময় অনেক পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধের যুদ্ধে আমরা হেরে যাইনি। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধের যুদ্ধে পুলিশ জয়ী হয়েছে।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ১৯৭১ সালে পুলিশ সদস্যরা যেমন জীবন দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতার জন্য, বিজয়ের জন্য যুদ্ধ করেছেন আমরাও পরবর্তীতে বাঙালি জাতির জন্য প্রত্যেকটা ক্রাইসিস মোমেন্টে পাশে ছিলাম। অগ্নি সন্ত্রাসীদের যেমন আশ্রয়-প্রশ্রয় দিইনি তেমন জঙ্গিবাদকেও আশ্রয়-প্রশ্রয় দিইনি। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে যদি কেউ ছিনিমিনি খেলতে চায়, বাংলাদেশ পুলিশ তা হতে দেবে না।

স্বাধীনতা বিরোধীরা গত কয়েকবছর অনেক চেষ্টা করেছে দেশকে অস্থিতিশীল করতে, কিন্তু তারা পারেনি। আবার তারা নতুন খেলায় মেতেছে। নতুন খেলায় তাদের সফল হতে দেব না।

বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা এই বয়সেও লাঠি হাতে যুদ্ধের জন্য যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, আমাদের সহকর্মীদের শরীরে টগবগে রক্ত, তারা কেন পারবে না। আপনাদের সাহসে এই তরুণ পুলিশ সদস্যরাই দেশকে সন্ত্রাস-জঙ্গিদের থেকে মুক্ত রাখবে।

সাবেক পুলিশ সুপার বীর বিক্রম মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের যে গৌরব গাঁথা তা স্মরণ করতে হবে। এই কৃতিত্ব সৃষ্টি করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যেসব কুলাঙ্গার জাতির পিতাকে বিশ্বাস করতে চায় না, যারা বলে এ দেশ বাঙালিদের নয়, তাদের এ দেশে থাকার অধিকার নেই, তাদের এ দেশ থেকে উৎখাত করতে হবে।

পুলিশের সাবেক ইনস্পেক্টর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক বলেন, একজন পুলিশ সদস্য হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি বলে গর্ববোধ করছি। আজ যারা আমাদের সম্মানিত করলেন আল্লাহ তাদেরও সম্মানিত করবেন। প্রয়োজন হলে দেশের জন্য আমরা আবারও ৭১’র মতো ঝাঁপিয়ে পড়তে পারি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

২ কোটি নাগরিকের বিঘ্ন সৃষ্টি করলে পুলিশ কি তাকিয়ে থাকবে; ডিএমপি কমিশনার

আপডেট টাইম : ১২:৪৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

রাজধানীর ২ কোটি নাগরিকের বিঘ্ন সৃষ্টি করলে পুলিশ কি তাকিয়ে থাকবে? ১০ ডিসেম্বরের মতো ভবিষ্যতেও এমন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ সক্ষম বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মহান বিজয় দিবস-২০২২ উপলক্ষে বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরে দুই কোটির লোকের বসবাস। সেই দুই কোটি লোকের বিঘ্ন সৃষ্টি করবেন, আর  পুলিশ তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে? গত ১০ ডিসেম্বর আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পার করেছি। ভবিষ্যতেও এমন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ সক্ষম।

বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যে পুলিশের সূচনা ১৯৭১ সালে আপনারা করে দিয়েছিলেন ও বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রেখেছিলেন, জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন অনেকেই; সেই পুলিশের সদস্য হিসেবে গর্ব করে বলতে পারি যে, ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে আমরা সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছি।

তিনি বলেন, জাতির প্রত্যেকটি ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ পুলিশ, ডিএমপি সর্বদা জাতির পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আপনারা যেভাবে ৭১ সালে বুকের রক্ত বিলিয়ে দিয়ে যুদ্ধ করেছেন, আপনাদের পরবর্তী প্রজন্ম তারাও প্রত্যেকটি ক্রান্তিলগ্নে জাতির পাশে ছিল।

তিনি বলেন, ২০১২-১৩ সালে অগ্নি সন্ত্রাসীরা পুলিশকে পুড়িয়ে মেরেছিল কিন্তু পুলিশ ক্ষান্ত হয়নি। ২০১৫-১৬ সালে জঙ্গিবাদের সময় অনেক পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধের যুদ্ধে আমরা হেরে যাইনি। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধের যুদ্ধে পুলিশ জয়ী হয়েছে।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ১৯৭১ সালে পুলিশ সদস্যরা যেমন জীবন দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতার জন্য, বিজয়ের জন্য যুদ্ধ করেছেন আমরাও পরবর্তীতে বাঙালি জাতির জন্য প্রত্যেকটা ক্রাইসিস মোমেন্টে পাশে ছিলাম। অগ্নি সন্ত্রাসীদের যেমন আশ্রয়-প্রশ্রয় দিইনি তেমন জঙ্গিবাদকেও আশ্রয়-প্রশ্রয় দিইনি। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে যদি কেউ ছিনিমিনি খেলতে চায়, বাংলাদেশ পুলিশ তা হতে দেবে না।

স্বাধীনতা বিরোধীরা গত কয়েকবছর অনেক চেষ্টা করেছে দেশকে অস্থিতিশীল করতে, কিন্তু তারা পারেনি। আবার তারা নতুন খেলায় মেতেছে। নতুন খেলায় তাদের সফল হতে দেব না।

বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা এই বয়সেও লাঠি হাতে যুদ্ধের জন্য যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, আমাদের সহকর্মীদের শরীরে টগবগে রক্ত, তারা কেন পারবে না। আপনাদের সাহসে এই তরুণ পুলিশ সদস্যরাই দেশকে সন্ত্রাস-জঙ্গিদের থেকে মুক্ত রাখবে।

সাবেক পুলিশ সুপার বীর বিক্রম মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের যে গৌরব গাঁথা তা স্মরণ করতে হবে। এই কৃতিত্ব সৃষ্টি করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যেসব কুলাঙ্গার জাতির পিতাকে বিশ্বাস করতে চায় না, যারা বলে এ দেশ বাঙালিদের নয়, তাদের এ দেশে থাকার অধিকার নেই, তাদের এ দেশ থেকে উৎখাত করতে হবে।

পুলিশের সাবেক ইনস্পেক্টর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক বলেন, একজন পুলিশ সদস্য হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি বলে গর্ববোধ করছি। আজ যারা আমাদের সম্মানিত করলেন আল্লাহ তাদেরও সম্মানিত করবেন। প্রয়োজন হলে দেশের জন্য আমরা আবারও ৭১’র মতো ঝাঁপিয়ে পড়তে পারি।