ঢাকা ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মদনে গুচ্ছগ্রামের গরীবের কথা কেউ হুনে না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫৬:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১৯৩ বার
মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা মদন উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের রাণীহালা মঠপাড়া গুচ্ছগ্রামে রোববার (৪ নভেম্বর) সরেজমিনে গেলে গুচ্ছগ্রাম বাসিন্দা মো, আলম মিয়া বলেন, আমরা গরীব মানুষ, এর লাগি সরহার আমরারে ঘর দিছে। বাইসা মাস আইলে যদি আমারা এই ঘরে নাই থাকতাহারি, তে ঘর দিয়া কিতা করতাম। অফিসে গেলে কয় ওয়াল ওইব, ওইব, ওয়াল তো আর অয়না। গরীবের কথা কেউ হুনে না।
রাণীহালার গুচ্ছগ্রামের প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণে কর্তৃপক্ষ উদাসীন। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বাস্তবায়ন হচ্ছে না গুচ্ছগ্রামের প্রতিরক্ষা দেয়াল। অতঃপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর গুচ্ছগ্রাম বাসিন্দাদের লিখিত অভিযোগ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮টি দরিদ্র পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ১টি করে আধাপাকা ঘর নির্মান করে দেন সরকার। ৩টি ঘর নির্মান করা হয় পুরাতন পাড়ায়। বাকী ৫টি ঘর মঠপাড়ার সামনে হাওরের পাশে গুচ্ছগ্রাম আদলে নির্মান করা হয়।
পাঁচ পরিবার নিয়ে গঠিত গুচ্ছগ্রামটিকে বর্ষা মৌসুমে হাওরের ঢেউ থেকে রক্ষার জন্য, ঘর নির্মান শেষে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মানের কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ দেয়াল নির্মাণ করে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
গুচ্ছগ্রাম বাসিন্দা মোঃ কমল মিয়া বলেন, গত বছর অফিসারেরা গিয়া ওয়ালের মাপজোক লইয়া আইছে আর কইছে সাতাজার ইট লাগব। আগে অফিসাররা কইছে ইট-বালু কিনা হইয়া গেছে চিন্তা কইরেন্না, আপনাদের ওয়াল হইব। অহন অফিসে গেলে কয়, আপনাদের ওয়ালের টেহা ফিরত গেছেগা।
আরেক বাসিন্দা মোঃ রফিক মিয়া বলেন, প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মানের জন্য দুইবার মাপ নিয়া আইছে। আমি যতটুহু জানি, দেয়াল নির্মানের জন্য বরাদ্দও আইছিলো। এহন অফিসে গেলে কয়, বরাদ্দের টেহা সব ফেরত চলে গেছে। এই শুকনার সময় যদি দেয়াল নির্মান না করা অয়, সামনের বর্ষাত সরকারের দেওয়া ঘরে আমারার থাহা সম্ভব না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শওকত জামিল জানান, বর্ষাকাল থাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। বাস্তবায়নের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল, তা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বর্ষকালের আগেই প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্ণয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিনা শাহরীন জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মদনে গুচ্ছগ্রামের গরীবের কথা কেউ হুনে না

আপডেট টাইম : ১২:৫৬:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২
মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা মদন উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের রাণীহালা মঠপাড়া গুচ্ছগ্রামে রোববার (৪ নভেম্বর) সরেজমিনে গেলে গুচ্ছগ্রাম বাসিন্দা মো, আলম মিয়া বলেন, আমরা গরীব মানুষ, এর লাগি সরহার আমরারে ঘর দিছে। বাইসা মাস আইলে যদি আমারা এই ঘরে নাই থাকতাহারি, তে ঘর দিয়া কিতা করতাম। অফিসে গেলে কয় ওয়াল ওইব, ওইব, ওয়াল তো আর অয়না। গরীবের কথা কেউ হুনে না।
রাণীহালার গুচ্ছগ্রামের প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণে কর্তৃপক্ষ উদাসীন। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বাস্তবায়ন হচ্ছে না গুচ্ছগ্রামের প্রতিরক্ষা দেয়াল। অতঃপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর গুচ্ছগ্রাম বাসিন্দাদের লিখিত অভিযোগ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮টি দরিদ্র পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ১টি করে আধাপাকা ঘর নির্মান করে দেন সরকার। ৩টি ঘর নির্মান করা হয় পুরাতন পাড়ায়। বাকী ৫টি ঘর মঠপাড়ার সামনে হাওরের পাশে গুচ্ছগ্রাম আদলে নির্মান করা হয়।
পাঁচ পরিবার নিয়ে গঠিত গুচ্ছগ্রামটিকে বর্ষা মৌসুমে হাওরের ঢেউ থেকে রক্ষার জন্য, ঘর নির্মান শেষে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মানের কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ দেয়াল নির্মাণ করে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
গুচ্ছগ্রাম বাসিন্দা মোঃ কমল মিয়া বলেন, গত বছর অফিসারেরা গিয়া ওয়ালের মাপজোক লইয়া আইছে আর কইছে সাতাজার ইট লাগব। আগে অফিসাররা কইছে ইট-বালু কিনা হইয়া গেছে চিন্তা কইরেন্না, আপনাদের ওয়াল হইব। অহন অফিসে গেলে কয়, আপনাদের ওয়ালের টেহা ফিরত গেছেগা।
আরেক বাসিন্দা মোঃ রফিক মিয়া বলেন, প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মানের জন্য দুইবার মাপ নিয়া আইছে। আমি যতটুহু জানি, দেয়াল নির্মানের জন্য বরাদ্দও আইছিলো। এহন অফিসে গেলে কয়, বরাদ্দের টেহা সব ফেরত চলে গেছে। এই শুকনার সময় যদি দেয়াল নির্মান না করা অয়, সামনের বর্ষাত সরকারের দেওয়া ঘরে আমারার থাহা সম্ভব না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শওকত জামিল জানান, বর্ষাকাল থাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। বাস্তবায়নের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল, তা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বর্ষকালের আগেই প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্ণয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিনা শাহরীন জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।