ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাদ্য নিরাপত্তা: আড়াই বিলিয়ন টন বেশি ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সরকারের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৪:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২
  • ১২১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সরবরাহ অনিশ্চয়তায় বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা সংকটের প্রেক্ষিতে সরকার চলতি অর্থবছরে ধান উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই লক্ষ্য পূরণে নেওয়া হয়েছে নানামুখী কার্যক্রম।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুয়ায়ী- চলতি অর্থবছরে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের তুলনায় ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন টন বেশি ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছে।

ডিএই মহাপরিচালক এম বেনজির আলম বলেন, ‘আমরা নতুন কিছু উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান ও গমসহ আরো কিছু শস্য উৎপাদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং কৃষকদের নতুন উৎপাদন কৌশল শেখাচ্ছি।’

এম বেনজির আলম বলেন, দেশের এই প্রধান খাদ্যসশ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাগণকে চাষাবাদ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ এবং কৃষকদের সহয়তা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই কর্মকর্তাদের সবাই কৃষিবিদ।

ডিএই কর্মকর্তারা বলেন, বর্তমান অর্থবছরের ধান উপাদন লক্ষ্যমাত্রা ইতোমধ্যেই অর্জিত হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ফলন বেশি হওয়ার জন্য আমন ও আউস ধানের ব্যাপক উৎপাদন অবদান রেখেছে। উচ্চ ফলনশীর ধানের এই দ’ুটি জাতের কারণেই কর্মকর্তারা এখন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার ব্যাপারে ব্যাপকভাবে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারছেন।

ডিএই জানায়, দেশে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৩৯ দশমিক ১৮ মিলিয়ন টন ধান উৎপাদিত হয় আর ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য এই ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন।

ফলনশীলতার দিক দিয়ে বোরো ধান শীর্ষ স্থানে আছে। অধিকতর উৎপাদনের দিক দিয়ে এর পরেই আছে আমন ও আউস জাতের ধান।

দেশের মোট উৎপাদিত ধানের ৫৫ শতাংশই বোরো ধান। এরপর অধিক উৎপাদনের দিক দিয়ে রয়েছে আমন ও আউস ধান। গড়ে বছরে মোট উৎপাদিত ধানের ৩৮ শতাংশ আমন ধান ও ৭ শতাংশ আউস ধান।

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি দেশের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে বলেছেন।

ডিএই প্রধান বলেন, ‘আমাদেরকে অবশ্যই খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে।’

চলতি বছরের জন্য ডিএই আউস আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন। গত বছরে এই জাতের ধান উৎপাদিত হয়েছে ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন টন।আমন চাষাবাদ এখনোও চলছে।

ডিএই আশা করছে যে, চলতি বছরে এই জাতের ধানটি লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গিয়ে ১৬ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন টন ধান উৎপাদিত হবে।

গত অর্থবছরের আমন ধানের উৎপাদন হয়েছিল ১৪ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন টন।

ডিএই বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ২১ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন টন। গত অর্থবছরে ২০ দশমিক ০৯ মিলিয়ন টন বোরো ধান উৎপাদিত হয়েছিল।

ডিএই মহাপরিচালক বলেন, তার অফিস ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন টন। গত বছর এই জাতের ধান উৎপাদিত হয়েছিল ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন।

বেনজির আলম বলেন, ‘আমরা একই সাথে শাকসবজি, আলু, তৈলবীজ, মসূর ডাল, পিঁয়াজ এবং অন্যান্য প্রধান শস্যের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।’-বাসস।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

খাদ্য নিরাপত্তা: আড়াই বিলিয়ন টন বেশি ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সরকারের

আপডেট টাইম : ১২:২৪:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সরবরাহ অনিশ্চয়তায় বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা সংকটের প্রেক্ষিতে সরকার চলতি অর্থবছরে ধান উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই লক্ষ্য পূরণে নেওয়া হয়েছে নানামুখী কার্যক্রম।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুয়ায়ী- চলতি অর্থবছরে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের তুলনায় ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন টন বেশি ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছে।

ডিএই মহাপরিচালক এম বেনজির আলম বলেন, ‘আমরা নতুন কিছু উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান ও গমসহ আরো কিছু শস্য উৎপাদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং কৃষকদের নতুন উৎপাদন কৌশল শেখাচ্ছি।’

এম বেনজির আলম বলেন, দেশের এই প্রধান খাদ্যসশ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাগণকে চাষাবাদ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ এবং কৃষকদের সহয়তা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই কর্মকর্তাদের সবাই কৃষিবিদ।

ডিএই কর্মকর্তারা বলেন, বর্তমান অর্থবছরের ধান উপাদন লক্ষ্যমাত্রা ইতোমধ্যেই অর্জিত হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ফলন বেশি হওয়ার জন্য আমন ও আউস ধানের ব্যাপক উৎপাদন অবদান রেখেছে। উচ্চ ফলনশীর ধানের এই দ’ুটি জাতের কারণেই কর্মকর্তারা এখন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার ব্যাপারে ব্যাপকভাবে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারছেন।

ডিএই জানায়, দেশে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৩৯ দশমিক ১৮ মিলিয়ন টন ধান উৎপাদিত হয় আর ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য এই ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন।

ফলনশীলতার দিক দিয়ে বোরো ধান শীর্ষ স্থানে আছে। অধিকতর উৎপাদনের দিক দিয়ে এর পরেই আছে আমন ও আউস জাতের ধান।

দেশের মোট উৎপাদিত ধানের ৫৫ শতাংশই বোরো ধান। এরপর অধিক উৎপাদনের দিক দিয়ে রয়েছে আমন ও আউস ধান। গড়ে বছরে মোট উৎপাদিত ধানের ৩৮ শতাংশ আমন ধান ও ৭ শতাংশ আউস ধান।

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি দেশের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে বলেছেন।

ডিএই প্রধান বলেন, ‘আমাদেরকে অবশ্যই খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে।’

চলতি বছরের জন্য ডিএই আউস আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন। গত বছরে এই জাতের ধান উৎপাদিত হয়েছে ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন টন।আমন চাষাবাদ এখনোও চলছে।

ডিএই আশা করছে যে, চলতি বছরে এই জাতের ধানটি লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গিয়ে ১৬ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন টন ধান উৎপাদিত হবে।

গত অর্থবছরের আমন ধানের উৎপাদন হয়েছিল ১৪ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন টন।

ডিএই বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ২১ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন টন। গত অর্থবছরে ২০ দশমিক ০৯ মিলিয়ন টন বোরো ধান উৎপাদিত হয়েছিল।

ডিএই মহাপরিচালক বলেন, তার অফিস ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন টন। গত বছর এই জাতের ধান উৎপাদিত হয়েছিল ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন।

বেনজির আলম বলেন, ‘আমরা একই সাথে শাকসবজি, আলু, তৈলবীজ, মসূর ডাল, পিঁয়াজ এবং অন্যান্য প্রধান শস্যের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।’-বাসস।