ঢাকা ০১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

কোমর ব্যথা ডেকে আনতে পারে যে রোগ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২
  • ১৮৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিভিন্ন কারণে কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে। এর মধ্যে মেরুদণ্ডে আঘাত লাগা, মেরুদণ্ডে ইনফেকশন পুঁজ হওয়া, মাসকিউলো স্কেলেটাল পেইন, ফাইব্রোমায়ালজিয়া, সাইক্লোজিক্যাল পেইন, স্পিনাল টিউমার, মেরুদণ্ডে অসতিওপরোসিস, ফ্রাকচার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

PLID ev prolapsed lumber intervertebral disk কোমর ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ। আমাদের মেরুদণ্ডে দুই কশেরুকার মধ্যে disk নামে এক ধরনের নরম হাড় আছে। এর দুটি অংশ। একটি হলো, nucleus pulpous. আরেকটি হলো, annulus fibrosus, disk. এর মধ্যে nucleus pulpous, disk-এর বাইরে শক্ত আবরণ তৈরি করে। annulus fibrosus ভেতরে জেলির মতো থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে disk-এর ভেতরের পানি শুকিয়ে যায়। annulus fibrosus ছিঁড়ে গিয়ে ভেতরের nucleus pulpous বের হয়ে আসে। ফলে নার্ভের রুটের ওপর চাপ পড়ে। এতে রোগী প্রচণ্ড কোমর ব্যথায় ভুগে থাকেন। ব্যথা ক্রমে পায়ে চলে আসে। হাঁচি, কাশি দিলে ব্যথা অনেক বেড়ে যায়। সামনের দিকে ঝুঁকে কাজ করলেও ব্যথা বেড়ে যায়। বুড়ো আঙুল ঝিনঝিন করে এবং পা অবশ হয়ে আসে। চিকিৎসা শুরু করতে বেশি দেরি হয়ে গেলে পা প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়। যৌনক্ষমতা দ্রুতগতিতে কমে যায়। রোগী প্রস্রাব-পায়খানা ধরে রাখতে পারে না। আর এ কারণে রোগ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়।

MRI of Lumbosacral spine করে সাধারণত রোগ নির্ণয় করা হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই সাধারণত কাজটি হয়ে থাকে। রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হলে চিকিৎসক চিকিৎসার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন।

নিরাময়ের ক্ষেত্রে রোগীকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হয়। ব্যথার ওষুধ সেবন এবং ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়। এতে ৯০ শতাংশ রোগীই সুস্থ হয়ে ওঠেন। ১০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে কেবল অপারেশনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

অপারেশন করা যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলোয়। Microscope-এর সাহায্য নিয়ে ছোট করে কেটে এ অপারেশন করা হয়ে থাকে। আমাদের দেশের দক্ষ চিকিৎসকরাই সাধারণত এ অপারেশন করে থাকেন। সফলও শতভাগ। কাজেই রোগ পুষিয়ে না রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ জীবনযাপন করুন।

ডা. হারাধন দেবনাথ: অধ্যাপক, নিউরোসার্জারি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
চেম্বার: ল্যাবএইড লিমিটেড, ধানমন্ডি, ঢাকা
০১৭১১৩৫৪১২০

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি চাকরিতে ২২ হাজার নতুন নিয়োগের ঘোষণা আসছে

কোমর ব্যথা ডেকে আনতে পারে যে রোগ

আপডেট টাইম : ১২:০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিভিন্ন কারণে কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে। এর মধ্যে মেরুদণ্ডে আঘাত লাগা, মেরুদণ্ডে ইনফেকশন পুঁজ হওয়া, মাসকিউলো স্কেলেটাল পেইন, ফাইব্রোমায়ালজিয়া, সাইক্লোজিক্যাল পেইন, স্পিনাল টিউমার, মেরুদণ্ডে অসতিওপরোসিস, ফ্রাকচার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

PLID ev prolapsed lumber intervertebral disk কোমর ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ। আমাদের মেরুদণ্ডে দুই কশেরুকার মধ্যে disk নামে এক ধরনের নরম হাড় আছে। এর দুটি অংশ। একটি হলো, nucleus pulpous. আরেকটি হলো, annulus fibrosus, disk. এর মধ্যে nucleus pulpous, disk-এর বাইরে শক্ত আবরণ তৈরি করে। annulus fibrosus ভেতরে জেলির মতো থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে disk-এর ভেতরের পানি শুকিয়ে যায়। annulus fibrosus ছিঁড়ে গিয়ে ভেতরের nucleus pulpous বের হয়ে আসে। ফলে নার্ভের রুটের ওপর চাপ পড়ে। এতে রোগী প্রচণ্ড কোমর ব্যথায় ভুগে থাকেন। ব্যথা ক্রমে পায়ে চলে আসে। হাঁচি, কাশি দিলে ব্যথা অনেক বেড়ে যায়। সামনের দিকে ঝুঁকে কাজ করলেও ব্যথা বেড়ে যায়। বুড়ো আঙুল ঝিনঝিন করে এবং পা অবশ হয়ে আসে। চিকিৎসা শুরু করতে বেশি দেরি হয়ে গেলে পা প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়। যৌনক্ষমতা দ্রুতগতিতে কমে যায়। রোগী প্রস্রাব-পায়খানা ধরে রাখতে পারে না। আর এ কারণে রোগ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়।

MRI of Lumbosacral spine করে সাধারণত রোগ নির্ণয় করা হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই সাধারণত কাজটি হয়ে থাকে। রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হলে চিকিৎসক চিকিৎসার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন।

নিরাময়ের ক্ষেত্রে রোগীকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হয়। ব্যথার ওষুধ সেবন এবং ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়। এতে ৯০ শতাংশ রোগীই সুস্থ হয়ে ওঠেন। ১০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে কেবল অপারেশনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

অপারেশন করা যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলোয়। Microscope-এর সাহায্য নিয়ে ছোট করে কেটে এ অপারেশন করা হয়ে থাকে। আমাদের দেশের দক্ষ চিকিৎসকরাই সাধারণত এ অপারেশন করে থাকেন। সফলও শতভাগ। কাজেই রোগ পুষিয়ে না রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ জীবনযাপন করুন।

ডা. হারাধন দেবনাথ: অধ্যাপক, নিউরোসার্জারি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
চেম্বার: ল্যাবএইড লিমিটেড, ধানমন্ডি, ঢাকা
০১৭১১৩৫৪১২০