হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় দুধ দিয়ে গোসল করে ছাত্রলীগ ছাড়ার ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ছাত্রলীগ নেতা আরমিন আহমেদ সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলার মির্জাপুর বাইপাস সড়ক এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আরমিন আহমেদ পাকুন্দিয়া উপজেলা সদরের বড়বাড়ি এলাকার অধিবাসী। তিনি পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে দুধ দিয়ে গোসল করে ৬ অক্টোবর রাজনীতির ইতি টেনেছেন মো. আরমিন আহমেদ। ওই দিন রাত ১০টার দিকে দুধ দিয়ে গোসল করার একটি ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন আরমিন। মুহূর্তের মধ্যেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলেও ঘুরপাক খায়।
জানা গেছে, হামলায় গুরুতর আহত আরমিন আহমেদকে উদ্ধার করে প্রথমে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরমিনের স্বজনরা জানান, রাত ১০টার দিকে দুটি মোটরসাইকেলে চার বন্ধুকে নিয়ে থানারঘাট এলাকায় একটি হোটেলে খেতে গিয়েছিলেন আরমিন আহমেদ। সেখান থেকে ফেরার পথে মির্জাপুর বাইপাস সড়ক অতিক্রমকালে দুটি মাইক্রোবাসে ১৫-২০ জন যুবক এসে তাদের গতিরোধ করে হামলা চালায়। তার সঙ্গে থাকা বন্ধুরা দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় হামলাকারীরা চাপাতি এবং হকিস্টিক দিয়ে তার মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।
আরমিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হামলাকারীরা তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন, ‘তুই নাকি দুধ দিয়ে গোসল করে ছাত্রলীগ ছাড়তে চাস, আজ তোকে খুন করে ফেলব।’ তাকে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারী ব্যক্তিরা পালিয়ে যান। এরপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
ধারণা করা হচ্ছে, নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে এবং দুধ দিয়ে গোসল করে ছাত্রলীগ ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করায় ক্ষুব্ধ প্রতিপক্ষ তার ওপর এ সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
যোগাযোগ করা হলে পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাহিদ হাসান সুমন যুগান্তরকে এ হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ না আসায় কে বা কারা এ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে তা তিনি বলতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।
সুএঃ যুগান্তর