হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্রুনাই সরকারের কাছে আগামী বছর থেকে বছরে ১.৫ মেট্রিক টন এলএনজি চেয়েছে বাংলাদেশ বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সভায় এ চাহিদার কথা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ব্রুনাইয়ের দারুসাসালামে এই সভা হয়।
সভায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ব্রুনাইয়ের পক্ষে ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্বালানি উপমন্ত্রী ইয়ং হাজি মাতসাটেজা বিন সোকাইয়া।
দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সভায় তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়।
সভা শেষে নসরুল হামিদ বলেন, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ২০২৩ সাল থেকে ব্রুনাইয়ের কাছে বছরে ১.৫ মেট্রিক টন এলএনজি চাওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্রুনাই থেকে গড়ে দুই লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল ডেফার্ড পেমেন্টে (বিলম্বে অর্থ পরিশোধ) আমদানির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে নতুন করে চুক্তি করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্রুনাই থেকে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে মোট তিন লাখ ২৫ হাজার ৯৭৫ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করেছে। ১০০ শতাংশ নিজস্ব রিফাইনারি থাকার শর্তের জন্য ব্রুনাইয়ের কোম্পানি পিবি ট্রেডিং সেনডিরিয়ান থেকে ২০১৬ সালের পরে আমদানি করা সম্ভব হয়নি। তবে এই শর্ত বর্তমানে শিথিল করা হয়েছে।
গত ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে এলএনজি এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম সরবরাহে সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ব্রুনাইয়ের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জ্বালানি বিষয়ক স্থায়ী সচিব ইয়ং মুলিয়া আযহার, জ্বালানি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নিজাম বিন ইজমি, পেট্রোলিয়াম অথরিটির পরিচালক আড্রিয়াম ওয়াং কাই মিং, জ্বালানি বিভাগের জ্বালানি অংশীদারি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হাসানুল আস’সারি, বাংলাদেশের জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বিপিসি চেয়ারম্যান এ বি এম আযাদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক যাবেদ চৌধুরী ও ব্রনেইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা উপস্থিত ছিলেন।