হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ভালো জায়গায় চলে আসবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
তিনি বলেন, ‘একদিকে করোনা, অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সব মিলিয়ে বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল। যদি নতুন কোনো দুর্ঘটনা বা ঝামেলা না আসে তাহলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আমরা ভালো জায়গায় চলে যাবো।’
শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘হজ ও ওমরা মেলা ২০২২’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
হজযাত্রীদের জন্য আলাদা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার দাবির প্রসঙ্গে কথা বলে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এটার (হজযাত্রীদের জন্য আলাদ ইনস্টিটিউট) প্রয়োজনীয়তা আছে। তবে সব জিনিস চাওয়ার ও বলার একটা সময় আছে। ফেব্রুয়ারিতে যখন পরিস্থিতি ভালো হবে, তখন আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি তুলে ধরবো।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্যোগের ফলে হজযাত্রা নিয়মের মধ্যে এসেছে। হজযাত্রীদেরও ভোগান্তি কমেছে।’
হজ আইনের কারণে প্রতারণা কমেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আইন যখন হয় তখন এজেন্সির অনেকেই মনে কষ্ট পেয়েছেন। হাবের সভাপতি জেলায় জেলায় গিয়ে আপনাদের বুঝিয়েছেন। কিন্তু এখন তো কারও সমস্যা হচ্ছে না।’
অনুষ্ঠানে হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘হজ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরেছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রলি ব্যাগের বাণিজ্য বন্ধ করেছি। কিন্তু ব্যাগের বাণিজ্য জারি রাখার জন্য অনেক চাপের সম্মুখীন। আমি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কেও বিষয়টি বলেছি। কিন্তু ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় একাধিকবার আমাকে ব্যাগ কিনতে বলেছে। আজ হজ ব্যবস্থাপনায় ট্রলি ব্যাগ নেই, এটা বাদ দেওয়া হয়েছে। ই-হজ ব্যবস্থাপনাতেও শৃঙ্খলা এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘অল্প হজের কোটা পেয়েও গত বছর হাব ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের কারণে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সুন্দরভাবে হাজিরা যেতে পেরেছেন। এখন দেশের ৬৪ জেলায় হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও হজযাত্রীদের জন্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট করা গেলে জটিলতা কমে আসবে। আমার স্বপ্ন এ রকম একটা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা।’
হজ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ থাকা প্রয়োজন জানিয়ে শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘এটা হলে হজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আসবে। যারা হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রতারণা করেন, তাদের শাস্তির আওতায় আনা ও ব্ল্যাক লিস্টেড করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হাব মহাসচিব ফারুক আহমেদ সরদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী প্রমুখ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে মেলার সেরা প্যাভিলিয়ন ও স্টলকে পুরস্কৃত করা হয়। সেরা প্যাভিলিয়ন হিসেবে প্রথম হয়েছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, দ্বিতীয় আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ও তৃতীয় দ্য প্রিমিয়ার ব্যাংক।
সেরা স্টল হিসেবে প্রথম লতিফ ট্রাভেলস (প্রা.) লিমিটেড। যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছে এহসান এয়ার ট্রাভেলস, শাহজালাল ওভারসিজ লিমিটেড এবং এস এন ট্রাভেলস অ্যঅন্ড ট্যুরস লিমিটেড। যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে মক্কা-মদিনা ট্যুরস ও ট্রাভেলস, সামস মির্জা ট্রাভেলস, নীড় ট্রাভেলস, চ্যালেঞ্জার ট্যুর ও ট্রাভেলস লি এবং জীবন ট্রাভেলস লিমিটেড।