ইতোমধ্যে কেউ ধান কেটে ঘরে তুলেছেন, আবার কেউ ব্যস্ত ধান কাটায়। যার জন্য মাঠে মাঠে ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের আমেজ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত ব্রি-ধান ৮৭ চাষে কৃষকরা আশানুরূপ ফলন পাচ্ছেন। মাত্র ১শ ৩৭ দিনে ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করা যায় এ ধান। তজুমদ্দিন উপজেলায় এ বছর ১শ ৫০ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান-৮৭ চাষ হয়েছে।
এ ধান চাষ করা কয়েকজন কৃষক জানান, ব্রি ধান-৮৭ তে তেমন চিটা নেই। উৎপাদনে কম খরচ, আবার আগেভাগেই ক্ষেত থেকে কাটা যাচ্ছে এ ধান। এতে করে ওই জমি অন্যান্য রবি শস্য চাষের জন্য প্রস্তুত করা সম্ভব হচ্ছে।
তজুমদ্দিন উপজেলা কৃষি সস্প্রসারণ কর্মকর্তা দেবাশীষ দাস জানান, উপজেলার চাঁদপুর ও সোনাপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু কৃষক এ বছর নতুন জাতের ব্রি ধান-৮৭ চাষ করেছেন। যাতে তারা ব্যাপক ফলনও পেয়েছেন। তাই উপজেলার অনেক কৃষক এখন ব্রি ধান-৮৭ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার বলেন, নতুন জাতের এ ধান চাষের জন্য সব সময় কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, এ বছরের চাইতে আগামি বছর এ উপজেলায় ব্রি ধান-৮৭ চাষে আরো অধিক কৃষক আগ্রহী হবেন।