হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ গম আমদানি করতে বিদেশি বিকল্প উৎস খোঁজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের কারণে দুই দেশ থেকে গম আমদানির পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের দ্বিতীয় প্রধান খাদ্য গমের চাহিদা মেটাতে এ পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার।
মন্ত্রণালয়ের খাদ্য আমদানির তত্ত্ববধানের দায়িত্বে নিয়োজিত একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমানে আমরা রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে কোনো গম পাচ্ছি না। এমন এক পরিস্থিতিতে আমাদের বেসরকারি খাতে নতুন উৎস খুঁজতে হচ্ছে, এমনকি তাতে দাম কিছুটা বেশি দিয়ে হলেও।’
বোরো ধানের ওপর নির্ভরশীল। এটি বাংলাদেশের প্রধান উৎপাদিত ধান। এই ধান সংগ্রহ করার হয় এপ্রিল ও জুন মাসের মধ্যবর্তী সময়ে এবং রোপন করা হয় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির গোড়ার মধ্যবর্তী সময়ে। দেশের মোট উৎপাদিত ধানের ৫৫ শতাংশ আসে বোরো ধান থেকে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে, আমরা বিদেশে থেকে গমের পাশাপাশি ধান সংগ্রহের ওপরও জোর দিয়েছি। এ ছাড়াও মুনাফার আশায় মজুতদারির বিরুদ্ধে আমরা আমাদের নজরদারি বৃদ্ধি করেছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যেন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কৃত্রিমভাবে খাদ্য সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, সে লক্ষ্যে সারা দেশের বিভিন্ন খাদ্য বাজারে নজরদারি বাড়াতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বেশ কয়েকটি নজরদারি দল গঠন করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘খাদ্য মজুদ বাড়াতে সরকার ১০ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ দশমিক ৫০ লাখ টন ইতোমধ্যেই পৌঁছে গেছে এবং অবশিষ্ট চার দশমিক ৫০ লাখ টন চাল বছরের শেষ নাগাদ পৌঁছে যাবে।’
খাদ্য কর্মকর্তারা বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে, আমদানি দ্রুতগতিতে হ্রাস পেয়েছে।’