ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাল কিনতেই আয়ের এক-তৃতীয়াংশ ব্যয় গরিবের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৩:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২
  • ১৫৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশে চালের দাম বাড়লে সবচেয়ে বেশি চাপে পড়ে নিম্ন আয়ের মানুষ। বর্তমানে শুধু চাল কিনতেই দরিদ্র মানুষের মোট আয়ের এক-তৃতীয়াংশ ব্যয় হয়। গত ছয় বছরে শুধু নাজিরশাইল চাল কেজিতে বেড়েছে ১৮ টাকা। এছাড়া পাইজাম ও ইরি-বোরোতে বেড়েছে ৫-৭ টাকা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

খাদ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে পর্যাপ্ত পরিমানে খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এরমধ্যে শুধু চালই রয়েছে ১৩ লাখ টন। তবে চালের মজুত ভালো হলেও বাজারে চালের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।

বিবিএস’র হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকে (সিপিআই) বলা হয়েছে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে প্রতি কেজি নাজিরশাইল ও মিনিকেট ৬৪ টাকা ৪৮ পয়সায় বিক্রি হয়েছিল, বর্তমানে এটা বেড়ে ৮২ টাকা ৩৪ পয়সা হয়েছে। গত ছয় বছরের ব্যবধানে এক কেজি নাজিরশাইল ও মিনিকেট চালেই বেড়েছে ১৮ টাকা।

একই সময় প্রতি কেজি পাইজাম ৬০ টাকা ৭৬ পয়সায় বিক্রি হলেও বর্তমানে ৬৪ টাকা ৪১ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে, ফলে এই চালেও কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। ছয় বছর আগে প্রতি কেজি ইরি ও বোরো চাল ৫০ টাকা ১৫ পয়সায় বিক্রি হলেও এখন ৫৭ টাকা ২৩ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ইরি ও বোরো চালেও বেড়েছে ৭ টাকা ০৮ পয়সা। দরিদ্র মানুষের মোট আয়ের এক-তৃতীয়াংশ ব্যয় হয় চাল কেনায়। চালের দাম বাড়লে নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর বেশি চাপ বাড়ে।

বিবিএস’র সবশেষ হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (হায়েস) অনুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ে একটি পরিবারের মাসিক মোট আয়ের ৪৭ দশমিক ৭০ শতাংশ খরচ হয় খাদ্যে। দরিদ্র ও অতি দরিদ্র পরিবারগুলোর ক্ষেত্রে এটা মাসিক মোট আয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ। আবার তাদের চাল ভোগের পরিমাণও অন্যদের চেয়ে বেশি। যখন দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চালের মাথাপিছু দৈনিক ভোগ ৪৭০ গ্রাম, তখন অন্যদের ক্ষেত্রে তা ৩৬৬ গ্রাম। প্রধান এ খাদ্যপণ্যটির মূল্যস্ফীতিতে তারা ভোগেন সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, খাদ্য-মূল্যস্ফীতি বাড়লে ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ হতদরিদ্র পরিবারই তখন চালের ভোগ কমিয়ে দেয়। দরিদ্র পরিবারের বেলায় এ হার ৬৬ শতাংশ। তাই মোটা চালের দাম উচ্চহারে বাড়লে তাদের খাদ্যনিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়ে।

বিবিএস জানায়, জাতীয় গড় মূল্যস্ফীতিতে ভোক্তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তবে খাদ্যপণ্যের, বিশেষ করে প্রধান খাদ্যপণ্য চালের মূল্যস্ফীতি দেশের স্বল্প ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। চালের মূল্যস্ফীতিকে তারা ভয় পান। দেশের কমবেশি ৯০ শতাংশ মানুষের প্রধান খাদ্য চাল থেকে তৈরি ভাত। জীবনধারণের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এ খাদ্যপণ্যটির দাম গত প্রায় দু’দশকে তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে।

চালের দাম বাড়লে সবার কষ্ট হয় জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, চালের দাম বাড়লে সবার কষ্ট হয়, এটা স্বীকার করতে হবে। সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে নিত্যপণ্যের দাম কমানোর জন্য। তবে মূল্যস্ফীতি কিন্তু আমাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নয়, এটা বৈশ্বিক সমস্যা। মানুষ যাতে কম দামে খাদ্যপণ্য পায় সেজন্য উৎপাদনে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। আমরা উৎপাদন বাড়ালে এটা কমে আসবে। এজন্য দেশের এক ইঞ্চি জমি ফেলে রাখবো না। জমিতে নানা ধরনের ফসল ফলাবো। এজন্য সরকার কৃষকদের সব ধরনের সুবিধা দিচ্ছে।’

বর্তমানে সরকারি গুদামে পৌনে ১৬ লাখ টনের মতো খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এর মধ্যে চালই রয়েছে ১৩ লাখ ৬৩ হাজার টনের বেশি, যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চালের মজুত ভালো হলেও বাজারে চালের দাম রয়েছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। চলতি বছরের নভেম্বরেই মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা নিম্ন আয়ের মানুষকে ভোগাচ্ছে বেশ।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে (৬ নভেম্বর পর্যন্ত) দেশে খাদ্যশস্যের মজুত ১৫ লাখ ৮১ হাজার ১৬৬ টন। এরমধ্যে চাল ১৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯৩৩ টন, গম দুই লাখ ৯ হাজার ৩৩৩ টন এবং ধান ১২ হাজার ১৫৩ টন।

গত বছর (২০২১ সাল) এ সময়ে খাদ্যশস্যের মজুতের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩৫০ টন। এরমধ্যে চাল ছিল ১৩ লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ টন, গম এক লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টন এবং ধান চার হাজার ৫২০ টন। এর আগে ২০২০ সালের এ সময়ে খাদ্যশস্যের মোট মজুত ছিল ১০ লাখ ৪২ হাজার ৯৭০ টন। চাল ছিল সাত লাখ ৫৪ হাজার ১৩০ টন, গম দুই লাখ ৮১ হাজার ১২০ টন এবং ধান ১১ হাজার ৮৯০ টন।

এতে দেখা যায়, গত দুই বছরের চেয়ে বর্তমানে খাদ্যশস্যের মজুত বেশি। অন্যদিকে চালের বাজারও অস্থির। বিস্তৃত পরিসরে ওএমএস বা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালিয়েও বাজারে সেভাবে প্রভাবে ফেলা যাচ্ছে না।

খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা এ মজুতকে ‘সন্তোষজনক’ বলছেন। আমন ধান বাজারে এলে চালের দাম কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মজিবর রহমান বলেন, এখন আমাদের মজুত ভালো। শুধু এখন নয়, কিছুদিন ধরেই এটা আমরা সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখছি।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। সফলভাবে আমন কেনা গেলে, মজুত পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার সুযোগ নেই। তবে আমাদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চলছে। সেখানে মজুতের একটা অংশ চলে যাচ্ছে।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চাল কিনতেই আয়ের এক-তৃতীয়াংশ ব্যয় গরিবের

আপডেট টাইম : ১২:২৩:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশে চালের দাম বাড়লে সবচেয়ে বেশি চাপে পড়ে নিম্ন আয়ের মানুষ। বর্তমানে শুধু চাল কিনতেই দরিদ্র মানুষের মোট আয়ের এক-তৃতীয়াংশ ব্যয় হয়। গত ছয় বছরে শুধু নাজিরশাইল চাল কেজিতে বেড়েছে ১৮ টাকা। এছাড়া পাইজাম ও ইরি-বোরোতে বেড়েছে ৫-৭ টাকা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

খাদ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে পর্যাপ্ত পরিমানে খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এরমধ্যে শুধু চালই রয়েছে ১৩ লাখ টন। তবে চালের মজুত ভালো হলেও বাজারে চালের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।

বিবিএস’র হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকে (সিপিআই) বলা হয়েছে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে প্রতি কেজি নাজিরশাইল ও মিনিকেট ৬৪ টাকা ৪৮ পয়সায় বিক্রি হয়েছিল, বর্তমানে এটা বেড়ে ৮২ টাকা ৩৪ পয়সা হয়েছে। গত ছয় বছরের ব্যবধানে এক কেজি নাজিরশাইল ও মিনিকেট চালেই বেড়েছে ১৮ টাকা।

একই সময় প্রতি কেজি পাইজাম ৬০ টাকা ৭৬ পয়সায় বিক্রি হলেও বর্তমানে ৬৪ টাকা ৪১ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে, ফলে এই চালেও কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। ছয় বছর আগে প্রতি কেজি ইরি ও বোরো চাল ৫০ টাকা ১৫ পয়সায় বিক্রি হলেও এখন ৫৭ টাকা ২৩ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ইরি ও বোরো চালেও বেড়েছে ৭ টাকা ০৮ পয়সা। দরিদ্র মানুষের মোট আয়ের এক-তৃতীয়াংশ ব্যয় হয় চাল কেনায়। চালের দাম বাড়লে নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর বেশি চাপ বাড়ে।

বিবিএস’র সবশেষ হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (হায়েস) অনুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ে একটি পরিবারের মাসিক মোট আয়ের ৪৭ দশমিক ৭০ শতাংশ খরচ হয় খাদ্যে। দরিদ্র ও অতি দরিদ্র পরিবারগুলোর ক্ষেত্রে এটা মাসিক মোট আয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ। আবার তাদের চাল ভোগের পরিমাণও অন্যদের চেয়ে বেশি। যখন দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চালের মাথাপিছু দৈনিক ভোগ ৪৭০ গ্রাম, তখন অন্যদের ক্ষেত্রে তা ৩৬৬ গ্রাম। প্রধান এ খাদ্যপণ্যটির মূল্যস্ফীতিতে তারা ভোগেন সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, খাদ্য-মূল্যস্ফীতি বাড়লে ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ হতদরিদ্র পরিবারই তখন চালের ভোগ কমিয়ে দেয়। দরিদ্র পরিবারের বেলায় এ হার ৬৬ শতাংশ। তাই মোটা চালের দাম উচ্চহারে বাড়লে তাদের খাদ্যনিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়ে।

বিবিএস জানায়, জাতীয় গড় মূল্যস্ফীতিতে ভোক্তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তবে খাদ্যপণ্যের, বিশেষ করে প্রধান খাদ্যপণ্য চালের মূল্যস্ফীতি দেশের স্বল্প ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। চালের মূল্যস্ফীতিকে তারা ভয় পান। দেশের কমবেশি ৯০ শতাংশ মানুষের প্রধান খাদ্য চাল থেকে তৈরি ভাত। জীবনধারণের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এ খাদ্যপণ্যটির দাম গত প্রায় দু’দশকে তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে।

চালের দাম বাড়লে সবার কষ্ট হয় জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, চালের দাম বাড়লে সবার কষ্ট হয়, এটা স্বীকার করতে হবে। সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে নিত্যপণ্যের দাম কমানোর জন্য। তবে মূল্যস্ফীতি কিন্তু আমাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নয়, এটা বৈশ্বিক সমস্যা। মানুষ যাতে কম দামে খাদ্যপণ্য পায় সেজন্য উৎপাদনে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। আমরা উৎপাদন বাড়ালে এটা কমে আসবে। এজন্য দেশের এক ইঞ্চি জমি ফেলে রাখবো না। জমিতে নানা ধরনের ফসল ফলাবো। এজন্য সরকার কৃষকদের সব ধরনের সুবিধা দিচ্ছে।’

বর্তমানে সরকারি গুদামে পৌনে ১৬ লাখ টনের মতো খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এর মধ্যে চালই রয়েছে ১৩ লাখ ৬৩ হাজার টনের বেশি, যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চালের মজুত ভালো হলেও বাজারে চালের দাম রয়েছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। চলতি বছরের নভেম্বরেই মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা নিম্ন আয়ের মানুষকে ভোগাচ্ছে বেশ।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে (৬ নভেম্বর পর্যন্ত) দেশে খাদ্যশস্যের মজুত ১৫ লাখ ৮১ হাজার ১৬৬ টন। এরমধ্যে চাল ১৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯৩৩ টন, গম দুই লাখ ৯ হাজার ৩৩৩ টন এবং ধান ১২ হাজার ১৫৩ টন।

গত বছর (২০২১ সাল) এ সময়ে খাদ্যশস্যের মজুতের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩৫০ টন। এরমধ্যে চাল ছিল ১৩ লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ টন, গম এক লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টন এবং ধান চার হাজার ৫২০ টন। এর আগে ২০২০ সালের এ সময়ে খাদ্যশস্যের মোট মজুত ছিল ১০ লাখ ৪২ হাজার ৯৭০ টন। চাল ছিল সাত লাখ ৫৪ হাজার ১৩০ টন, গম দুই লাখ ৮১ হাজার ১২০ টন এবং ধান ১১ হাজার ৮৯০ টন।

এতে দেখা যায়, গত দুই বছরের চেয়ে বর্তমানে খাদ্যশস্যের মজুত বেশি। অন্যদিকে চালের বাজারও অস্থির। বিস্তৃত পরিসরে ওএমএস বা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালিয়েও বাজারে সেভাবে প্রভাবে ফেলা যাচ্ছে না।

খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা এ মজুতকে ‘সন্তোষজনক’ বলছেন। আমন ধান বাজারে এলে চালের দাম কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মজিবর রহমান বলেন, এখন আমাদের মজুত ভালো। শুধু এখন নয়, কিছুদিন ধরেই এটা আমরা সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখছি।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। সফলভাবে আমন কেনা গেলে, মজুত পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার সুযোগ নেই। তবে আমাদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চলছে। সেখানে মজুতের একটা অংশ চলে যাচ্ছে।